সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো সিলগারের আন্দোলনে সামনের সারিতে রয়েছে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের একটি টীম। যাঁরা এমএলএ, এমপি ও সরকারের সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে এবং আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
৩ জুন সিলগার আন্দোলনে ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছাত্রদের ১০ সদস্যের একটি টীম গঠিত হয়। এদের সঙ্গে রয়েছেন এদের শিক্ষক ও সমাজকর্মী সোনি সোরি (যিনি পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত হন)। এঁরা সরকারি প্রতিনিধিদের একটি দলের – যে দলে কংগ্রেসের ৮ এমএলএ, বস্তারের এমপি, জেলা কালেক্টর, বিজাপুর ও সুকমার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট ও বস্তার ডিভিশনের আইজি প্রমুখ ছিলেন।
টীমের দাবি ছিল, প্রতিবাদীদের সামনে খোলাখুলি আলোচনা চলুক। প্রতিবাদীদের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা দাবি করলেন, সিআরপিএফ ক্যাম্প হটাতে হবে, যে পুলিশরা প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের বরখাস্ত করতে হবে, সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে দিয়ে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত করাতে হবে, পুলিশকে আদেশ দিয়ে নিহত প্রতিবাদীদের জন্য স্মৃতিসৌধ বানিয়ে দিতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে গ্যারান্টি দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো প্রতিবাদীকে হয়রানি না করা হয় এবং গ্রামসভার সাথে আলোচনা না করে কোনো পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা যাবে না। বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যাদের সাথে আলোচনা না করে কোনো সুরক্ষা ক্যাম্প গড়ে তোলা যাবে না। এই দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি কারণ সরকার বেআইনিভাবে গড়ে তোলা ক্যাম্প সরাতে রাজি হয়নি এবং অন্যান্য দাবিগুলি মানার জন্য লিখিত আশ্বাস দিতেও রাজি হয়নি।
১২ জন সদস্যের ‘ছত্তিসগড় বাঁচাও’ আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলকে ৬ জুন সিলগারের আগে নেলসানার থানার কাছে আটকে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁদের বিজাপুর জেলার সদরেও যেতে দেওয়া হয়নি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ‘ছত্তিসগড় বাঁচাও’এর আহ্বায়ক অলোক শুক্ল, ছত্তিসগড় কিসান আন্দোলনের আহ্বায়ক সুদেশ টিকম, ছত্তিসগড় কিসান সভার নেতা সঞ্জয় পারাতে, এআইসিসিটিইউ রাজ্য সম্পাদক ব্রিজেন্দ্র তিওয়ারি, সমাজকর্মী বেলা ভাটিয়া এবং ইন্দু নেতাম প্রমুখ। তাঁরা এই চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান এবং ছত্তিসগড় সরকারের এই অত্যাচারী কার্যকলাপ ও পূর্ববর্তী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন।