* কোভিড বিধি মেনে গণপরিবহন অবিলম্বে চালু কর।
* যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাদান কর্মসূচি চালু কর। টিকার যোগান সুনিশ্চিত না করে কর্মস্থলে বা অন্যত্র প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকাকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
* আধার সংযোগের নামে দুয়ারে রেশন প্রকল্প থেকে কাউকে বঞ্চিত করা চলবে না।
১৫ জুন এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষে সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, ১৪ জুন রাজ্য সরকার বিধিনিষেধের (লক ডাউনের) সময় সীমা ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। যদিও দু’দফায় চলা মোট তিরিশ দিনের কড়া বিধিনিষেধ এবার কিছুটা শিথিল করার কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার কথাও এতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক কর্মকাণ্ডতে কিছু কিছু ছাড়ের কথাও।
কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেছি, গণপরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে যারা ব্যবসা বা কর্মস্থলে যাওয়া আসার জন্য ট্রেন, বাস, লঞ্চ-এর মতো গণপরিবহণের ওপর নির্ভরশীল তাদের জন্য কার্যত লকডাউন চলবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ মানুষ রুটি-রুজির ওপর প্রত্যক্ষ আঘাত হিসেবেই দেখছেন। লকডাউনে কাজ হারা মানুষদের জন্য মাসিক ৭৫০০ টাকা অনুদানের দাবিটিও এখনো মান্যতা দেয়নি সরকার।
আমরা লক্ষ্য করেছি জীবিকা বাঁচানোর মরীয়া চেষ্টায় যে সামান্য কয়েকটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে, তাতে অসংখ্য মানুষ কোনোক্রমে স্থান করে নিতে চাইছেন। প্রবল ভিড় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিকেই কার্যত আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। খবরে প্রকাশ যে রেল কর্তৃপক্ষও রাজ্য সরকারের কাছে লোকাল ট্রেন বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে। অন্যথায় যে কোনো সময় বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি