কমরেড বিনোদ মিশ্রের ২৪তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে, আমরা তাঁর স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নিজেদের পুনরায় উৎসর্গ করছি। কমরেড ভিএম এমন এক ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে প্রকৃত অর্থেই ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে এবং প্রত্যেক নাগরিক আসল স্বাধীনতা উপভোগ করবেন, যেখানে বৈচিত্র্যকেই ঐক্যের বনিয়াদ গণ্য করা হবে এবং পরস্পরের মধ্যেকার পার্থক্যগুলোকে হিংসার উস্কানি দিতে ও মানুষের বিভাজন ঘটাতে ব্যবহার করা হবে না, যেখানে ভিন্নমত ও আলাপ আলোচনা থেকেই গণতন্ত্র তার শক্তি সঞ্চয় করবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সেই ভারতের যেখানে ধর্ম ও রাজনীতি পরস্পরের সাথে মিশে যাবে না এবং রাজনীতি ব্যবহৃত হবে সামাজিক রূপান্তরের হাতিয়ার হিসাবে, বৈষম্য ও শোষণের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সমাজব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কাজে নয়।
তিনি চাইতেন যে, সিপিআই(এমএল) একটা বড়, শক্তিশালী ও উদ্দীপনাময় পার্টি হয়ে উঠুক যার মধ্যে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে প্রকৃত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার উদ্যম, শক্তি ও পরিপক্কতা থাকবে। সংসদীয় ক্ষেত্র সহ সমস্ত আঙিনায় জনসাধারণের আওয়াজকে সোচ্চার করে তোলার শক্তি হিসাবে তিনি সিপিআই(এমএল)-কে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমাদের এটাও মনে করিয়ে দিতেন যে, ইতিহাসের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের নিষ্পত্তি হয়েছে রাস্তায় জনগণের উত্থানের মধ্য দিয়েই। দেশের মধ্যে অথবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া অতীতের সমস্ত ভুল ও পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য এবং সমস্ত লড়াকু শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সংঘ পরিবারের সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী ভারত নির্মাণের প্রকল্পকে একটা নির্ধারক আঘাত দেওয়ার জন্য তিনি পার্টিকে অনুপ্রাণিত করতেন।
কমরেড ভিএমের ২৪তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে আমরা সিপিআই(এমএল)-কে সবদিক থেকে শক্তিশালী করে তোলার এবং ১৬-২০ ফেব্রুয়ারি পাটনায় (বিনোদ মিশ্র নগর) সিপিআই(এমএল)-এর আসন্ন একাদশ পার্টি কংগ্রেস ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ সমাবেশকে ঐতিহাসিক সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। কমরেড ভিএম লাল সেলাম!
সিপিআই(এমএল) দীর্ঘজীবি হোক!
ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্রের জয় হোক!