খবরা-খবর
এআইপিএফ জাতীয় পরিষদের বৈঠক হল মধ্যপ্রদেশের দুর্গে

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের দুর্গে এআইপিএফ জাতীয় পরিষদের দুদিনব্যাপী বৈঠক হয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের দুর্গে। সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশ, বিহার, দিল্লী, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবাংলা ও অন্যান্য রাজ্য থেকে। আলোচনায় সর্বোপরি সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের কেন্দ্রীয় সরকারের অসাংবিধানিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বর মাস ধরে দেশজুড়ে প্রচার অভিযান চালাবে। এটাও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সারা দেশে এআইপিএফ ২ অক্টোবর কর্মসূচী নেবে ‘আসুন গান্ধীজীর সঙ্গে পরিচিত হই’। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে এআইপিএফ হিন্দু-মুসলিম একতা, পরিবেশ, উন্নয়ন ও দেশভাগ সম্পর্কে গান্ধীজী কি বলেছিলেন সে বিষয়ে সচেতন করে তোলা হবে। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ধর্মকে নাগরিকত্ব প্রদানের ভিত্তি স্বরূপ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বকেয়া সংশোধনী সহ জাতীয় জনসংখ্যা নথীভুক্ত করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে তাকে উপরোক্ত জাতীয় পরিষদ ধিক্কার জানিয়েছে। এই অপচেষ্টাকে সমস্ত নাগরিকদেরই বিরোধিতা করা উচিত। জাতীয় পরিষদ এছাড়া আরও কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যেমন, বস্তার সংঘর্ষ, ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল, খামার সংকট, সংসদের চাষীদের স্বার্থে আইন প্রণয়ন, ইভিএম-এর বদলে পেপার ব্যালট, ৪৪টি শ্রম আইন বাতিল, রেল বেসরকারীকরণ, ইউএপিএ এবং এনআইএ-র নয়া গণতন্ত্রবিরোধী সংশোধনী, আর টি আইএর গুরুত্ব হ্রাস, অরণ্য আইন শিথিল করা, রাজনৈতিক বন্দী ও মানবাধিকার কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি ও অন্যান্য ইস্যুতে প্রচার সংগঠিত করা হবে। এই সমস্ত কর্মসূচী একযোগে আগামী সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে চলতে থাকবে।

এআইপিএফ জাতীয় পরিষদের বৈঠকে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক জন দয়াল, প্রাক্তন বিধায়ক ও সমাজবাদী নেতা সুনীলম, মানবাধিকার কর্মী বেলা ভাটিয়া, সমাজকর্মী বিজয় প্রতাপ, এআইপিডব্লিউএ সম্পাদক কবিতা কৃষ্ণাণ, এআইপিডব্লিউএ জাতীয় সভাপতি রতি রাও, ছত্তিশগড় থেকে অখিলেশ এদগার, সংঘর্ষমোর্চা থেকে ললিত সুরাজন ও মহেন্দ্র মিশ্র, ছত্তিশগড় বাঁচাও মোর্চা থেকে বিজয় পান্ডা, ব্রিজেন্দ্র তেওয়ারি (এআইসিসিটিইউ) এবং আরও অনেকে।

আলোচনা বৈঠক শেষে এক সভা করা হয়। বিষয় ছিল : ‘সংবিধানের উপর হামলার সামনে চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনশীল ভারতে জনগণের অধিকার : হস্তক্ষেপ ও বিকল্প ভাবনা’।

খণ্ড-26
সংখ্যা-26