১৬ ডিসেম্বর মিড-ডে-মিল রন্ধন কর্মীদের সাথে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু এনআরসি এমনভাবে গ্রামের সংখ্যালঘুু মহিলাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে যে তারা মিড-ডে-মিলের বৈঠকে আসতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের কাছে খবর পাঠানো হয় এনআরসি এবং সিএএ নিয়েই আলোচনা হবে। অদ্ভুত ঘটনা দলে দলে মহিলারা বৈঠকে এসে হাজির হন, এর মধ্যে ১০-১২ জনের মতো ছাত্রীও যুক্ত হয়। আলোচনার পর তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে মহিলারা বলেন এখানে একটা সভা করতে হবে। আমরা আর ঘরে বসে থাকবো না প্রতিবাদে রাস্তায় নামবো। ৮-১২ ক্লাসের ছাত্রীরা দায়িত্ব নিল তারা এনআরসি এবং সিএএ বাতিলের দাবিতে পোস্টার লিখে গ্রামে মেরে দেবে। পরে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটকে ধরে আলোচনার মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষদের উপর কি ধরনের আক্রমণ নেমেছে, কিভাবে সমস্ত আইনি সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মিড-ডে-মিলের সমস্যাগুলি এবং এনজিও-র হাতে তুলে দিলে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করার মধ্য দিয়ে মহিলাদের মধ্যে ভালোই উৎসাহ দেখা গেলো। রাত ৭টার সময় দুজন পার্টির মহিলা বেরিয়ে পড়লেন মিড-মিড-ডে-মিল রন্ধনকর্মীদের সদস্য করতে। ১১ জন রন্ধন কর্মীকে সদস্য করে তারা ফিরে এলেন। ২৯ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী মিড-ডে-মিল (রন্ধনকর্মী) ইউনিয়নের রাজ্য সম্মেলনে ১০ জন প্রতিনিধি আসবে বলে কথা দিয়েছেন।
১৭ ডিসেম্বর ছাত্রীরা নিজেরা এনআরসি, সিএএ বাতিলের দাবিতে পোস্টার লিখে এলাকায় মেরে দেন। ১৯ ডিসেম্বর নাদনঘাট বাজারে এনআরসি বাতিলের দাবিতে এবং ৮ জানুয়ারি সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে সকালে প্রচার, মিছিল সহকারে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।