খবরা-খবর
বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তি চাই

পূর্ব বর্ধমানে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ সভা

পুর্ব বর্ধমান জেলায় সপ্তাহ ব্যাপি এনআরসি, এনপিআর, ক্যাব বিরোধী ও বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করা হয়।

৫ ডিসেম্বর পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের লক্ষীপুর স্টেশন বাজারে সভা করা হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন এআইএসএ-র পুর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্বশীল রাজদীপ সিংহ রায়, আরওয়াইএ-র রাজ্য নেতা রনজয় সেনগুপ্ত ও সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকে অশোক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক শিবু সাঁতরা।

lkp

 

৬ ডিসেম্বর কালনা ২নং ব্লকের অকালপৌষ গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরাদহ গ্রামে সভা হয়। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম এল)-এর মেমারী ২নং ব্লকের লোকাল কমিটির সম্পাদক মনসুর মন্ডল, রাজ্য কমিটির সদস্যা মীনা পাল ও অশোক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন কালনা লোকাল কমিটির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

৭ ডিসেম্বর মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রাম গঞ্জে সভা করা হয়। বক্তব্য রাখেন এআইকেএম-এর রাজ্য সভাপতি অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, মনসুর মন্ডল এবং অশোক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এমএল)-এর মন্তেশ্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক ও সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জেলা সম্পাদক আনসারুল আমান মন্ডল। সভায় প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়ে যায়। মানুষ আগ্রহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বক্তব্য শুনতে থাকে।

babu

 

৮ ডিসেম্বর মেমারী ১নং ব্লকের নিমো বটতলায় ও ভাতার ব্লকের ভাতার গঞ্জে সভা করা হয়। বক্তব্য রাখেন নিমো বটতলায় মনসুর মন্ডল, অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও সিপিআই(এমএল) জেলা কমিটি সদস্য কুনাল বক্সী। সভা পরিচালনা করেন জেলা কমিটি সদস্য মেমারী ১নং ব্লকের দায়িত্বশীল সাধন কর্মকার।

ভাতার গঞ্জে বক্তব্য রাখেন রাজদীপ সিংহ রায়, এলাকার যুব নেতা রানা চক্রবর্তী ও আরওয়াইএ-র রাজ্য সভাপতি সজল দে। সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এমএল) ভাতার লোকাল কমিটির সদস্য আশিষ খাঁ।

৯ ডিসেম্বর পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের পূর্বস্থলী স্টেশন বাজারে ও রায়না থানার শ্যামসুন্দর গঞ্জে সভা করা হয়। পূর্বস্থলী স্টেশন বাজারে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এমএল) রাজ্য কমিটির সদস্য আনসারুল আমান মন্ডল, সজল দে ও অশোক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন পূর্বস্থলী এরিয়া কমিটির সম্পাদক শিবু সাঁতরা। সভা শেষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রতীকী পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শ্যামসুন্দর গঞ্জে বক্তব্য রাখেন অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, কুনাল বক্সী ও সিপিআই(এমএল) জেলা কমিটি সদস্য শ্রীকান্ত রানা। সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এমএল) জেলা কমিটি সদস্য ও রায়না ব্লকের দায়িত্বশীল সুনীল কুমার বসু।

১০ ডিসেম্বর বর্ধমান শহরে বিশ্ব মানবাধিকার দিন সভা করা হয়। বক্তব্য রাখেন শ্রীকান্ত রানা এবং অশোক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন কুনাল বক্সী। সর্বশেষ নাগরিক সংশোধনী বিল প্রতীকী পুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সভার কাজ সমাপ্তি হয়।

bankura

বাঁকুড়া

৬ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার মাচানতলায় মিছিল শেষে পথসভা হয়। মিছিল থেকে আওয়াজ তোলা হয় সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ ভাঙা বেআইনি, অপরাধ মুলক বলা সত্ত্বেও অপরাধীরা জেলের বাইরে কেন? অবিলম্বে সাক্ষী মহারাজ প্রঙ্গা ঠাকুর-এর সাংসদ পদ বাতিল করতে হবে। ‘ক্যাব’-এর মধ্যে দিয়ে সারা দেশে বিজেপির ধর্মীয় বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা করুন। পথসভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা শুভম দে। জেলা সদস্য ফারহান হোসেন খান আদিত্য ধবল, জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জী।

nadia

নদীয়া

nd

 

৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বামপন্থী দলগুলির সাথে যৌথ প্রচার কর্মসূচী সংগঠিত হয়। চাপড়ায় এক যুক্ত মিছিল সমগ্র বাজার এলাকা পরিক্রমা করে। শেষে এক প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন পার্টির জেলা সদস্য ধনঞ্জয় গাঙ্গুলী, বিজয় সাহা। কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রামে অনুরূপ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণ প্রামানিক। ধুবুলিয়া ও বেথুয়াডহরীতে যৌথ প্রচারসভা সংগঠিত হয়। নেতৃত্ব দেন সুবিমল সেনগুপ্ত ও কাজল দত্তগুপ্ত,দয়াল বিশ্বাস প্রমুখ। কৃষ্ণনগরে যৌথ মিছিল শহরের জনবহুল এলাকায় প্রচার করে। নেতৃত্বে ছিলেন অমল তরফদার, স্বপন দাস, নীহার ব্যানার্জী সহ অন্যান্যরা। নবদ্বীপ শহরে যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন পরিক্ষিৎ পাল। গাছাবাজারে পার্টির পক্ষ থেকে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইন্দ্রাণী দত্ত, সন্তু ভট্টাচার্য, জয়তু দেশমুখ।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে, এনআরসি, ক্যাব-র বিরুদ্ধে ও ৮ জানুয়ারি সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পরিচালনায় পূজালী মোড় ও বিড়লা নতুন রাস্তার মোড়ে পথসভা হয়। বক্তব্য রাখেন সারাভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা কাজল দত্ত, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য দিলীপ পাল ও লক্ষীকান্ত অধিকারী। সভা পরিচালনা করেন যুব নেতা আশুতোষ মালিক।

24p

উত্তর ২৪ পরগণা

এআইপিএফ এবং এপিডিআর যুক্তভাবে ৫ ডিসেম্বর বারাসাত স্টেশন চত্বরে সভা এবং শহরে মিছিল সংগঠিত করল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনা, কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া, উপত্যকায় ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল এবং সারা দেশে এনআরসি বাতিলের দাবি সামনে রেখে বারাসাত শহর এপিডিআর এবং এআইপিএফ মিলিতভাবে শহর পরিক্রমা করে। মিছিল শেষে বারাসাত স্টেশন চত্বরে সভা হয়। এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের নেতা সোমনাথ মুখার্জি এবং তাপস কর। এআইপিএফ-এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী শাহেরুল ইসলাম এবং সুজিত ঘোষ। কোন পরিপ্রেক্ষিতে আসামে এনআরসি প্রক্রিয়া চললো এবং তার ফলাফল কী হল তা নিয়ে বক্তারা বিস্তৃত ব্যাখ্যা রাখেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা এবং চুপিসারে রামলালার মুর্ত্তি বসানো উভয়ই আইন বিরুদ্ধ কাজ হিসাবে গণ্য করেও সুপ্রীম কোর্টের রায়ে দোষীদের কোনো শাস্তি দেওয়া হল না। অন্যদিকে বাবরি মসজিদ ধংসস্তুপের নীচে হিন্দুমন্দিরের কোনো অবশেষ না পাওয়া সত্বেও রাম মন্দির নির্মানের জন্য ভারত সরকারকে ট্রাস্ট গঠনের সর্বোচ্চ আদালতের রায় কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। সে কারণেই রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি উঠছে। বক্তাদের বক্তব্য পাথচলতি বহু মানুষকে আকর্ষণ করে। সংগ্রামের গান পরিবেশন করেন অনুপ মজুমদার এবং সঞ্চালন করেন বাপ্পা।

খণ্ড-26
সংখ্যা-40