চম্পারণে জমি থেকে দরিদ্রদের উচ্ছেদ অব্যাহত ভাবে চলছে। এখানে প্রশাসন জমি মাফিয়ার স্বার্থে কাজ করছে এবং পুলিশ তাদের হয়ে লাঠি চালাচ্ছে। সিলিং অতিরিক্ত জমি অধিকার করে থাকা দরিদ্রদের সেই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে জেলা শাসক সমস্ত ধরনের বেআইনি পথ নিতে কোনো কসুর করছেন না, এবং কাটার মতো অবস্থায় থাকা ঐ দরিদ্র মানুষদের ফলানো ফসল কেটে নিতেও দ্বিধা দেখাচ্ছেন না।
সিপিআই(এমএল) নেতা বীরেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত বলেছেন, পশ্চিম চম্পারণের মইনিটাঁডের বেলওয়াটোলায় প্রশাসন ছটি থানা থেকে পুলিশ এবং সাথে কিছু গুণ্ডা নিয়ে হাজির হয়, উদ্দেশ্য সিলিং অতিরিক্ত জমিতে দরিদ্রদের ফলানো ফসল কেটে নেওয়া। সেখানে পৌঁছানোর পরই তারা জমিতে লাঙল দিয়ে ফসল ধরা গাছ ওপড়াতে শুরু করে। সিপিআই(এমএল) জোনাল সম্পাদক অছিলাল রাম, বানহু রাম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এর বিরোধিতা করলে এবং জমিতে লাঙল চালানোর অনুমতির কাগজ দেখাতে বললে তাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। সিপিআই(এমএল) নেতারা বলেছেন, ২০১৫-র সিলিং গেজেট অনুসারে মইনিটাঁড-এর জমির পরচা দরিদ্রদের পাওয়ার কথা থাকলেও মাফিয়া জমিদাররা ঐ জমি নিজেদের নামে নথিবদ্ধ করে নিয়েছে। দরিদ্রদের অধিকার সুরক্ষিত করার পরিবর্তে জেলা শাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মাফিয়া জমিদারদের নিজেদের নামে অবৈধ ভাবে জমি নথিবদ্ধ করিয়ে নেওয়াটাকেই সমর্থন করছেন; আইন কিন্তু বলছে যে, যারা নিজেদের নামে সিলিং অতিরিক্ত জমি নথিবদ্ধ করিয়েছে এবং যারা ঐ নথিবদ্ধকরণে সহায়তা করেছে তাদের সবাইকেই জেলে যেতে হবে।
এই বিষয়ে এর আগে সিপিআই(এমএল)-এর পক্ষ থেকে ডিজিপি-র সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়েছিল এবং তাঁর হস্তক্ষেপে এর আগে ফসল কেটে নেওয়াকে আটকানো গিয়েছিল। সিপিআই(এমএল) দাবি জানাচ্ছে, নীতীশ সরকারকে পশ্চিম চম্পারণের প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে সংযত করতে হবে যাতে জমি থেকে দরিদ্রদের উচ্ছেদ হতে না হয়। এই ইস্যুতে সারা জেলায় ৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ সংগঠিত হয়।