মধ্যপ্রদেশ জুড়ে ৩২,০০০ কন্ট্রাক্ট স্বাস্থ্য কর্মীরা ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে শুরু করেছেন অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট। কোভিড অতিমারী যুজতে বিভিন্ন রাজ্যগুলো যখন প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে, তখন এই ধর্মঘট বেশ বিপাকেই ফেলল রাজ্য সরকারকে। এই বিপুল সংখ্যক ঠিকা কর্মীরাই কোভিডকালীন পর্বে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রেখেছিলেন।
নিয়মিতকরণের দাবিতে এই ধর্মঘট ইতিমধ্যেই ৫২টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর ও বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে।
ধর্মঘটীদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, নিচুতলার সহায়ক কর্মী। গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও এই ধর্মঘটের ভালোই প্রভাব পড়েছে।
ধর্মঘটিরা বেশ কিছু অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। দাঁত দিয়ে খড় কামড়ানো, স্থানীয় বিধায়কের সামনে ঝাড়ু দেওয়া, ঠিকা শ্রমিকের এক মৃতদেহ খড় দিয়ে বানিয়ে শব যাত্রা করা প্রভৃতি। দিন কয়েক আগে, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ঘেরাও করার সময়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কোমরে দড়ি বাঁধা হয়, যা ধর্মঘটিদের আরো ক্ষিপ্ত করে তুলেছে।
৩২,০০০ কন্ট্রাক্ট কর্মীর নিয়মিতকরণের পাশাপাশি ইতিমধ্যে যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহাল, যে সমস্ত কাজগুলো বাইরের এজেন্সির কাছে পাচার করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনার দাবি ও রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ দফা আলাপ আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও সমাধানের কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
ধর্মঘটীদের বক্তব্য, ২০১৩ সালে সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার একটাও পালন করেনি।
(সূত্র: দ্য হিন্দু, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২)