(লিবারেশনে অক্টোবর ২০২২-এ প্রকাশিত এই প্রবন্ধের সময় সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান সুপ্রিম কোর্টের আদেশে মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও শর্তসাপেক্ষে কারারুদ্ধ ছিলেন। অবশেষে, তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়, তিনি এখন জেলের বাইরে। - সম্পাদকমন্ডলী, দেশব্রতী)
সিদ্দিক কাপ্পান ৭১১ দিন আটক থাকার পর, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন, কারণ তার বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সিদ্দিক কাপ্পান এখনও জামিন পাননি। পেশায় কাপ্পান একজন সাংবাদিক। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত মহিলার গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা কভার করতে যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কাপ্পানকে চড় মারে। রাতারাতি দেশবিরোধীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয় তার গায়ে এবং ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে সত্যি কথা বলার জন্য গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাকে নিন্দা করা হয়। কাপ্পান অনেকের কাছে একটি পরিচিত গল্পের ছবি প্রতিফলিত করে; যারা তার মতো ভারতে ক্রমে বেড়ে চলা ‘রাজনৈতিক বন্দী’ নামক একদল মানুষের একজন।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে আইনজীবী, সাংবাদিক, ছাত্ররা নির্যাতিত হয়েছে তাদের আদর্শের জন্য এবং মানুষের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল অধিকারের লড়াইতে বিশ্বাস রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এই নির্যাতনের হার। ২০১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁও সম্পর্কিত গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে এবং ২০২০ সালে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন থেকে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের গ্রেপ্তার এবং সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরের গ্রেপ্তার প্রমাণ করে যে, দেশের শাসক দল এমন যে কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দী করতে উন্মুখ যারা অস্বস্তিকর সত্য কথা বলে এবং হিন্দুত্ববাদী-ব্রাহ্মণ্যবাদী বিজেপি সরকারের আসল রূপ সাধারণ মানুষের সামনে নিয়ে আসে! দিল্লী দাঙ্গার ঘটনায় অপরাধমূলক মিথ্যে অভিযোগে উমর খালিদ এবং অন্যান্য সিএএ-বিরোধী অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় আনন্দ তেলতুম্বে, অধ্যাপক হ্যানি বাবু, গৌতম নাভলাখা এবং অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করার পেছনে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল — বিরোধী স্বরের উপর দমনমূলক আইন প্রয়োগ করছে কেন্দ্রের মসনদে বসে থাকা বিজেপি সরকার। ইউএপিএ ১৯৬৭’র অধীনে জামিন একটি বিরল সম্ভাবনা। মাত্র কয়েকদিন আগে প্রফেসর হ্যানি বাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। ভারাভারা রাওকে সুপ্রিম কোর্ট মেডিক্যাল বেল দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু একইসময় ফাদার স্ট্যানস্বামী জেল হেফাজতে মৃত্যুর সাথে লড়ছিলেন। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, ইউএপিএ’র অধীনে অভিযুক্তদের যারা জামিন পেলেন, তাদের ৯৭.২ শতাংশ নির্দোষ। এনসিআরবি তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি পিইউসিএল রিপোর্টে দেখা যায় যে, ইউএপিএ’র অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া ৮,৩৭১ জনের মধ্যে মাত্র ২৩৫ জনকে ২০১৫-২০ সালের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
দীর্ঘকাল ধরে বলা হচ্ছে যে, ভারতে কাশ্মীরের উপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের হার সর্বাধিক। ফলত কাশ্মীরে বিরোধী কণ্ঠস্বরের বিচার হয় সংখ্যাগরিষ্ঠের মদতে, নিখুঁতভাবে তাদের বিরুদ্ধে কেস সাজানো হয় এবং তারপর সরাসরি মৃত্যুদন্ডের ব্যবস্থা করা হয়। রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রেও তাই। মোদী সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্তের পর ৫,০০০ জনের অধিক কাশ্মীরী জনগণকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। উপত্যকা জুড়ে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকদের বহু দূরের জেলে পাঠানো হয় অথবা গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে, জম্মু কাশ্মীর কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটি (জেকেসিসিএস) — শ্রীনগরের একটি দল যা কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই দলের একজন সদস্য, প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজকে আর্থিক মদতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) দায়িত্ব নেওয়ায় তাকে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়, ফলে তার জামিন পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই বছরের শুরুর দিকে কাশ্মীরী সাংবাদিক ফাহাদ শাহকে জম্মু ও কাশ্মীর জননিরাপত্তা আইন ‘PSA’এর অধীনে আটক করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল এই যে, তিনি সরকার এবং সরকারের নীতির বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর প্রচার করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন!
