২০ জুন ত্রিপুরায় ভোরবেলায় চাম্পাহাওয়র থানা এলাকা থেকে তিনজন যুবক পাঁচটি গরু নিয়ে একটি বোলেরো গাড়িতে করে আসছিল। গাড়িটি যখন মুঙ্গীয়াকামী থানার উত্তর মহারানীপুরে আসে, তখন একদল জনতা গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দেহে গাড়িটিকে আটক করে। এই গাড়ি থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করে এবং তিনজন যুবককে গরু চোর সন্দেহে আটক করে। স্থানীয় একদল জনতা ক্রুদ্ধ হয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে ঐ তিনজন যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। চিকিৎসার কোন সুযোগ মেলেনি। মৃত তিনজন হলেন জায়েদ হোসেন (২৮ বছর), গ্রাম রাঙ্গামাটি; বিল্লাল মিঞা (৩০ বছর), গ্রাম শ্রীমন্তপুর; সাইফুল ইসলাম (১৮ বছর), গ্রাম বড়দুয়াল, সোনামুড়া মহকুমা।
এটা একটা আইন ও বিচার বহির্ভূত সংগঠিত হত্যাকান্ড। দেশে আইনের শাসন দুর্বল হলেই একমাত্র এভাবে একদল মানুষ ইচ্ছামত কাউকে ‘দোষী সাব্যস্ত’ করে খুন করে শাস্তি দিতে পারে। বার বার এইধরনের হত্যার ঘটনা ঘটছে। তাই ত্রিপুরায় সবার আগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হাইকোর্টের একজন কর্মরত বিচারপতির তত্বাবধানে এই হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এই হত্যাকান্ডে জড়িত দোষী ও খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মৃতদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা করে সরকারী আর্থিক সাহায্য করতে হবে। বিচার বহির্ভুত হত্যা রোধে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ণ করতে হবে। এই দাবিগুচ্ছ তুলেছে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি।