৯ জুলাই বালি পাঠকপাড়ার কাছে বিজেপি এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বালিতে বিজেপি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির মাধ্যমে এলাকা দখলের চক্রান্ত করছে। ৯ জুলাই তারই বহি:প্রকাশ ঘটে বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষের মাধ্যমে। এলাকার পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে, শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন বালি-বেলুড় লোকাল কমিটি এই পরিস্থিতিতে দ্রুত হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। এলাকায় একটি শান্তি মিছিল এবং থানায় ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন সর্বোতভাবে প্রচেষ্টা চালায় এই কর্মসূচী যাতে না হয়। তবু এলাকার কর্মীদের একরোখা মনোভাবে প্রশাসনিক বাধাকে উপেক্ষা করেই এলাকায় মিছিল সংঘটিত হয়। জোড়া-অশ্বত্থতলা মোড় থেকে সতীশ চক্রবর্তী লেন হয়ে যে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, সেই পাঠকপাড়া পরিক্রমা করে মিছিল যায় বালি থানায়। সেখানে থানার সামনে চলতে থাকে বিক্ষোভ। প্রথমে ডেপুটেশন নিতে রাজি না হলেও পার্টির চাপে শেষপর্যন্ত ডেপুটেশন নিতে বাধ্য হয় থানা।
পার্টির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় অবিলম্বে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রচার চালাতে হবে এলাকা জুড়ে, রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত সকলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ সমস্ত দাবির সাথেই সহমত হয়। বিক্ষোভ থেকে জানিয়ে আসা হয় দ্রুত এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর না হলে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন বালি-বেলুড় লোকাল কমিটি আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির এই আস্ফালন মেনে নেওয়া হবে না। বালিকে দ্বিতীয় ভাটপাড়া বানানোর যে চক্রান্ত চলছে তার বিরুদ্ধে পার্টি প্রতিরোধে নামবে।