মোদি সরকারের সর্বনাশা আর্থিক নীতির প্রতিবাদে ও কর্মসংস্থানের দাবিতে প্রধানত বামপন্থীধারার শ্রমিক ও গণসংগঠনগুলির ডাকে চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা ‘লং মার্চে’ ৭ ডিসেম্বর সকালে হুগলী জেলার বৈঁচিতে প্রবেশ করে। বিকেল ৩ টেয় এই লংমার্চ পান্ডুয়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে হুগলী জেলায় সিপিআই(এমএল) পরিচালিত প্রায় সবকটি গণসংগঠনের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী-সমর্থক সহ তাতে সামিল হন। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের মূল ট্যাবলোটির ঠিক পরেই ‘সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চে’র লোকশিল্পী দলকে সামনে রেখে লং মার্চ এগিয়ে চলে। মাদলের তালে, নৃত্যের ছন্দে চলমান শিল্পী দল সমগ্র পদযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করে ও সকলের প্রশংসা কুড়ায়। বিভিন্ন গণসংগঠনের একাধিক ট্যাবলোর মধ্যে ‘সারা ভারত কিষাণ মহাসভা’র (এআইকেএম) সুদৃশ্য প্রচার গাড়িটিও সকলের নজর কাড়ে। এআইকেএমএর প্রচার গাড়ি থেকে উৎপাদন খরচের দেড়গুণ দামে ফসল কেনা, কৃষিমজুরদের বছরে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি, আদিবাসীদের জলজমি-জঙ্গলের ওপর অধিকার ও লোকপ্রসার প্রকল্পের সঠিক রূপায়ণের দাবির সাথে সাথে মোদি জমানায় শিল্প ও আর্থিক ক্ষেত্রে সার্বিক হামলার বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পথ চলার শেষে পান্ডুয়া শহরে প্রবেশের মুখে ‘তিন্না মোড়ে’ আদিবাসী মঞ্চের আর এক সারি কৃষিশ্রমিক, গরিব কৃষক যোগ দিলে মিছিল আরও দীর্ঘতর হয়। পান্ডুয়া শশীভূষণ হাই স্কুলের সামনে জনসভায় লং মার্চের উদ্দেশ্যকে ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির রাজ্য সম্পাদক সজল অধিকারী এবং সারা ভারত কিষাণ সভার অন্যতম রাজ্য নেতা শ্যামল ব্যানার্জী।