পৃথিবীর তিন ভাগের দুভাগ জল, কিন্তু এই বিপুল জলের মাত্র ২.৫ শতাংশ হল মিষ্টি জল। আর এই মিষ্টি জলই কেবল মানুষের কাজে লাগে। এই মিষ্টি জলের পরিমাণ ক্রমশ কমছে গোটা বিশ্বজুড়ে এবং বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এখন তা ভয়াবহ আশঙ্কা তৈরি করেছে। এই জায়গাগুলির অন্যতম ভারত। এর পাশাপাশি সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ১৯৭০ সালের পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরে ১৮০ কোটির বেশি বেড়েছে আর এর ফলে মাথাপিছু জল আরো অনেক কমে গেছে। জলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় কৃষিকাজে। মোট জলের প্রায় ৭০ শতাংশ। ১৯৭০ থেকে ২০০০ এই তিরিশ বছরে কৃষিকাজে জলের ব্যবহার ১৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ১৯৭০ সালে বিশ্বে মাথাপিছু মিষ্টি জলের পরিমাণ ছিল ১০০০০ কিউবিক মিটার। ১৯৯৫ সালেই ২৭ শতাংশ কমে সেটা নেমে আসে মাথাপিছু ৭৩০০ কিউবিক মিটারে এবং তারপর থেকে সেটা আরো কমতেই থাকে। কোথাও মাথাপিছু জলের পরিমাণ ২০০০ কিউবিক মিটারের নিচে নেমে এলে তা বেশ দুশ্চিন্তার আর সেটা যদি ১০০০ কিউবিক মিটারের কমে নেমে আসে তাকে রীতিমতো জলসঙ্কট বলে অভিহিত করতে হবে। ২০০০ সালে ভারতে মাথাপিছু গড় জলের পরিমাণ এসে দাঁড়ায় মাত্র ১৮৭৮ কিউবিক মিটার। ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারত জলসঙ্কটে জর্জরিত একটি দেশ হয়ে উঠবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। ভারতের রাজস্থান মহারাষ্ট্রের অনেক জায়গাতেই এই জলসঙ্কট এর মধ্যেই মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে এবং সংকটাপন্ন এলাকার সংখ্যা প্রতিদিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লির মতো শহরগুলি মারাত্মক সমস্যার দিকে এগোচ্ছে।