খবরা-খবর
সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদী মিছিল

২৩ ফেব্রুয়ারী প্রতীকী ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন ভীম আর্মির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। তার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন শহরে মিছিল সংগঠিত হয়। বিজেপির এনআরসি-সিএএ-এনপিআর অভিযানের বিরুদ্ধে এবং সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছিল এই কর্মসূচী। দেশের বিভিন্ন শহরে চলা মহিলাদের অবস্থান মঞ্চগুলি থেকেও অনেক মহিলা এই মিছিলগুলিতে অংশ নেন। দিল্লীতে হসরানি অবস্থান মঞ্চ থেকে যে মিছিল সংগঠিত হয় তার ওপর পুলিশ লাঠি চালায়। কলকাতায় মৌলালি রামলীলা ময়দান থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত যে মিছিল সংগঠিত হয়েছিল সেখানে ভীম আর্মির ডাকে দলিত ও সংগ্রামী মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ, বিশেষত মহিলারা। ঐ দিন চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে নাগপুরে জনসভা সংগঠিত হয়। পুলিশ এই সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। নাগপুর আদালতও সমাবেশের আবেদন নাকচ করে দেয়। অবশেষে মুম্বাই উচ্চ আদালতের নাগপুর বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। নাগপুরে আরএসএস-এর হেড অফিস। তার অনতিদূরের এক ময়দানে বিশাল জমায়েতের সামনে চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ বলেন, “দলিত ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই সিএএ-আর-এনআরসি ... সংবিধানের ১৯নং অনুচ্ছেদে অধিকার দেওয়া আছে সরকারি সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে তার বিরোধিতা করার। তোমরা আমাদের ওপর গুলি চালাবে, লাঠি চালাবে আর আমরা চুপ করে যাব? … বিজেপিকে সাবধান করে দিচ্ছি যে জমানা বদলাবে, তখন সব কিছুরই হিসেব নেওয়া হবে ... আগামি দিনে বহুজনের সরকার আসবে, তোমাদের ছাড়া হবে না”। রাবণ আরও বলেন, “সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দিতে আরএসএস পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে … আমরা সংবিধানে বিশ্বাস করি আর ওরা বিশ্বাস করে মনুস্মৃতিতে। এই দেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে, অন্য কোনও আদর্শে নয়। এই মনুবাদ খতম করতে আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার”।

bharat

 

খণ্ড-27
সংখ্যা-5