রাষ্ট্রের কর্পোরেট স্বার্থবাহী নয়া-উদারবাদী নীতিগুলি বড় কর্পোরেট হাউসগুলিকে আদিবাসী এবং অন্যান্য দুর্বল সম্প্রদায়গুলিকে অপসারণ ও বাস্তুচ্যুত করে প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করার অবাধ ছাড়পত্র দিয়েছে। এই সম্প্রদায়গুলির প্রতিরোধকে রাষ্ট্র হুমকি হিসাবে দেখে। নিপীড়িতদের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে অপরাধ হিসাবে দাগিয়ে দমনমূলক আইনের মাধ্যমে তার টুঁটি টিপে ধরে। কর্পোরেট লুট ও দখলের বিরুদ্ধে ঝাড়খন্ডের আদিবাসী জনজাতির সংগ্রাম পথলগাধি আন্দোলনের আকারে পরিণত হওয়ায় সম্মিলিত শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিল। এই আন্দোলনে উপস্থিত ১০,০০০ জনেরও বেশি আদিবাসীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই বছরের শুরুর দিকে, ওডিশার জগৎসিংহপুর জেলার ঝিনকিয়া গ্রামে জেএসডব্লিউ’এর মেগা স্টিল প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য অসংখ্য গ্রামবাসী এবং কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ এই আদর্শ নিয়েই শাসক দল দেশ চালাচ্ছে। মানুষের মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে তাদের প্রতিবাদ দমন করতে ফৌজদারি আইনকে সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওদের সাজানো ছক সহজবোধ্য। সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামাটাই শুধু নয়, সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করার যে কোন চিন্তার বহিঃপ্রকাশকেই অপরাধ হিসাবে দাগিয়ে দিচ্ছে সরকার। রাষ্ট্র উন্মত্তের মতো তদন্ত প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার করে চরম অন্যায্য ফৌজদারি আইন দিয়ে প্রতিবাদী জনগণকে আটকে রাখার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। এইভাবে, দিল্লী দাঙ্গার তথাকথিত তদন্ত সিএএ-বিরোধী কর্মীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এবং ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও দলিত বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্যবস্তু করে ফেলা হয়েছে। মোদী জামানা যে কতদূর যেতে পারে তা সম্ভবত আসাম পুলিশের দ্বারা গুজরাট থেকে জিগনেশ মেভানিকে গ্রেপ্তার করা এবং একটি নিছক পাবলিক ট্যুইট প্রকাশের জন্য সাংবাদিক জুবায়েরের ল্যাপটপ পুনরুদ্ধার করতে দিল্লী পুলিশ তাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার মতো পদক্ষেপ আমাদের কাছে জলের মতো পরিস্কার করে দেয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানোর জন্য কঠোর আইন এবং একটি মাজাভাঙা বিচার বিভাগ ফ্যাসিস্ট শাসকের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হিসাবে কাজ করছে। যে সমস্ত মামলাগুলোতে ফাঁসানো হয়েছে তার সবগুলোই সাজানো হয়েছে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে। শাসন চালানোর কেতাবে মামলা আদালতে প্রমাণ করার মধ্যে নয়, বন্দীদের দীর্ঘস্থায়ী ও নিষ্ঠুর অপরাধমূলক প্রক্রিয়ায় জড়ানোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের সাফল্য। ভীমা কোরেগাঁওয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে প্রমাণ ছিল যে, পুণে পুলিশ দুই রাজনৈতিক বন্দীর ডিভাইসে মিথ্যা ও জাল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারপরও পুলিশকে এরজন্য দায়বদ্ধ করা হল না, মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হল না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখনও বিচার শুরু হয়নি, রাজনৈতিক বন্দীরা — যাদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক — জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ভীষণ দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। এমনকি তারা মশারি এবং টেলিফোনের মতো মামুলি সুবিধাগুলিও জেলের ভেতর পাচ্ছেন না। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে স্ট্যানস্বামী হলেন অন্যতম। তাঁকে গতবছর কারাগারে সময়মতো চিকিৎসা করা হয়নি। তিনি কারারুদ্ধ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক হত্যার শিকার হন। আজ, ভার্নন গনসালভেস, জিএন সাইবাবা এবং গৌতম নাভলাখার মতো অন্যরা একইভাবে তাদের সুস্থতার জন্য লড়াই করছেন। তবু এ’বিষয়ে রাষ্ট্রের ভাবার অবকাশ নেই।
বলা হয় যে, গণতন্ত্র কেবলমাত্র শূন্যগর্ভ স্বপ্ন নয়, এটি এক অর্থপূর্ণ ধারণা যার অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই বলা হয়েছে; ন্যায়বিচার, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক; চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মর্যাদা ও সুযোগের সমতা। এই শাসন ব্যবস্থা জানে যে গণতন্ত্রকে বাদ দেওয়া যাবে না, বরং গণতন্ত্রকে সবচেয়ে নিষ্ঠুরভাবে নিঃশেষ করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করার মাধ্যমে, সাধারণের চিন্তা-মতপ্রকাশ-ধর্ম পালনের স্বাধীনতাকে সে খর্ব করে। সর্বোপরি, সমাজে সমতার আদর্শ প্রতিষ্ঠার পথে বাঁধা সৃষ্টি করে।
গণতন্ত্র এবং ভিন্নমতের যেকোনও কণ্ঠস্বরকে প্রতিহিংসামূলকভাবে দমন করা ভারতীয় ছাঁচের ফ্যাসিবাদের একটি অপরিহার্য্য বৈশিষ্ট্য। যারা কারাগারে বন্দী তাদের কেবল ‘রাজনৈতিক বন্দী’ বলা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, গণতন্ত্র, ভিন্নমতের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের উপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার অপরাধীকরণ এবং দমনমূলক আইন ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী নিয়মনীতির বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হচ্ছেন, তাদেরকে যেকোনো মর্মে সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দিচ্ছে বিজেপি সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে মনে রাখা দরকার যে, ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিক বন্দীরা তাদের আলাদা পরিচয়ের স্বীকৃতি চেয়েছেন। কারাগারের কয়েদিদের থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য নয়, বরং সংগ্রাম বা বিশ্বাসের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য। রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়িয়ে গর্জে উঠবে বলে! স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন ভগৎ সিং এবং অন্যান্য বিপ্লবীরা এই উদ্দেশ্যে কারাগারে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করতেন, তেমনই আজকেও রাজনৈতিক আদর্শ এবং সক্রিয়তার জন্য কারাগারে বন্দীরা প্রকৃতপক্ষে ‘রাজনৈতিক বন্দী’।
আমাদের অবশ্যই পাল্টা লড়াই দিতে হবে। আমাদের অবশ্যই লড়তে হবে সেই চেতনা এবং মূল্যবোধের জন্য যা এই বন্দীদের মুক্ত করে এবং একইসাথে গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত রাজবন্দীদের মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে। যে সমাজ তার ভিন্নমতকে কারারুদ্ধ করে, সেই সমাজ প্রগতিকেও রুদ্ধ করে। সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য একটানা লড়াইয়ের জন্য আমাদের তাঁদের সাথে একাত্ম হতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য এই একাত্মতার বন্ধনকে শক্তিশালী করতে হবে। তাঁদের আশা দিতে হবে যে, কারাগারের বাইরে একদল প্রতিবাদী মানুষ আছেন, তাঁরা প্রত্যেক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে লড়াই জারি রেখেছেন।
আমাদের কর্তব্য বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বন্দীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য অবিরাম লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং চলমান আন্দোলনে সামিল থাকা।
রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি এখন আলোচনার উপরিভাগে থাকার মতো একটি বিষয়। নিম্নলিখিত দাবিগুলিকে আমাদের প্রচারাভিযানের মাধ্যমে আরও বৃহত্তর অংশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
• অবিলম্বে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি চাই।
• ইউএপিএ, এনএসএ, আফস্পা, এবং সমস্ত রাষ্ট্রীয় দমনমূলক আইন বাতিল করতে হবে।
• ভার্নন গনসালভেস, জিএন সাইবাবা এবং গৌতম নাভলাখা সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে সঠিক মানের চিকিৎসা ও যথাযথ সেবা প্রদান করতে হবে।
লিবারেশন, অক্টোবর ২০২২
(ভাষান্তরঃ ত্রিয়াশা লাহিড়ী)