আমন্ত্রিত বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিপিআই রাজ্য পরিষদের উজ্জ্বল চৌধুরী, আরএসপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআই(এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
নীচে পড়ুন বক্তাদের বক্তব্য। বক্তারা ক্রমানুসারে যেভাবে বলেছেন সেইভাবেই এখানে পরিবেশন করা হল।
উজ্জ্বল চৌধুরী : কেন্দ্রের এমন একটা সরকার এসেছে যা শ্রমিক শ্রেণি থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। বিচার ব্যবস্থা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নীতি আয়োগ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর, মুক্তচিন্তার ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে। মোদি বক্তৃতায় বলছেন ভারতে প্লাস্টিক সার্জারি যে ছিল তার প্রমান গণেশ। ইতিহাসের সঙ্গে কল্পনাকে মেলানো হচ্ছে। নবরত্ন সংস্থাগুলির ওপর আঘাত আসছে। রেল, প্রতিরক্ষা শিল্পের বেসরকারীকরণ হচ্ছে। পার্মানেন্ট লেবারের ধারণাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিকে দেউলিয়া করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের নামে জেএনইউ, যাদবপুর, জামিয়া মিলিয়ার ওপর আক্রমণ আসছে। আমেরিকার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ভারতকে দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ প্যাটেলের মূর্তি স্থাপন করে তাকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে। সুভাষ বসু, ভগৎ সিং, আম্বেদকারকে তারা আইকন হিসেবে ধরার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারছেন না। কারণ ভগৎ সিং এর ইনকিলাব এর স্লোগান, আম্বেদকরের ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী স্লোগান, সুভাষ বসুর আই এন-এর অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে আত্মস্থ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় লালঝাণ্ডার লড়াই হচ্ছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লালঝাণ্ডাই পারে। লালঝাণ্ডার একসাথে চলার কথাটাই এখন সবচেয়ে বড় কথা। নেপালে যদি লালঝাণ্ডা একসাথে আসতে পারে, আমাদের তেমন ভাবতে সমস্যা কোথায় ? কাজটা সহজ নয়। কিন্তু হলে আশেপাশে বড় প্রেরণা তৈরি করতে পারবে। সেইসঙ্গে বামপন্থীদের আরও অন্যান্য বন্ খুঁজে দেখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার জন্য আমাদের নতুন ভাষা খুঁজে বের করতে হবে।
মনোজ ভট্টাচার্য : বামপন্থী ঐক্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কারণ অবস্থাটা খুব জটিল ও কঠিন। সারা পৃথিবী জুড়ে চরম দক্ষিণপন্থার বিকাশ ঘটছে। পুঁজিবাদ যখনই সঙ্কটে পড়ে তখনই তাকে অতি মুনাফার দিকে ঝোঁকার জন্য শ্রমিকের অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে খর্ব করতে হয়। তিরিশের মহামন্দার সময় ফ্যাসিবাদ এই জন্যই বিকশিত হয়েছিল। ২০০৮ এর আর্থিক সঙ্কটের পরও এজন্যই তার বিকাশ হচ্ছে। মিডলটন ফ্রিডম্যান তার নিওলিবারাল আর্থিক মডেলের বিকাশের জন্য গণতন্ত্রকে সমস্যা হিসেবে দেখেন। বামফ্রন্ট সরকারও অনেক ভুল করেছিল। শ্রেণি সমন্বয়ের রাস্তায় চলে যাওয়া হয়েছিল, আর তা ছিল ভুল। একসময়ে দেখা যেত রাজনীতির ধর্মীয়করণ। এখন সেখান থেকে আরো এগিয়ে দক্ষিণপন্থা ধর্মের রাজনীতিকরণ করছে। মোদি, যোগী, মমতা — সকলেই তা করছেন। এজন্যই নারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়ছে। কারণ ধর্মের রাজনীতিকরণ এর বৈশিষ্ট্যই তাই। মোহন ভাগবত বলে দিয়েছেন তাদের প্রধান শত্রু দুই এম। মার্কসবাদীরা ও মুসলিমরা। কারণ তাদের যে ধর্মের রাজনীতিকরণ ও রাজনৈতিক হিন্দুত্ব তার প্রধান শত্রু এরাই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সংসদের ভেতরের শক্তির মাপে সব কিছুকে বিচারের মাপকাঠি তৈরি করতে চায়। সেটা আমরা আমাদের মাপকাঠি করে তুলতে পারি না। আমাদের মানুষের সংগঠনের সমর্থনের শক্তির ওপর বেশি আস্থাশীল হতে হবে, সংসদের শক্তির ওপর নয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করার দিকে, বড় লক্ষ্য পূরণ করার দিকে এগোতে হবে। নির্বাচনে আমরা লড়ব, কিন্তু সেটাই শেষ পথ ভেবে নেব না।
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, : গত প্রায় আশি নব্বই বছর পৃথিবী এইরকম অবস্থা দেখেনি। এই রকম পরিস্থিতি প্রায় অনেকটা দেখা গিয়েছিল তিরিশের মহামন্দার সময়। তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যেকার লড়াই। তবে এবারো যুদ্ধ হবে তা বলছি না। এই পরিস্থিতির মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলির একটি হল শ্রমিক কৃষক সাধারণ মানুষের ওপর হামলা। কৃষির সঙ্কট, শিল্পের সঙ্কট, বেকারির সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। মোদি বলেছিলেন বছরে দু কোটি লোকের কাজ দেবেন। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন তিনি নাকি প্রায় এককোটি কাজ দিয়েই দিয়েছেন। অথচ বাস্তবের পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে নিট হিসেবে এক কোটি লোকের কাজ চলে গেছে।
স্বাভাবিকভাবেই এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। আর তাকে থামানোর জন্য গণতন্ত্রের ওপর প্রবল আক্রমণ চলছে। ২০১৪ থেকে দিল্লিতে যা দেখছি, আমাদের রাজ্যে ২০১১ থেকেই তা দেখা যাচ্ছে। এখন যা চলছে, সেই ক্রোনি ক্যাপিটালিজম এর জমানা, তাতে আদিম সঞ্চয় বলে মার্কস যা বলেছিলেন, সেরকম ব্যাপার দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতির লুম্পেনাইজেশন দেখা যাচ্ছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা যা দেখলাম তা নজিরবিহীন। ব্লকস্তর থেকে সর্বত্র নমিনেশন দিতে না দেওয়ার জন্য হামলা, দেওয়ার পরে প্রত্যাহার করানোর জন্য হামলা, গণনায় কারচুপি থেকে জেতার পর কিনে নেবার চেষ্টা — সবই দেখা গেল। এই আক্রমণের চেয়েও মারাত্মক হল জাতি-ভাষা-ধর্মের নামে আক্রমণ। ট্রাম্প বলছেন আমেরিকা কেবল মার্কিনদের জন্য আর মোদি বলছেন ভারত হিন্দুদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে গিয়ে বলেন সেখানকার মানুষকে বাংলা শিখতে হবে। এখানে ভাষার প্রশ্নে মেরুকরণ করার চেষ্টা চলছে। আরএসএস আদিবাসিদের মধ্যে সাঁওতাল মুণ্ডা ইত্যাদিদের মধ্যে পার্থক্য করার ও বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। মনোজগতের স্তরে আক্রমণ শানিয়ে বিভাজন তৈরি করে মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিয়ে, দাঙ্গা বাঁধিয়ে ওরা নিজেদের কাজ হাসিল করতে চাইছে।
আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে মারাত্মকভাবে খর্ব করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক, কাগজ, টিভি চ্যানেল, খনি, যুদ্ধ সরঞ্জাম সবকিছুতে অবাধ বিদেশি বিনিয়োগকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্কট যতই গভীরতর হোক, মানুষ সব সময়েই লড়াইতে থাকবেন। মানুষের ক্ষোভ যত বাড়বে তত একদিকে দক্ষিণপন্থা অন্যদিকে বামপন্থা বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে থাকবে। পরিস্থিতির বিশ্লেষণই শুধু যথেষ্ট নয়, তাকে মতাদর্শ রাজনীতি সংগ্রাম সংগঠন দিয়ে একে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জটা আয়ত্ত করাই প্রধান কাজ।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, : এই পরিস্থিতিতে বিজেপি অযোধ্যা চলোর কথা বলছে। আমাদের সামনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ আছে। আর্থিক পরিস্থিতি বেঁচে থাকা রুটি রুজির দিক থেকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলি আছে। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের সামনে বামেদের সামনে দুটো মূল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটা হল বামেদের শক্তির পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ। বামেদের ক্ষয় ২০০৬ থেকে শুরু হয়। বিশেষ করে ২০১১-এর পর থেকে তা তীব্র হয়ে ওঠে। মমতাকে এখানে উঠে আসতে হচ্ছিল এক বাম নির্মোক নিয়ে, তার বাধ্যবাধকতা তখন ছিল। আর দেশে ২০১৪-তে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতার অবস্থান হল এখন তার লড়াইটা বিজেপির সাথে। এখানে তিনি এখন ভাঙড় ঘটাতে পারেন। প্রথমে তিনি ইমামদের ভাতার কথা বললেন, তারপর পুজোয় টাকা দেওয়া। এখন তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা রামনবমী হনুমান পুজো নিয়ে।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস আর বিজেপির প্রচারকে অনেক সময়ই আলাদা করা যাচ্ছে না। রাহুল গান্ধী মন্দিরে মন্দিরে যাচ্ছেন। আর তাকে বিজেপি আরো চেপে ধরছে। প্রশ্ন করছে রাম মন্দিরের পক্ষে থাকবেন তো? ফ্যাসিবাদ ক্রমশ বাড়ছে। ক্রনি ক্যাপিটালিজম গণতন্ত্রকে পছন্দ করে না। জমি অধিগ্রহণ সংসদ বাতিল করে দিতে পারে, তাই অর্ডিনান্সই ভরসা। মোদি-আম্বানী-আদানিদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সক্রিয়। যেহেতু বিজেপির মূল ভিত্তি খুচরো মাঝারী ব্যবসায়ী। তারা ডি-মানিটাইজেশনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ। এখন বলা হচ্ছে তারা ঊনষাট সেকেণ্ডে লোন পাবে। এজন্য আবেদন করতে হবে এমন এক কোম্পানির মাধ্যমে যার কোনও পরিচিতিই সেভাবে নেই, এক ভুঁইফোঁড় সংস্থা। দলিতদের ওপর, পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর, মেয়েদের ওপর যে আক্রমণ খুব বেড়ে গেল তার একটা কারণ বিজেপির ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই ক্ষমতায় এসে গেল আর এস এস। অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, বিভিন্ন সেনার নামে একটা নজরদারীর ব্যবস্থা করা হল। মনুসংহিতাই হল তাদের আরাধ্য। তাদের ট্যুইটার কর্তার হাতে যখন ব্রাহ্মণ্যবাদী পিতৃসত্তা নিপাত যাক প্ল্যাকার্ড কেউ ধরিয়ে দিল, তখন তার বিরুদ্ধে বিরাট হইচই শুরু হয়ে গেল। এটাকে ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বলে দেখিয়ে দেওয়া হল। কংগ্রেসের এক প্রবক্তাও বলে বসলেন সেই মণ্ডল কমিশনের সময় থেকেই ব্রাহ্মণরা আক্রান্ত। ট্যুইটার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল।
