সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১৪ ডিসেম্বরের মিটিং-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতজন পড়ুয়াকে একবছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার অপরাধে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর স্বৈরাচারী মনোভাবকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়ে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজস্ব ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, আন্দোলনকে দমন করতেই এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত শিক্ষাঙ্গনে ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস-এর ছায়া দেখতে চায় না বর্তমান ছাত্রসমাজ। কলকাতার বুকে বিশ্বভারতী প্রেসের সামনে গত ২৮ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড ও একজন অধ্যাপককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে আইসা, পিডিএসএফ, আরএসএফ-সহ অন্যান্য গণসংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় আইসা থেকে বক্তব্য রাখেন আইসা কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌমেন্দু মিত্র, পিডিএসএফ-এর পক্ষ থেকে শ্রেয়া দে, আরএসএফ-এর পক্ষ থেকে তথাগত রায়চৌধুরী ও অন্যান্যরা। বিক্ষোভকারীরা বিশ্বভারতীতে আন্দোলনরত প্রতিবাদী পড়ুয়াদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানায়। বক্তারা এই সভা থেকে নিজেদের বক্তব্যের মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট বিজেপির শাসনাধীনে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে যেন-তেন-প্রকারেণ দমিয়ে দেওয়ার চক্রান্তকে রুখে দিতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত। তাই আগামীদিনে অগণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের ওপর যতবার আক্রমণ নামবে, ততবার সকলকে একজোট হয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই জারি রাখতে হবে।