খবরা-খবর
মিছিল ও শহীদ স্মরণ

ফ্যাসিবাদী বিজেপি এবং স্বৈরাচারী তৃণমূলকে প্রতিহত করার ডাক দিয়ে ২৪-২৬ নভেম্বর নদীয়ার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হল সিপিআই(এলএল) লিবারেশনের একাদশ রাজ্য সম্মেলন। মিছিল সংগঠিত হয় ২৪ নভেম্বর বেলা ১টায় কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে সম্মেলনের প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষক এবং শয়ে শয়ে সমর্থকদের নিয়ে। এগারোটি বৃহৎ পতাকা নিয়ে মিছিলের পুরোভাগে ছিল এগারোজন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে শ্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল। রাস্তার দুধারে তখন মানুষের ঢল, ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে নকশালপন্থীদের এই সুবিশাল মিছিল দাগ কেটে চলে মানুষের মনে; গোটা এলাকা লাল পতাকা, চাইনিজ, চেন সুসজ্জিত আর তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে মিছিল, দৃপ্ততায় হাজারো কন্ঠের শ্লোগানে মিছিলের মেজাজ তখন ফ্যাসিবাদকে রুখতে বদ্ধপরিকর।

লাল পতাকার সুবিশাল এই মিছিল কৃষ্ণনগরবাসীকে আবার যেন সাহস যোগাচ্ছিল লুঠ-দমনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধের, আনন্দ-নুরুলদের ভূমিতে বারবার জানান দিচ্ছিল দাঙ্গাবাজদের ঠাঁই কৃষ্ণনগরের মাটিতে নেই। মিছিল শেষ হয় রবীন্দ্রভবনে শহীদ স্মরণস্থলে পৌঁছে। সেখানে শুরুতেই রক্তপতাকা উত্তোলন করেন নদীয়ার বর্ষীয়ান পার্টি নেতা প্রাণবল্লভ রায়, তিনি শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন। মাল্যদান করেন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, পলিটব্যুরো সদস্য স্বদেশ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, সম্মেলনের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পলিটব্যুরো সদস্য কবিতা কৃষ্ণান এবং নদীয়া জেলা সম্পাদক সুবিমল সেনগুপ্ত। এরপর বিগত দিনে যে সকল সংগ্রামের সাথীদের আমরা হারিয়েছি তাদের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়।

খণ্ড-25
সংখ্যা-36