২৪ ডিসেম্বর, বেলা বারোটা নাগাদ সারা ভারত কিষান মহাসভা ও সারা ভারত কৃষি মজুর সমিতির গাইঘাটা ব্লক সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদপাড়া স্টেট ব্যঙ্কের সামনে আধঘণ্টা যশোর রোড অবরোধ করা হয় তারপর মিছিল করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে দাবি পেশ করা হয়।
ক) ধানের সরকারি দর কুইন্টাল পিছু ১৭৫০+২০ টাকা যাতে গরিব মধ্য চাষীরা পায় প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। খ) ভাগচাষী চুক্তি চাষিদের থেকে ধান কিনতে হবে তাদের জমির কাগজপত্র আবশ্যিক করা চলবে না। গ) ফড়ে মহাজনদের দেওয়া ধান বিক্রির কার্ড বাতিল ঘোষণা করতে হবে। ঘ) গ্রামে গ্রামে কেম্প করে সরাসরি কৃষকদের ধান নগদ টাকায় কিনতে হবে। ঙ) বস্তা পিছু এক কেজির বেশি ধান ওজনে বাদ দেওয়া যাবে না।
এই বিষয়ে কৃষক সংগঠনের নেতা কৃষ্ণপদ প্রামাণিক বলেন, গাইঘাটা ব্লকে ইতিমধ্যে ৭০০টিরও বেশি ধান বিক্রির কার্ড বিলি হয়েছে তার অধিকাংশই ফড়েদের কাছে। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তারা প্রচুর ধান কিষান মান্ডিতে বিক্রি করেছে।
পুলিশ কিষাণ মান্ডিতে হানা দিলেও, আসলে ওই ভুয়া কার্ড অবিলম্বে বাতিল করা দরকার। যারা ওই কার্ড পাইয়ে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এছাড়া সমবায়ের মাধ্যমে যে ধান কেনা হচ্ছে সেটা পরিমাণের দিক থেকে যৎসামান্য। এই এলাকায় বর্ধমানের তুলনায় ধানের গুণমান কম হওয়ার কারণে বস্তা পিছু দুই থেকে সাড়ে তিন কেজি বাদ দেওয়ার সরকারি যুক্তিটি সম্পূর্ণই কৃষকদের ঘাড়ে বোঝা চাপানো ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এই বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন জেলা নেতা কমরেড কৃষ্ণপদ প্রামানিক, কমরেড অজয় বসাক ও কমল কর্মকার।