আজ গোটা ইউরোপ ভূত দেখছে। ধর্মঘটের ভূত। গত কয়েক দশক অগ্রগামী পুঁজিবাদী দুনিয়া ধর্মঘটের এই ব্যাপ্তি, পরিধি, প্রভাব ও তীব্রতা দেখেনি। নয়া উদারবাদী অর্থনীতি যখন নাছোড় সংকটের আবর্তে খাবি খেতে শুরু করেছে, পরিত্রাণের পথ খুঁজতে গিয়ে শ্রমিকশ্রেণি ও সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে সংকটের বোঝা, ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে ইউরোপের সংগঠিত শ্রমিকশ্রেণি ধর্মঘট সংগ্রামের সঠিক মুহূর্ত বেছে নিলেন। আইএমএফ গতবছরে অনুমান করেছিল, যে প্যান্ডেমিক সমগ্র দুনিয়ায় অর্থনীতিকে বিধ্বস্থ, বিপর্যস্থ করে দিয়েছে, সেই ভগ্নদশা থেকে অর্থনীতি উঠে দাঁড়িয়ে আবার শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ঘটাবে। কিন্তু হালে, আইএমএফ নিজস্ব অনুমানকে শুধরে ২০২৩-এ নিম্নগামী আর্থিক বৃদ্ধির কথা বলে সতর্ক করল যে, সারা দুনিয়ার অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান মন্দার বিপদের সম্মুখীন, বারে বারে যা নানান ধাক্কার মুখে পড়বে আর ২০২৬’র মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির আউটপুট ক্ষয়প্রাপ্ত হবে চার লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে — যা ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি সমগ্র জার্মানির অর্থনীতির সমান। গভীর উদ্বেগের সঙ্গে এই কথাগুলি বলেছেন আইএমএফ’এর কর্ণধার।
গত চার দশকে ইউরোপে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষকে নিঙড়ে নিচ্ছে, কিন্তু বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা বৃহৎ কর্পোরেশনগুলোর যেন পোয়া বারো! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুরো অফ ইকনমিক অ্যানালিসিস (বিইএ) দেখিয়েছে, মজুরি ও ব্যক্তিগত আয় যখন দিনের পর দিন নিচে নামছে, ঠিক সেই সময়ে কর্পোরেট মুনাফা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একটা রিপোর্টে বিইএ দেখিয়েছে, সমস্ত কিছু আর্থিক দায় মিটিয়ে দেওয়ার পরও মূল্যস্ফীতির সাপেক্ষে কর্পোরেশনগুলো নিজের পকেটে মুনাফা পুরে রাখতে পেরেছে বার্ষিক ৪১ শতাংশ হারে বছরের দ্বিতীয় অর্ধে, আর দু’বছর আগে অতিমারিরজনিত মন্দা শেষ হওয়ার পর ১৭ শতাংশ হারে! বিপরীতে, মুদ্রাস্ফীতির সাপেক্ষে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে নিচে গড়িয়ে পড়েছে গত পাঁচটা ত্রৈমাসিকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসাবে খ্যাত একটি সংস্থা ইকনমি পলিসি ইন্সটিটিউট দেখিয়েছে, মূল্যস্ফীতির উপর কর্পোরেটদের ক্রমাগত বেড়ে চলা মুনাফা সামঞ্জস্যহীন প্রভাব ফেলেছে। ২০২০’র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে ২০২১’র শেষ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির উপর কর্পোরেট মুনাফার অবদান ৫৪ শতাংশ — বিগত চার দশকে (১৯৭৯- ২০১৯) তা ছিল ১১ শতাংশ — এই নাটকীয় উল্লম্ফন ঘটেছে। বিপরীতে, মূল্যস্ফীতির সাপেক্ষে ইউনিট লেবার কস্টের (অর্থাৎ, এক ইউনিট আউটপুটের জন্য সংস্থা সেই কর্মীকে কত মজুরি দেন) অবদান ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। পূর্বের দশকগুলোতে যা ছিল ৬২ শতাংশ! আর, সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির জন্য আমেরিকায় ন্যূনতম মজুরির প্রকৃত মূল্য বিগত ৬৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে। ( ডিলিং উইথ ইনফ্লেশন — জয়তী ঘোষ)।
সমগ্র ইউরোজোনে, গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার চড় চড় করে বেড়ে ৮.৯ শতাংশের ঘরে পৌঁছেছে। আর, সেকারণে, স্পেন-গ্রিস-ফ্রান্স-জার্মানি-বেলজিয়ামের শ্রমিকরা বেতন-মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আজ উত্তাল। নেমে পড়েছেন রাজপথে। যে জার্মানিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় ধর্মঘটের আঁচ কম পড়েছিল, সেখানেও গোটা পরিবহন ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আজ সোচ্চার। নেদারল্যান্ডসে রেল শ্রমিক এবং জার্মানিতে বিমান কর্মীরা ধর্মঘটের পথে। যতই শীত এগিয়ে আসছে, পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানান নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রেও নেমে আসছে তার মারাত্মক প্রভাব। এক কথায় কর্পোরেট সংস্থাগুলো আগের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা যখন লুটেপুটে নিচ্ছে, তখন শ্রমিকরাও আরও বেশি মজুরির দাবি সামনে আনছেন।
ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতির হার ১০.১ শতাংশ ছুঁয়ে গত চল্লিশ বছরে সর্বোচ্চ স্তরে ঠেকেছে। তীব্র আর্থিক সংকট রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনায় অল্প সময়ের ব্যবধানে এই দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তরে বার বার পালাবদল ঘটল। সম্প্রতি ব্রিটেন জুড়ে ধর্মঘটের একের পর এক তরঙ্গ উঠল যা দেখা গেল বেশ কয়েক দশক পর। সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন এই সমস্ত ধর্মঘটে। ১০ নভেম্বর ২০২২, লন্ডনের রেল, বন্দর ও সড়ক পরিবহনের হাজার হাজার শ্রমিক ধর্মঘটে সব কিছু অচল করে দেন। রেল, ম্যারিটাইম, ট্রান্সপোর্ট এবং ইউনাইট ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকমাস ধরে ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে, পেনশন, সুরক্ষিত কর্মস্থলের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। ধর্মঘট এড়াতে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও দাবি সমুহের মীমাংশা না হওয়ায় ধর্মঘট অনিবার্য হয়ে ওঠে। এই গ্রীষ্মে রেল শ্রমিকদের ধর্মঘট, যা তিন দশকের পর সংঘটিত হল, গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দেয়। রেল শ্রমিকদের পাশাপাশি পোস্টাল, ডক, বাস চালক, কল সেন্টারের কর্মী, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইনজীবীরা আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, নিরাপদ কর্মস্থল, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশজুড়ে ধর্মঘটের পথে পা বাড়িয়েছে। গ্যাসের ৮০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির দরুণ জনগণের নানা স্তর ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন। ধর্মঘটিদের দাবি, গতবছরে কোম্পানিগুলো বিপুল মুনাফা কামায়। এদিকে অতিমারির ও সম্প্রতি বিপুল মূল্যস্ফীতি তাঁদের প্রকৃত মজুরিকে চেটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, আগস্টের শেষে ১,১৫,০০০ ডাক কর্মী ধর্মঘট করায় চিঠিপত্র বিলিবন্টন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বহু বছর পর্যন্ত ডাক বিভাগটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক চেক ধনকুবেরের কব্জায় আসার পর বিরাট বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাঁরা। শিক্ষকদের সংগঠন, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মীরাও ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা, জার্মানির লুফৎথান্সার কর্মী ইউনিয়ন ভার্ডি তাদের বেশ কয়েক হাজার গ্রাউন্ড স্টাফদের বেতন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হল। ওই বিমান সংস্থার গ্রাউন্ড স্টাফরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট করে সমগ্র উড়ান ব্যবস্থাকে অচল করে দেন। ধর্মঘটের চাপে কর্তৃপক্ষ ইউনিয়নের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়। নতুন এই চুক্তির ফলে ২০২৩’র জানুয়ারির শুরুতেই তাঁদের মূল বেতন বাড়বে ২.৫ শতাংশ, তারপর ১ জুলাই থেকে বৃদ্ধি পাবে আরও ২.৫ শতাংশ। ১৮ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে এই চুক্তি, যার ফলে উপকৃত হবেন ২০,০০০’র বেশি গ্রাউন্ড স্টাফ।
এদিকে ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়ল গোটা প্যারিস মহানগরী। ১৯৮৫’র পর এই প্রথম ফ্রান্সের মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল রাষ্ট্রীয় পরিবহন সহ মেট্রো রেলের শ্রমিক কর্মচারী, শিক্ষক সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিভিন্ন কর্মীদের এই উত্থান যেন কাঁপিয়ে দিল গোটা ফ্রান্সকে। ফ্রান্স সংসদে বিতর্কিত এক পেনশন বিল আনতে চলেছে মাঁকর। অবসর গ্রহণের পূর্বে দীর্ঘ দীর্ঘ সময় তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে নানা কন্টকিত শর্তে কাজ করার যে বিল পেশ হতে চলেছে, তার বিরুদ্ধেই যেন গোটা ফ্রান্স ফুঁসছে। হাজারে হাজারে বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সাথে তাদের ক্ষন্ডযুদ্ধ বাধে। সরকারের তরফ থেকেই জানানো হয়, ১১ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফ্রান্সের ইউএনএএসএ আরএটিপিপিএস ইউনিয়নের অধীনে ৭০,০০০ কর্মী জানাচ্ছেন, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি তাঁদের মূল বেতনে ধ্বস নামিয়েছে, অত্যন্ত কম কর্মীকে দিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করার জন্য কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বাড়ছে অসুস্থতাজনিত ছুটি। অতিমারির সময় বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করার পর নতুন নিয়োগ না হওয়ায় বেড়ে গেছে কাজের বোঝা। সিজিটি ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে অচল মেট্রো। এফিল টাওয়ারকে ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ধর্মঘটের জেরে। সরকারি কর্মী, শিক্ষক স্বাস্থ্যকর্মী ডাক বিভাগের কর্মী — সর্বস্তরে ফ্রান্স জুড়ে ধর্মঘটে সামিল শ্রমিক কর্মচারীরা। ধর্মঘটের চাপে সরকার গ্যাস, পেট্রল জ্বালানির দামে লাগাম টানলেও বিক্ষোভ স্থিমিত হয়নি।
বেলজিয়াম হল আরেকটি ইউরোপের দেশ যেখানে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্মঘটের তরঙ্গ। এই দেশে এক বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮৫ শতাংশ, জ্বালানি ৫৭ শতাংশ, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। ৯ নভেম্বর ২০২২ গোটা বেলজিয়াম কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে সাধারণ ধর্মঘটের জেরে, দেশের বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন যার ডাক দিয়েছিল। এমনকি স্তব্ধ হয়ে যায় ব্রাসেলস জ্যাভেন্টাম বিমানবন্দর। এই নিয়ে এ’বছরে চতুর্থবারের জন্য ইউনিয়নগুলো ধর্মঘট করল যার জন্য রেল থেকে শুরু করে গোটা পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে।
স্পেন-গ্রিস-সুইডেন-নরওয়ে প্রভৃতি দেশগুলো এর বাইরে নেই। ইউরোপের চতুর্থ বৃহতম অর্থনীতির দেশ স্পেনের শাসকবর্গ আর্থিক সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে একগুচ্ছ কঠোর ব্যয় সংকোচের রাস্তা নিয়েছে, যা দেশের মানুষ গ্রহণ করতে পারছেন না। এই আর্থিক সংকটকে যুঝতে শুরু হয়েছে গণ ছাঁটাই — প্রতি চারজনের মধ্যে একজন কর্মী তাঁর কাজ হারিয়েছেন। নয়া শ্রমআইন কর্পোরেটদের হাতে আরও শক্তি দিয়েছে যার উপর ভর করে শুরু হয়েছে ছাঁটাই, পেনশন সংকোচন, মজুরি কেটে নেওয়ার মতো শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপ। যে ইউরপের দেশগুলোতে তুলনামূলক কল্যাণমূলক দিকগুলো মজবুত ছিল, যেখানে ট্রেড ইউনিয়নের সাথে দরকষাকষির ব্যবস্থা বহাল ছিল, সেই সব শিকেই তুলে নিয়োগকর্তার সর্বাত্বক হামলার বিরুদ্ধে আজ স্পেন তোলপাড়।
এদিকে, বিরাট মাত্রায় খাদ্য সংকট আজ নেমে এসেছে দুনিয়া জুড়ে। রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব খাদ্য প্রোগ্রামের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে রিপোর্ট পেশ করে বলেছে, ৮২টি দেশের ৩৪ কোটি ৫ লক্ষ মানুষ কল্পনাতীত এক খাদ্য সংকটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আর ইউক্রেন যুদ্ধ সাত কোটি মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ‘বিশ্বজোড়া নজিরবিহীন এই খাদ্য সংকট’ থেকে পরিত্রাণ পেতে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “৪৫ দেশের পাঁচ কোটি মানুষ চরম অপুষ্ঠির কবলে, দুর্ভিক্ষ তাঁদের দোরে কড়া নাড়ছে”। এরপর তিনি মন্তব্য করেন, “যা এতদিন ক্ষুধার তরঙ্গ ছিল, তা আজ ক্ষুধার সুনামিতে পরিণত হয়েছে”।
নয়া উদারবাদী অর্থনীতির উপর ভর করে চলা বিশ্ব ব্যবস্থার সমস্ত দেউলিয়েপনা আজ উন্মোচিত। বিশ্বজুড়ে বিপুল জনসংখ্যার ক্রমাগত বেড়ে চলা দারিদ্র সর্বসান্ত হওয়ার নির্মম প্রক্রিয়ার বিপরীতে চলছে মুষ্ঠিমেয় কতিপয় অতি ধনীর হাতে অঢেল সম্পদের কেন্দ্রীভবন। কোভিড অতিমারী যাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
এর বিরুদ্ধেই আজ শ্রমিক শ্রেণির প্রতিবাদ। প্রতিরোধ। এইভাবেই এগোয় প্রগতির চাকা।
- অতনু চক্রবর্তী