৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার রাজ্যসভায় প্রস্তাব এনে সংবিধানের ৩৭০ ধারার ১ নং উপধারায় রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করেই ওই ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা লোপ করে। একই সঙ্গে ৩৫ক ধারায় জম্মু কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিকদের প্রাপ্য বিশেষাধিকারগুলিরও বিলোপ ঘটে। কাশ্মীরে অলিখিত জরুরী অবস্থা জারি রেখে যে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই প্রস্তাব পাশ হয় তা দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য ধুয়ো ওঠে জম্মু ও কাশ্মীরের আর্থিক সমৃদ্ধির পথে মূল বাধা নাকি ছিল ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারাগুলি। এগুলি সরে যেতেই কাশ্মীরে উন্নয়নের জোয়ার আসবে। তাছাড়াও এই ধারাগুলি নাকি কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িকতা ও বিচ্ছিন্নতার আবহ তৈরি করেছিল। সর্বশেষ তর্ক হোল এই ধারাগুলি নারী-বিরোধী। কাশ্মীরের মেয়েরা অ-কাশ্মীরিদের বিবাহ করলে ৩৫এ নাকি তাদের স্থায়ী নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়।
‘দ্য হিন্দু’ কাগজ ৬ অগাস্ট একটি তারিখবিহীন সরকারি নথি প্রকাশ করে যাতে এই প্রসঙ্গে সরকারি যুক্তিগুলি লিপিবদ্ধ। নথিটি স্ববিরোধে পূর্ণ। একজায়গায় বলা হয়েছে বিভিন্ন মাপকাঠিতে ভারতের রাজ্য হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নতি উল্লেখযোগ্য। গতবছরের আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রায় ৭%। পরিবারপ্রতি স্কুলের সংখ্যা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীর আশাতিরিক্ত ভালো ফল করেছে। প্রশ্ন উঠবে তাহলে কেন উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ?
উত্তর পাওয়া যাবে পরের স্তবকেই – “ধারা ৩৭০ অবশ্যই রাজ্যে বেসরকারি এবং বিশ্বায়িত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। যদি ভারতীয়রাই (অ-কাশ্মীরী) জমি বা সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে না পারে তাহলে বহুজাতিক সংস্থাগুলিই বা কীভাবে করবে”? প্রশ্ন তাহলে এখানে ‘কাশ্মীরের সমৃদ্ধির’ নয়, প্রশ্ন জমির এবং পুঁজির। এবং প্রশ্নটি নতুন নয়।
১৮৪৬ সালের অমৃতসর চুক্তি অনুযায়ী কৃষিপ্রধান জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত জমির মালিকানা বংশানুক্রমে ছিল ডোগরা রাজাদের হাতে। সেইসব জমিতে চাষ করা মূলত মুসলমান চাষীদের জমির উপর কোনো অধিকার ছিল না। দরবারের সনদের মাধ্যমে জমির মালিকানা পেতেন দরবারের উচ্চপদস্থ কর্মচারিরা, যাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন ডোগরা বা কাশ্মীরী পন্ডিত। বিখ্যাত কাশ্মীরী সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক কর্মী প্রেমনাথ বাজাজ ১৯৪১ সালে লিখছেন, “মুসলিম জনগণের দারিদ্র্য ভয়াবহ ... বেশিরভাগই ভূমিহীন কৃষক, অনুপস্থিত (হিন্দু) জমিদারদের জন্য দাসের মতো কাজ করেন... গ্রামীণ ঋণের পরিমাণ (হিন্দু জমিদার ও মহাজনদের কাছে) বিপুল” (সুমন্ত্র বোস, ‘কাশ্মীর : রুটস অফ কনফ্লিক্ট, পাথ টু পিস’, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৩)
এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ১৯৩০ এর দশকে যখন প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে ওঠে সেই আন্দোলনের সাম্প্রদায়িক চেহারা নেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু অল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স ১৯৩৮ সালে মূলত শেখ আবদুল্লা এবং তাঁর প্রগতিশীল সমর্থকদের চেষ্টায় সিদ্ধান্ত নেয় যে পার্টি “মুসলিম এবং অ-মুসলিমের ভিত্তিতে না ভেবে সাম্প্রদায়িকতার অবসান করবে” এবং “সমস্ত হিন্দু ও শিখ যারা মাতৃভূমির বন্ধন মোচনে বিশ্বাস করে তাদের আহ্বান জানাবে” (সুমন্ত্র বোস)। সেই অনুযায়ী ১৯৩৯ সালে মুসলিম কনফারেন্সের নাম বদলে ন্যাশনাল কনফারেন্স করা হয়।
১৯৪৪ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্সের অধিবেশনে পার্টির বিখ্যাত ‘নয়া কাশ্মীর ম্যানিফেস্টো’ গৃহীত হয়। মজদুর সভা এবং অন্যান্য বামপন্থী শ্রমিক ইউনিয়ন, জি এম সাদিক আর সাংবাদিক সতপাল সওহনির অনুপ্রেরণায় বি পি এল বেদির নেতৃত্বে লিখিত এই নথির ভূমিকায় শেখ আবদুল্লা বলেন “সোভিয়েত রাশিয়া আমাদের দেখিয়েছে আর্থিক স্বাধীনতাই প্রকৃত স্বাধীনতার উৎস”। সোভিয়েত সংবিধানের প্রেরণায় ম্যানিফেস্টোয় নাগরিকদের কাজের অধিকার, ন্যূনতম মজুরি, বিশ্রামের অধিকার দেওয়া হয়। একদিকে পরিকল্পিত শিল্পায়ন অন্যদিকে ভূমিসংস্কারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সামন্ততান্ত্রিক জাগিরদারি ব্যবস্থা, অনুপস্থিত জমিদারদের জমিদারি বিলুপ্তির সংকল্প নেওয়া হয়।
১৯৫৬ সালে গৃহীত জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানে ‘নয়া কাশ্মীরের’ রূপরেখাই ফুটে ওঠে। ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালে সে কথা স্বীকারও করা হয়। তার আগেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে ভূমিসংস্কার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে গৃহীত দ্য বিগ ল্যান্ডেড এস্টেটস অ্যাবলিশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ৩৯৬টি জাগির বা বড়ো জমিদারি অবলুপ্ত হয়। কৃষিজমির ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সিলিং এর অতিরিক্ত জমি ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কৃষকদের হস্তান্তর করা হয়। সমস্ত পতিত জমি রাষ্ট্রের অধিকারে আসে। ১৯৭২ এবং ১৯৭৫ সালের আইনবলে অনুপস্থিত জমিদারিপ্রথা সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হয়।
অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়কের মতে এই সর্বাঙ্গীণ ভূমিসংস্কারের সুযোগ কাশ্মীরের সরকার পেয়েছিল তার একটা বড় কারণ সংবিধানের ৩৭০ ধারা যা কাশ্মীরকে কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া বেশিরভাগ বিষয়ে নিজস্ব আইন প্রণয়নের অধিকার দেয় । ভারতীয় সংবিধানে প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার স্বীকৃত ছিল। ফলে পঞ্চাশের দশকে যখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিসংস্কার আইন আনা হয় তখন জমিদারদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে এই মর্মে আইনগুলি কোর্টে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ১৯৫৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যদি কারুর ব্যক্তিগত