নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন
construction-workers-unions

গত ৮-৯ জুলাই ২০২৩ AICWF’র ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে। শহরটা দেওয়াল লিখন, রক্তপতাকা ও হোর্ডিং দিয়ে সাজানো ছিল। দীর্ঘ যাত্রায় ৫ থেকে ১০ ঘন্টা ট্রেন লেট করার পরে বেশিরভাগ প্রতিনিধিরা ৮ তারিখ ভোরে সম্মেলন স্থলে পৌঁছান এবং দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার ক্লান্তিকে উপেক্ষা করেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। রক্তপতাকা উত্তোলন করেন AICWF’র সর্বভারতীয় সভাপতি বালা সুব্রমনিয়ান। শহীদবেদীতে মাল্যদান করেন বালা সুব্রমনিয়ান, AICCTU সর্বভারতীয় সভাপতি ভি শংকর, সর্বভারতীয় সম্পাদক রাজীব ডিমরি ও উপস্থিত প্রতিনিধিগণ।

সম্মেলনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। যেমন — কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উরিষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, গুজরাট, আসাম, কার্বিআঙ্গলং, ঝাড়খণ্ড, পদুচেরি ইত্যাদি।

উদ্বোধনী ভাষণ দেন ভি শংকর, সম্মেলনকে সম্বোধন করে বিশেষ বক্তব্য রাখেন রাজীব ডিমরি। সম্মেলনের খোলা অধিবেশনে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন কে পি পেরুমল (রাজ্য সভাপতি, cwfi-citu, তামিলনাড়ু), এন সেলভারাজ (সারা ভারত কোষাধ্যক্ষ aicbcw-aituc), কে পারারিভাল্লান (তামিলনাড়ু কল্যাণ পর্ষদের সদস্য), পাঝা আসাইথম্বি (সিপিআইএমএল, লিবারেশন রাজ্য সম্পাদক, তামিলনাড়ু), বিরেন্দ্র গুপ্তা (বিধায়ক, বিহার), শংকর পান্ডিয়ান (এআইসিসিটিইউ রাজ্য সভাপতি, তামিলনাড়ু)। প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রত্যেক রাজ্য থেকেই খসড়া প্রতিবেদনের ওপর বক্তব্য রাখা হয় এবং আলোচনা জীবন্ত হয়ে ওঠে। ৯ জুলাই প্রতিনিধিদের বক্তব্য শেষে বিদায়ী সর্বভারতীয় সম্পাদক এস কে শর্মার জবাবী ভাষণের পর প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সম্মেলনে ১৫ জনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও ৩৬ জনের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত হয়। সর্বভারতীয় সভাপতি ও সম্পাদক হিসাবে পুর্ননির্বাচিত হন বালা সুব্রমনিয়ান ও এস কে শর্মা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতিমন্ডলীতে প্রবীর দাস ও সম্পাদকমন্ডলীতে কিশোর সরকার এবং কার্যকরী কমিটিতে প্রদীপ সরকার, দেবব্রত বিশ্বাস, নারায়ন রায় (খোকা) নির্বাচিত হন। বিভিন্ন ভাষায় শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে সম্মেলন শেষ হয়।

খণ্ড-30
সংখ্যা-24