সিপিআইএমএল রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, সরকারী নিয়োগে স্বচ্ছতা, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূণ্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের স্থায়ী নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মীদের নিয়মিতকরণ, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-যোগ্য পদপ্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে চলমান ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলনের শরিক হোন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আহুত আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটকে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তুলুন।
রাজ্য সরকারের শ্রমিক কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বকেয়া ডিএ মেটানো, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূণ্যপদে স্থায়ী নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ণা- অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে পর্বতপ্রমাণ দুর্নীতি, অর্থলালসা ও পরোক্ষ সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণত বিপর্যস্ত করে তোলার বিরুদ্ধে ও অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষক/ শিক্ষাকর্মী পদপ্রার্থীদের স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবিতে গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবাদী কর্মপ্রার্থীরা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যে দান নয়, অধিকার – এই বিষয়টি নতুন করে আদালতের মান্যতা পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, নেতারা ন্যায্য আন্দোলনকে ভেঙে দিতে পুলিশ দিয়ে হামলা হুমকি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সরকারী ও অসরকারী ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমশক্তির মধ্যে বিভাজনের ঘৃণ্য প্রচারে রত।