জমি রাষ্ট্র নিজ অধিকারে আনে তাহলে তাকে বাজারদর অনুসারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এইসব আইনি জটিলতায় বাকি ভারতে ভূমিসংস্কারের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলে। কিন্তু কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ছিল এবং সেই সংবিধানে ব্যক্তিগত মালিকানার আলাদা কোনো স্বীকৃতি ছিল না। ৩৭০ ধারার অধিকারে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের চাপ বা আইনি বাধা ছাড়াই নিজেদের সংবিধান মেনে কাশ্মীরে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটে আর দ্রুত ভূমিসংস্কার হয়।
পট্টনায়কের মতে ভূমিসংস্কারের দীর্ঘকালীন প্রভাবে রোজগারের অসাম্য, গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে। অধুনালুপ্ত যোজনা কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৯-১০ সালে ভারতের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে গ্রামীণ জনসংখ্যার সবচেয়ে কম অংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল।
ভূমিসংস্কারের ফলে আর্থিক সাম্যের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মোকাবিলা সম্ভবপর হয়। ভূমিসংস্কারে হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মের কৃষক উপকৃত হন। ১৯৬১ সালের মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ একর জমি হস্তান্তর হয়। উপত্যকার ৭০,৯০০ মুসলিম চাষীর সঙ্গে জম্মুর প্রায় ২৫,০০০ হিন্দু চাষিও জমির মালিকানা পান। নয়া কাশ্মীর ম্যানিফেস্টোর প্রথম ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত নাগরিককে তাঁদের ধর্ম, জাতি, বর্ণ, জন্ম বা লিঙ্গ নির্বিশেষে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমানাধিকার দেওয়া হয়। ব্যক্তি স্বাধীনতা, ধর্মবিশ্বাস ও পালনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক কর্মসূচী বা সংগঠনের স্বাধীনতা স্বীকৃত হয়। সেইসব অধিকার কাশ্মীরের সংবিধানেও স্বীকৃতি পায়। কাশ্মীরের বহুধর্মী সামাজিক চরিত্রকে মাথায় রেখে লাদাখে বৌদ্ধ গুম্ফার অধীনস্থ জমি ভূমিসংস্কার আইনের বাইরে রাখা হয়। এই বহুধর্মিতা সেই বহুচর্চিত ‘কাশ্মীরীয়তের’ অন্যতম চরিত্রলক্ষণ যা এক সমন্বয়ী কাশ্মীরী আত্মপরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করে। ৫০-এর দশকে ভূমিসংস্কার এবং কাশ্মীরীয়ৎ পরস্পরের পরিপূরক হয়ে ওঠে।
আশির দশকে কাশ্মীরীয়তের ঐতিহ্যে ভাটার টান পড়ে তার কারণ ধারা ৩৭০ নয়, একদিকে কাশ্মীরের ক্রমাগত সামরিকীকরণ অন্যদিকে ধর্মীয় মেরুকরণ। কাশ্মীরী ইতিহাসবিদ মহম্মদ ইশাক খান বলেন “পন্ডিতদের মাতৃভূমি ত্যাগ আর ১৯৮৯ সালে সশস্ত্র আন্দোলনের সূচনার আগে পর্যন্ত পরস্পরের উৎসব আর বিবাহানুষ্ঠানে আমাদের উৎসাহী অংশগ্রহণ ছিল প্রবাদপ্রতিম” (পার্চমেন্ট অফ কাশ্মীর, পলগ্রেভ, ২০১২)। আত্মনিয়ন্ত্রণের রাজনৈতিক লড়াইয়ের নিরস্ত্র ও সশস্ত্র দুটি রূপই দীর্ঘকাল অসাম্প্রদায়িক ছিল। কিন্তু এই দুইরকম আন্দোলনের বিরুদ্ধেই কঠোর দমননীতির প্রয়োগের ফলে ধর্মীয় কট্টরপন্থার বাড়বৃদ্ধি ঘটে।
‘নয়া কাশ্মীর ম্যানিফেস্টো’র মোড়কে উজ্জ্বল লাল পটভূমিতে দেখা যায় এক কাশ্মীরি মুসলিম নারীকে – জুনি গুজ্জর। তিনি ন্যাশনাল কনফারেন্সের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই ছবির প্রতীকী ব্যঞ্জনা রাজনৈতিক অঙ্গীকারের রূপ নেয় নারীর অধিকার সম্পর্কিত একটি গোটা অধ্যায়ে যেখানে নারীর কাজের অধিকার, সম্পত্তির, শিক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানের ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী সরকার অঙ্গীকার করে মেয়েরা সমকাজের জন্য সম বেতন পাবেন। মাতৃত্বকালীন সুযোগসুবিধা, স্বাস্থ্যের অধিকার পাবেন। সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক অধিকার পাবেন, বিবাহবিচ্ছিন্ন মেয়েরা পাবেন জীবনধারণের খরচ। ৫০ আর ৬০ এর দশক জুড়ে সরকার নারী শিক্ষা ও রোজগারের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অধিকারের সংগ্রামে কাশ্মীরের মেয়েরা চিরকাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কিন্তু নায়লা আলি খান বলেন আশির দশকে রাষ্ট্রীয় দমননীতির আবহে মেয়েরা শোকাচ্ছন্ন মা, শহিদের মা বা ধর্ষন-পীড়িতা — এই কয়েকটি পরিচয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন (উইমেন অ্যান্ড ভায়োলেন্স ইন কাশ্মীর : বিটুইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান, পলগ্রেভ, ২০১০)। যেকোনো নিপীড়িত জনগোষ্ঠীতেই মেয়েদের উপর দ্বিগুণ উৎপীড়ন হয়, কাশ্মীরও ব্যতিক্রম নয়। একদিকে তাঁরা বারংবার সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের শিকার হন। অন্যদিকে কাশ্মীরি সমাজের ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা রক্ষণশীল অংশটি তাঁদের সংবিধান-স্বীকৃত অধিকারগুলিকে খর্ব করে চলে।
এটা সত্যি কথা ৩৫এ ধারার অপব্যাখ্যা করে কাশ্মীরী মেয়েরা অ-কাশ্মীরীকে বিবাহ করলে তাঁদের কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিকত্ব এবং আনুষঙ্গিক সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হোত। পিতৃতন্ত্র সর্বগ্রাসী। মেয়েদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সুযোগ পেলে কেউই ছাড়ে না। এর সঙ্গে ৩৭০ এর সম্পর্ক নেই। ৩৭১ ধারায় অন্তর্ভূক্ত বেশ কিছু রাজ্যেরও এই জাতীয় বিশেষাধিকার আছে। ভারতে হিন্দু মেয়েদের উত্তরাধিকারের দীর্ঘলড়াইও যেন আমরা ভুলে না যাই। কাশ্মীরী মেয়েরাও নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়েছেন। আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত ১৯৭৯ সালে জম্মু কাশ্মীর হাই কোর্টে করা ডঃ সুশীলা সাহনি মামলায় ২০০৪ সালে রায় আসে কোনো কাশ্মীরী মেয়ে রাজ্যের বাইরে বিবাহ করলেও স্থায়ী নাগরিকত্ব হারাবেন না।
তাহলে কাশ্মীরের কোনো উন্নতির বকলমে ভারতীয় সংবিধানের উপর হল এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’? এ কর্পোরেট পুঁজি নিয়ন্ত্রিত সেই একই উন্নয়নের ব্লু-প্রিন্ট যা ভারতের বাকি অংশের জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নিরঙ্কুশ কব্জার চেষ্টায় আছে। কাশ্মীরের উন্নতির বাধা ধারা ৩৭০ নয়, ক্রমাগত সঙ্কুচিত হয়ে চলা গণতান্ত্রিক পরিসর যা রাজ্যে হিংসার এক অন্তহীন আবর্তের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর ক্রমশ হয়ে উঠেছে এক বধ্যভূমি। অন্য অনেককিছুর মতো ‘নয়া কাশ্মীরের’ স্বপ্নও সেই বধ্যভূমিতে বলিপ্রদত্ত হয়েছে।