খবরা-খবর
হুগলী জেলায় ‘বিজেপি হারাও’ প্রচারাভিযানে সিপিআই(এমএল)
campaign-in-hooghly-district

পার্টির হুগলী জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার গ্রাম ও শহরাঞ্চলে শুরু হয়েছে ‘বিজেপিকে পরাস্ত করুন’ প্রচারাভিযান।

গত ৫ এপ্রিল ধনেখালিতে বিজেপি হারাও কর্মসূচি সংগঠিত হয়। ধনেখালির কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে হাটতলা সিনেমাতলা ঘুরে দেড় ঘণ্টার পদযাত্রা শেষ হয় মদনমোহনতলায়। সেখানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলানেতা মুকুল কুমার। এই কর্মসূচির মূল শক্তি ছিলেন স্থানীয় আদিবাসী ও ক্ষেতমজুর, বর্গাদার সাথীরা, যাঁরা জীবনযাত্রার বিভিন্ন পদক্ষেপে নিপীড়িত হয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের দ্বারা, কিন্তু আজকের সময়ের রাজনৈতিক অনিবার্যতাকে অনুধাবন করে তাঁরা ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার অধিকারে, ঋণমুক্তির দাবিতে, চোর ধরার অজুহাতে মানুষের একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার বেয়াদবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াকে অগ্রাধিকারে রাখছেন।

জেলার দ্বিতীয় বড় কর্মসূচিটি সংগঠিত হয়েছে উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকায়। ইলেক্টোরাল বন্ডে ৬০৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি ও কর্পোরেট আদানি-আম্বানির দালাল মোদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার বার্তা নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী বিজেপিকে একটিও ভোট না দিয়ে পরাজিত করার আহ্বানকে জনগণের সামনে রেখে গত ৭ এপ্রিল কোন্নগর, নবগ্রাম, হিন্দমোটর ও উত্তরপাড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ট্যাবলো সহ সাইকেল মিছিল সংগঠিত করলো পার্টির উত্তরপাড়া জোন এরিয়া কমিটি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পার্টির হুগলী জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার, এরিয়া সম্পাদক অপূর্ব ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্যা চৈতালী সেন ও রাজ্য কমিটি সদস্য সজল অধিকারী, সাংবাদিক ও অধিকার আন্দোলনের সংগঠক রূপম চট্টোপাধ্যায় সহ অনেক কর্মী সমর্থক। মহিলা, ছাত্র-যুব, মিল ও নির্মাণ শ্রমিক সাথীদের অংশগ্রহণ ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। এই অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরে দেওয়াল লিখনও চলছে। এছাড়া পোলবা-দাদপুর ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চল হারিট বাজারে দল বেঁধে লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করেন কমরেডরা। বলাগড় ব্লকেও শুরু হয়েছে পোস্টারিং।

খণ্ড-31
সংখ্যা-13