সিপিআই(এম-এল)-এর জম্মু জেলা সম্মেলন
Jammu District Conference

সিপিআই(এম-এল)-এর জম্মু জেলা সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো গত ১৩ নভেম্বর। সুখবিন্দার সিং নাট তাঁর পাঠানো প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ঐ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রূপে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজিব ডিমরি। প্রকাশ্য অধিবেশনে প্রতিনিধি ও অতিথিদের স্বাগত জানান কমরেড নির্দোষ উপ্পল। তিনি তাঁর বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীরে পার্টি কাজকে বিবৃত করেন এবং তার সাথে জাতীয় পরিস্থিতির ব্যাখ্যাও রাখেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুখদর্শন নাটও উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দ ও অতিথিদের সম্বর্ধিত করেন ও তাঁর বক্তব্য রাখেন। উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধি হিসাবে প্রকাশ্য অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সুভম কল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিজেপির দ্বিমুখী নীতি উপত্যকার জনগণের, বিশেষভাবে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ক্ষতিসাধনই করছে। তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে সিপিআই(এম-এল) গৃহীত অবস্থানকে সমর্থন করেন এবং আশা পোষণ করেন যে, সিপিআই(এম-এল) কাশ্মীরী জনগণের ন্যায়বিচার লাভ ও তাদের সমস্যাগুলির সমাধানের উদ্যোগে সক্রিয় থাকবে। নেচার হিউম্যান সেন্ট্রাল লোক লহর সংগঠনের নেতা কমরেড রূপচাঁদ তাঁর বক্তব্যে পরিবেশ সম্পর্কে সিপিআই(এম-এল)-এর নেওয়া অবস্থানের প্রশংসা করেন এবং সিপিআই(এম-এল)-এর সঙ্গে একসাথে কাজ করার আগ্ৰহ প্রকাশ করেন। জম্মুর অনেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সম্মেলনকে অভিনন্দিত করে বার্তা দিয়েছেন। প্রতিনিধি অধিবেশনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করেন কমরেড সুভাষ মেহেতা, আর সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কমরেড সুনিল সালিয়ান। কমরেড সুনিল সালিয়ান জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য জেলা, বিশেষভাবে সাম্বা, উধমপুর, রিয়াসি, কিসতাওয়াদ ও শ্রীনগরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন।

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কমরেড রাজিব ডিমরি তাঁর বক্তব্যে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তিশালী রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্ৰহণের আবেদন রাখেন এবং সিপিআই(এম-এল)-এর আসন্ন পার্টি কংগ্ৰেসকে সার্বিক ভাবে সফল করে তোলার আহ্বান জানান।

সম্মেলন নয় সদস্যের এক জেলা কমিটি নির্বাচিত করে এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন সুভাষ মেহেতা। সম্মেলন যে সমস্ত বিষয়ে প্রস্তাব গ্ৰহণ করে সেগুলো হলো বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলোর শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিক, কৃষক, যুবক ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা; সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্ৰামকে তীব্রতর করে তোলা; জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা; রাজ্যের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির বিকাশ ঘটানো; রাজ্যের জনগণের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের রক্ষায় সংগ্ৰামকে তীব্রতর করে তুলতে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দল এবং সংগঠনগুলোকে একটি মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ করা; রাজ্যে প্রশাসনিক, বিচার বিভাগীয় ও রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্যে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই সমস্ত প্রস্তাব গ্ৰহণের পর সম্মেলনের সফল সমাপ্তি ঘটে।

খণ্ড-29
সংখ্যা-46