কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকার কর্তৃক শ্রমিকশ্রেণীর অধিকারগুলিকে সঙ্কুচিত করার প্রয়াস ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ; চুক্তি শ্রমিক প্রথা বাতিল করে সমকাজে সমমজুরী, ১৮০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরী, ৬০০০ টাকা পেনশন প্রদানের দাবী সহ ১২ দফা দাবীতে আগামী ৮-৯ জানুয়ারী দেশজোড়া সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে ৩০ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে সংগঠিত হলো এক দৃপ্ত মিছিল ও মহতী জনসভা। এ আই সি সি টিউ সহ ৮টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলির যৌথ অংশগ্রহণে ও জেলা এবং রাজ্য নেতাদের সামনে রেখে শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল দুই সহস্রাধিক বিভিন্ন স্তরের শ্রমিকশ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী মিছিলটি শহরের এয়ারভিউ মোড় থেকে মূল সড়ক ধরে অগ্রসর হয়ে দুপুর একটা নাগাদ বাঘাযতীন পার্কময়দানে প্রবেশ করে। মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন রাজীব ডিমরি, বাসুদেব বসু, শ্রমন পাঠক, অলোক চক্রবর্তী, অনাদি সাহু, অভিজিৎ রায়, বিকাশ সেন রায়, জিয়াউল আলম প্রমুখ। শ্রমিক সমাবেশটির প্রারম্ভে সদ্যপ্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্দেশক ও বক্তব্য রাখছেন এ আই সি সি টি ইউ সাধারণ সম্পাদক রাজীব ডিমরি। নির্মাতা মৃণাল সেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধায় নীরবতা পালনের পরে গণ সংগীত পরিবেশন করেন ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের উত্তরধ্বনি শাখা ও মীরা চতুর্বেদী। রক্তপতাকা রঞ্জিত এই সমাবেশের প্রথম বক্তা ছিলেন এ আই সি সি টি ইউ-র সাধারণ সম্পাদক রাজীব ডিমরি। তিনি তাঁর বক্তৃতায় চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মালিক তোষণনীতির তীব্র সমালোচনা রাখেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতি প্রণয়নের অপচেষ্টাকে সমূলে উৎপাটিত করার জোরালো আবেদন জানান। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সি আই টিউ-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন, এ আই টি ইউ সি-র রাজ্য সম্পাদক উজ্জ্বল চৌধুরী, ইউ টি ইউ সি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ, আই এন টি ইউ সি-র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার, এ আই ইউ টি ইউ সি-র রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সমাবেশটিতে সভাপতিমন্ডলির পক্ষে সভা পরিচালনা করেন অলোক চক্রবর্তী এবং সভা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমন পাঠক। সমাবেশে চা শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।