মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুবাদে কিছু উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের মূল কাজের এলাকা খড়গ্রামের ঝিল্লি অঞ্চলে কিছুটা গণভিত্তি থাকায় এই অঞ্চলে কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এই অঞ্চলে অতীতে বেশ কয়েকজন কমরেড শহীদ হয়েছেন। তাদেরই রক্ত পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন হায়দার শেখের নেতৃত্বে হাসান, সাদ্দাম, নিজারুল শেখ সহ যুবশক্তি ও প্রবীন কমরেডরা। ঝিল্লি পঞ্চয়েতে আমরা একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এখানে আমরা ৫/৬ গ্রাম সভায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে বিরাজ করছি। এবারের নির্বাচনে কেলাই (২) গ্রাম সভায় আমাদের মহিলা প্রার্থী বুল্টি বিবি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। শুধু তাই নয়, পাশের সিয়াটা গ্রামসভায় আমাদের প্রার্থী মাত্র তিন ভোটে ও ধ্বনি গ্রামে মাত্র ৯ ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়েছেন। সিপিআই(এম) প্রথমে কথা দেয় যে তারা আমাদের সমর্থন করবে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। ওইখানে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে আমাদের প্রার্থী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আরেকজন প্রার্থী, সার্জিনা বিবি ৭০০’র কাছাকাছি ভোট পান। জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ অধিকারী ২১৪০ ভোট পান। বহরমপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কাশীমবাজারের মনীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সুন্দর কলোনি গ্রাম সভাটি শ্রমজীবী অঞ্চল। এখানকার ৯৫ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। আমাদের প্রার্থীও একজন শ্রমজীবী। মানুষের মধ্যে পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। স্থানীয় মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও যুবকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। আগামীদিনে পার্টি সংগঠনের বিস্তারের সম্ভাবনা যথেষ্ঠই রয়েছে। বেলডাঙা পঞ্চায়েতে এবার আমরা প্রথম দাঁড়িয়েছি। এলাকায় কমরেডরা প্রার্থীর সমর্থনে ভালো প্রচার করেন। কিন্তু, এখানে তৃণমূলের তীব্র সন্ত্রাস, বিশেষ করে নির্বাচনের দিনে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে, সমস্ত বিরোধীদলের এজেন্টদের বলপূর্বক বার করে একতরফা ছাপ্পা ভোট দেয়। এতদ্বসত্তেও, জেলা পরিষদে আমাদের প্রার্থী ১১৪০ ভোট পান। মুর্শিদাবাদে আগামীদিনে আমাদের পার্টি বিস্তারের ভালই সম্ভাবনা রয়েছে।
- ধীরেশ গোস্বামী