খবরা-খবর
কাশ্মীরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দাও, বাংলার কৃষকদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও

নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের রাধাকান্তপুর গ্রামে কৃষক ও কৃষি মজুররা তাদের জীবন-জীবিকার তাগিদে, বিজেপি ও আরএসএস এর হামলার বিরুদ্ধে সংগ্রামী দল হিসাবে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার সংগঠনকে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য সংগঠন হিসেবে বেছে নিতে শুরু করেছে। স্বাধীনভাবে উদ্যোগ নিয়ে এখানে প্রকাশ্য সভা করার উদ্যোগ নিল গরিব কৃষক ঘরের কিছু মানুষ। বেলা পাঁচটার সময়, দেবগ্রাম থেকে আসা কমরেডদের সাথে নিয়ে রাধাকান্তপুরের কমরেডরা মিছিল করে সভাস্থলে আসেন। তারপর গ্রামের কৃষকরা পাট কাটা, পাট বাছার কাজ একরকম সেরে ফেলে মিটিংয়ে আসতে শুরু করে। প্রথম বক্তা হিসেবে যুবনেতা রনজয় সেনগুপ্ত, তারপর কৃষক নেতা জয়তু দেশমুখ, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির নেত্রী ইন্দ্রানী দত্ত ও কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ প্রামানিক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বিজেপি নেতৃত্বে ভারত সরকার কাশ্মীরের মানুষকে গ্রেপ্তার করে আটকে রাখা, সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া, সৈন্যবাহিনী দিয়ে ঘিরে রেখে মানুষের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে বলেন। ঠিক এরকম একটি পরিস্থিতিতে দ্রুততার সাথে কাশ্মীরের শ্রীনগরে কবিতা কৃষ্ণান সহ ৫ জনের একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী প্রতিনিধি দল সেখানকার ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরাকে উল্লেখ করে তা শ্রোতাদের কাছে উপস্থিত করেন। গত নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গ্রাম অঞ্চলে ব্যাপকভাবে মানুষের যে অধিকার তৃণমূল ছিনিয়ে নিয়েছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়ে প্রতিকার চেয়েছিল। কিন্তু সেই বিজেপি ভোটের পরে যে সমস্ত আইন কানুন পাস করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তার বিরুদ্ধে বক্তারা সমস্ত মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান করেন। কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম, ঋণ থেকে মুক্তি, কিষানমান্ডিতে ব্যাপক দুর্নীতি, খরায় চাষিদের ক্ষতিপূরণের দাবিদিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। শ‘দেড়েক মানুষ মনোযোগ দিয়ে বক্তব্য শোনেন এবং বক্তাদের প্রশংসা করেন।

nadia 2

 

খণ্ড-26
সংখ্যা-26