২৬ জুন এআইকেএসসিসি-র কর্মসূচি
AIKSCC program


( ১৭ জুন প্রচারিত প্রেস বিবৃতি)

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং এআইকেএসসিসি-র পক্ষ থেকে আগামী ২৬ জুন দেশব্যাপী “কৃষি বাঁচাও-গণতন্ত্র বাঁচাও” দিবস পালনের আহ্বান এই রাজ্যে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে সংগঠিত করা হবে। এই দিন দিল্লীর ঐতিহাসিক কিষাণ আন্দোলনের গৌরবময় সাত মাস পূর্তি। এছাড়া ২৬ জুন ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়, যা কোনোদিনই ভোলা যাবে না। এই দিনটি ভারতে স্বৈরাচারী কংগ্রেসী শাসনে কূখ্যাত জরুরি অবস্থা জারী করার ৪৬তম বর্ষ পূর্তির। বর্তমানে দেশে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি চলছে। বিজেপি সরকার সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করছে, যে কোনও প্রতিবাদ-আন্দোলনের উপর দমন-পীড়ন কালাকানুন জারী করা হচ্ছে। একে মোকাবিলা করে দিল্লীর বুকে কৃষক আন্দোলন সহ জনগণের বেশ কিছু লড়াই এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও লক্ষণীয় যে ২৬ জুন কিংবদন্তী কৃষক নেতা স্বামী সহজানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুবার্ষিকী।

২৬ জুন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবনগুলিতে ধর্না অবস্থানের কর্মসূচী কলকাতায়ও সংগঠিত করা হবে। এই দিন রাজভবনের পূর্ব গেটে (সিধু কানু ডহরের সামনের দিকে) কোভিড বিধি মেনে এআইকেএসসিসি-র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের ১০০ জন সংখ্যক কর্মী ও নেতৃত্ব সমাবেশিত হবেন, সকাল ১১টায় স্লোগান প্ল্যাকার্ড সহকারে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করা হবে।

এই দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সদর ও ব্লকগুলিতে (সম্ভব হলে কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরের সামনে) যৌথভাবে বিক্ষোভ/ অবস্থান কর্মসূচি সংগঠিত করা হবে।

কৃষক আন্দোলনের সাথে একাত্ম হওয়া এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভে সামিল হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মচারি ইউনিয়ন, নাগরিক সংগঠন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন, ব্যবসায়ী সমিতি, মহিলা সংগঠন, ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং অন্যান্য সকল প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকদের কাছে ২৬ জুনের কর্মসূচিতে যোগদানের আবেদন জানানো হবে।

স্লোগান :
১) কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও!
২) কৃষকদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে সমস্ত মানুষ এক হও!
৩) নয়া কালা কৃষি আইন বাতিল কর!
৪) দেশের কৃষি ও কৃষকদের কর্পোরেটদের গোলামে পরিণত করা চলবে না!
৫) কোম্পানিরাজ হঠাও, দেশ বাঁচাও!
৬) কৃষকের স্বাধীনতা রক্ষায় সমস্ত মানুষ এক হও!
৭) ফসলের ন্যূনতম সংগ্রহমূল্য গ্যারান্টি আইন চালু কর!
৮) কৃষি পণ্যের সরকারি সংগ্রহ তুলে দিয়ে রেশন ব্যবস্থাকে বিলোপ করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে এক হও!
৯) সার বীজ বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকারী মোদী সরকার দূর হঠো!
১০) চুক্তি চাষের মধ্য দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে ধ্বংস করা চলবে না!
১১) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন তুলে দিয়ে কালোবাজারি মজুতদারিকে বৈধ করা হচ্ছে কেন মোদী সরকার জবাব দাও!
১২) বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিল কর!
১৩) দিল্লীর বুকে কৃষক আন্দোলনের পাশে সমস্ত মানুষ এক হোন!
১৪) শ্রম আইন তুলে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করা চলবে না, নয়া শ্রম কোড বাতিল কর!
১৫) সমস্ত মানুষকে সময়সীমা বেঁধে বিনামূল্যে করোনা টিকাকরণ করতে হবে।
১৬) গ্রামস্তর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করতে হবে।

এছাড়া জেলা ও ব্লকস্তরের কর্মসূচিতে কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম, বিশেষতঃ ধানের সরকারি সংগ্রহর দাবি সহ সার-বীজ-বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির বিষয়গুলিও তুলে ধরা হবে।

সুন্দরবন বাঁচাও এবং প্রতিবছর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা এবং এ সম্পর্কে রাজ্য জুড়ে প্রচার সংগঠিত করা হবে।

অমল হালদার (আহ্বায়ক)
কার্তিক পাল (সচিব)

খণ্ড-28
সংখ্যা-22