দেশের স্কিম কর্মীরা, আশা-মিড ডে মিল-অঙ্গনওয়াড়ি ও অন্যান্য কর্মীরা নামমাত্র ভাতা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও অমর্যাদাকর পরিবেশে দিনের পর দিন কাজ করে আসছেন। এআইসিসিটিইউ ভারতের স্কিম কর্মীদের মর্যাদা ও ন্যায়ের দাবিতে দেশব্যাপী প্রচার অভিযান শুরু করেছে, তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার দাবি তুলে ধরেছে। এরই অঙ্গ হিসাবে, দিল্লীর বুকে, ২১ নভেম্বর ২০২২ সংসদ অভিযানের ডাক দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার স্কিম কর্মী এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হন।
এআইসিসিটিইউ’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব ডিমরি ওই সভায় বলেন, “স্কিম কর্মীদের আজ পর্যন্ত সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেওয়া হল না। এটা গুরুতর অন্যায়। অবিলম্বে এর অবসান ঘটাতে হবে।”
সারা ভারত স্কিম কর্মী ফেডারেশনের জাতীয় আহ্বায়ক শশী যাদব বলেন “দৈনিক কাজের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা উচিত, কর্মস্থলে যৌন হেনস্থা ঠেকাতে জেন্ডার সেল গঠন করা উচিত।”
স্বেতা রাজ, দিল্লী আশা কামগর ইউনিয়নের (এআইসিসিটিইউ) সাধারণ সম্পাদক আশা কর্মীদের যন্ত্রণা ও বিপন্নতার নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছুদিন আগে ভারতের আশা কর্মীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কাণ্ডারি’র সম্মানে ভূষিত করে। কিন্তু, এদের না আছে সম্মানজনক মজুরি, না আছে কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে তাঁরা প্রায়শই নানান হেনস্থার সম্মুখীন হন। অতিমারীর সময়ে নিজেদের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অনেক আশা কর্মীর মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হয়নি ক্ষতিপূরণ।”
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে যে দাবিগুলো উঠে আসে, তা হল –