ফ্যাসিবাদী বিজেপিকে পরাস্ত করুন, স্বৈরতান্ত্রিক-দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে প্রতিহত করার ডাক দিয়ে ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর নবম জেলা সম্মেলন শুরু হয় বাঁকুড়া শহরের এক ধর্মশালায়। সম্মেলন উপলক্ষ্যে শহরের নামকরণ করা হয় জেলার প্রয়াত নেতা কমরেড অজিত তেওয়ারী এবং সভাগৃহের নামকরণ করা হয় কমরেড ধূর্জটি প্রসাদ বক্সীর নামে। হাসা-ভাষা-লায় লেকচার অধিকার রক্ষার শপথ নিতে আদিবাসী কনভেনশন হয়। কনভেনশনের পর পতাকা উত্তোলন কর্মসূচী করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন জেলার বর্ষীয়ান নেতা মানিক নন্দী। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন মানিক নন্দী, সি পি আই (এম এল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, রাজ্য পর্যবেক্ষক সলিল দত্ত, রাজ্য কমিটির সদস্য কল্যাণ গোস্বামী এবং জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জী। শহীদের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে পতাকা উত্তোলনের পর্ব শেষ হয়। প্রথমে সুধীর মুর্মু, বৈদ্যনাথ চীনা, শ্যামল চ্যাটার্জী এবং ফারহান এই চারজনকে নিয়ে সভাপতিমণ্ডলী গঠন করা হয়। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ। তিনি জাতীয় ও রাজ্য পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এরপর প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদায়ী সম্পাদক। রাজ্য পর্যবেক্ষক সলিল দত্ত বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস মোকাবিলা করে একটি আসনে জয়লাভ এবং তার পরপরই জমির দালাল এবং পুলিশের সহযোগিতায় জেলা পার্ অফিস ভেঙ্গে দখল নেওয়ার পরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এই সম্মেলন এবং আদিবাসী কনভেনশন করার জন্য জেলার সমস্ত সদস্যকে অভিনন্দন জানান। ২ জন মহিলা সহ ১৫ জন প্রতিনিধি প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা করেন। সকলেই বলেন, ব্রাঞ্চ স্তরে পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং এলাকায় এলাকায় জনগণের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। জবাবী ভাষণের পর সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিবেদন গৃহীত হয়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়তু দেশমুখ এবং রাজ্য সদস্য মলয় তেওয়ারী। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সদস্য অমিত দাশগুপ্ত। সবশেষে ২ জন মহিলা সহ ১৭ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়। এর মধ্যে একজন আদিবাসী মহিলা সহ তিনজন যুবক। নতুন জেলা কমিটি পর্যবেক্ষক সলিল দত্তের উপস্থিতিতে তার প্রথম বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বাবলু ব্যানার্জীকে পুনরায় সম্পাদক নির্বাচিত করে। সম্মেলনে ৭০ জন প্রতিনিধির মধ্যে ৫১ জন উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মেলনে কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
আগামী ২৪-২৬ নভেম্বর নদীয়ার কৃষ্ণনগরে পার্টির রাজ্য সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনের বার্তা দেওয়াল লিখন, এলাকায় মিছিল, বাড়ী বাড়ী অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য খুব শীঘ্রই নেমে পড়তে হবে। আগামী নভেম্বরে বিহারের জাহানাবাদে ‘আয়ারলার’’ জাতীয় সম্মেলন হবে। এর আগে জেলার সম্মেলন এবং ১০ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।