সিপিআই(এমএল), ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, চাকরির দাবিতে এসটিজিটি বেকার যুবক-যুবতীরা দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে। এর অঙ্গ হিসেবে গত সোমবার সকাল থেকে তাঁরা গণতান্ত্রিকভাবে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং তারপর ঘেরাও করেন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি। আর তাই শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই দলদাস পুলিশ কর্মহীন যুবক-যুবতীদের উপর অমানবিকভাবে লাঠিপেটা করেছে। তারফলে ৫০ জন বেকার যুবক-যুবতীরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনকি পুলিশের হাত থেকে গর্ভবতী মহিলা ও কিডনির জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীও রেহাই পায়নি। সরকারের নির্দেশে পুলিশের এই ধরনের অমানবিক লাঠিচার্জ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় সারা রাজ্যের মানুষ স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। এদিকে শিক্ষা দপ্তরে প্রায় ১৫ হাজার শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। অথচ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করা ৩৮৯৭ জন গ্রেজুয়েট বেকার যুবক-যুবতীরা রাজপথে হন্যে হয়ে ঘুরছে। সরকার মিথ্যাবাদী। মন্ত্রীরা মহাকরণে বসে বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদ সৃষ্টির ফিরিস্তি দিয়ে একের পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। মিথ্যা ও ভূয়া সব তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। আর শিক্ষামন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন যে, রাজ্যে নাকি সরকারি চাকরির জন্য শিক্ষিত যোগ্য বেকার প্রার্থী নেই। কাজেই শিক্ষামন্ত্রী নিজেই মিথ্যা কথা বলছেন। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকারদের ন্যায্য দাবিকে বুলডোজার দিয়ে দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নাকি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যেই বলেছেন এভাবে আন্দোলন করলে তাঁদের চাকরির ফাইল পাঠানো হবে না। এই সরকার আজ বেকারদের চাকরির অধিকার, আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। অধিকার সম্পন্ন নাগরিক নয়, এরাজ্যে সরকারের চোখে আজ সবাই প্রজা। সংবিধান অচল, প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বিপন্ন। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সংবিধান সম্মতভাবেই ঐক্যবদ্ধভাবে এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
তাই, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথচ বেকার যুবক-যুবতীদের উপর সরকারের নির্দেশে অমানবিকভাবে লাঠিচার্জ ও শারীরিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানায় এবং অবিলম্বে টেট উত্তীর্ণবেকার যুবক-যুবতীদের শূন্যপদে নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানায় সিপিআই(এমএল) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি।