সিপিআই(এমএল) লিবারেশন রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, এ বছরের মার্চ মাসে বীরভূমের বগটুই গ্রামে নৃশংস গণহত্যার তদন্ত চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত চলছিল। গতকাল (১২/১২/২২) সিবিআই হেফাজতে এই গণহত্যার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে বিচারাধীন বন্দীর সঙ্গে কী ধরনের আচরণের ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যু হল, আজ তা গুরুতর প্রশ্নের মুখে। ইতিমধ্যে লালন শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিবিআই হেফাজতে বিচারাধীন বন্দীর জিজ্ঞাসাবাদ ইত্যাদি কাজ চলছিল। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই হেফাজতে তদন্ত চলাকালীন ২৪ ঘণ্টা সি সি ক্যামেরা চালু রাখতে হবে। অথচ রামপুরহাট সিবিআই হেফাজতে কোনো সি সি ক্যামেরা চালু ছিল না। লালন শেখের স্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, এমনকি তদন্ত ধামাচাপা দেবার জন্য টাকা (ঘুষ) চাওয়া হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বগটুই গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।