এসব থেকে বোঝা যায় ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রভাব কত বেশি, তা কীভাবে এই জমানায় বাড়ছে। ভারতকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করার চেষ্টা চলছে। এন আর সি, পাসপোর্ট এন্ট্রির নতুন আইন, নতুন নাগরিকত্ব বিল এসবের মধ্যে দিয়ে এটা করার চেষ্টা চলছে। আশেপাশের দেশের অমুসলিমরা এদেশে সহজে আসতে পারবেন, সহজে নাগরিকত্ব পাবেন — এসবই এগুলোতে বলা হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে ইজরায়েল যেমন ইহুদীদের দেশ, তেমনি ভারতও মূলত হিন্দুদেরই দেশ, অমুসলিমদের দেশ। দেশের চিন্তা চেতনাকে ক্রমশ পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোটা দেশকে ফ্যাসিবাদ পুরোটা গ্রাস করে নিয়েছে সেটা না বললেও সেদিকেই ক্রমশ এগোনো হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আরবিআই, সিবিআই, সুপ্রিম কোর্ট সব দখলের চেষ্টা হচ্ছে। এটা একটা বড়সড় বিপর্যয়। আম্বেদকর সংবিধান গ্রহণের সময় বলেছিলেন এদেশ হিন্দু রাষ্ট্র হলে তা হবে একটা বিপর্যয়। আমরা সেই বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। আমাদের বিপর্যয়কে ঠেকানোর চেষ্টা করা প্রথম কাজ। হিন্দি বলয়ে বা দক্ষিণ ভারতে এটা নিয়ে যতটা দেখা যাচ্ছে, আসাম পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরায় সেটা ততটা দেখা যাচ্ছে না। এর জন্য দরকার পশ্চিমবঙ্গে যে মানুষগুলো বামপন্থার সঙ্গে ছিলেন তাদের আস্থা আবার ফিরে পাওয়া। বিজেপি জানে বামপন্থীরাই তার সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। জেএনইউ থেকে যাদবপুর, যেখান থেকে নতুন বামপন্থীরা উঠে আসে তারা সেখানে আক্রমণ করছে। কেরালায় শবরীমালা দিয়ে বিজেপি বামপন্থীদের দুর্বল করতে চাইছে।
আজ গণতন্ত্র যে সংকটে পড়েছে তাকে সফলভাবে মোকাবিলা যদি বামপন্থীরা করতে পারে, তাহলে তার একটা নতুন পরিচিতি হবে। সেটা কয়েকটা রাজ্যে সরকার চালানো বা তেভাগা, তেলেঙ্গানার মতো আন্দোলনের শক্তির বাইরে একটা নতুন পরিচিতি। পঁচাত্তরের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে লড়াই, তা অনেক নতুন অধিকার সংযোজন করেছিল আমাদের গণতন্ত্রে। মানবাধিকার আন্দোলন, রাজনৈতিক বন্দীদের অধিকারের প্রশ্ন, বন্দীমুক্তির মতো অসংখ্য কিছু আমরা পেয়েছিলাম। বিএসপি ধরনের দলিত আন্দোলন সামাজিক কাঠামোয় কোনও বড় পরিবর্তন আনতে চায়নি, কিন্তু আজকের দলিত আন্দোলন জমির প্রশ্নকে বড়ভাবে দেখছে। জিগনেশ মেভানীদের আন্দোলন এই প্রশ্ন বড়ভাবে তুলেছে ও আলোড়ন ফেলেছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের আন্দোলন বা মি টু আন্দোলন একটা বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন চাইছে। আমরা বামপন্থীরা এর মধ্যে আছি। আরো বড়ভাবে আমাদের থাকতে হবে। ত্রিপুরায় যখন লেনিনের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে তখন মহারাষ্ট্রে কৃষকদের লং মার্চ বামপন্থাকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। পুরনো বিতর্ক বা ভুল বোঝাবুঝি এখন বড় ব্যাপার নয়। নতুন পরিস্থিতিকে আয়ত্ত করে, বামপন্থীরা যদি চ্যালেঞ্জগুলো নিতে পারে তাহলে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো পশ্চিমবঙ্গেও বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ পুনরুজ্জীবন সম্ভব।
এই আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিআই(এমএল) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ।