গত ২১ আগস্ট এআইসিসিটিইউ-র ডাকে কলকাতায় কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তর নিজাম প্যালেসে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করেন ১০০ দিনের মধ্যে ৪৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয় বন্ধ করবে নয় বেসরকারীকরণ করা হবে। রেল, প্রতিরক্ষা, ব্যাংক, বীমা, বিএসএনএল, ইস্পাত, তেল সহ ৪৪টি সংস্থাকে তারা প্রাথমিক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। আমাদের রাজ্যে বেংগল কেমিক্যাল, এলয় স্টীল প্ল্যান্ট ইত্যাদি আছে। এই রাজ্যে রেলের কারখানা চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস তালিকায় আছে।
এর বাইরে নবরত্ন, মিনিরত্ন তো আছেই। এর সাথে সদ্য সংসদে পাশ করানো শ্রমিক-বিরোধী শ্রম কোড তো আছেই। ৪৪টি লেবার লজকে ৪টি শ্রম কোডে পরিণত করার বিল আছে। এর বিরুদ্ধে এক্সাইড মোড় থেকে এক দৃপ্ত মিছিল শুরু হয়, যা কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তর নিজাম প্যালেসে এসে সমাপ্ত হয় সমাবেশের মাধ্যমে। সমাবেশ থেকে ৫ জনের এক রাজ্য প্রতিনিধি দল চিফ ডেপুটি লেবার কমিশনার (সেন্ট্রাল)-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাংগোয়ারের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বসু, রাজ্যের অন্যতম সম্পাদক নবেন্দু দাশগুপ্ত, হুগলী জেলা সম্পাদক ও রাজ্য নেতা বটকৃষ্ণ দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও রাজ্য কমিটি সদস্য কাজল দত্ত এবং আইআরইএফ-এর রেল নেতা পার্থ ব্যানার্জি। সমাবেশে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের শ্রমজীবী মানুষের উপর আর্থিক হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসুদেব বসু, নবেন্দু দাশগুপ্ত, কিশোর সরকার, মীনা পাল, রেল নেতা এন এন ব্যানার্জি, ভিয়েত ব্যানার্জি প্রমুখ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ। সমাবেশ থেকে প্রতিরক্ষা শ্রমিকদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানানো হয়। সভার শেষে শ্রমিক-বিরোধী শ্রম কোডের বিল জ্বালানো হয়। এই অভিযানকে সফল করতে কলকাতা ও পার্শ্বর্তী জেলায় প্রচার চলে। যাদবপুর, ডালহৌসি, শোভাবাজারে প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়।