বিজেপি কাস্ট সেন্সাসে রাজি নয়। বিজেপি শুধু সংরক্ষণ-বিরোধীই নয়, দলিত এবং অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর মানুষদের ন্যায্য অধিকার প্রদানেও তাদের অনীহা। দলিত, নারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণই বিজেপির আক্রমণের আসল নিশানা। বিজেপি জমানায় দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দেশে বিরাজ করছে এক অঘোষিত কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ও সর্বব্যাপ্ত জরুরি অবস্থা। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ধারাবাহিক দমনের মুখে। যে মানবাধিকার কর্মীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের জেলে পোরা হচ্ছে। বিহারে বিজেপি ফুলওয়ারিশরিফ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে কালি ছিটিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বিজেপি বিহারে এখন বলছে যে, উন্নয়নের ইস্যুতে তারা ২০২৪-এর নির্বাচনে জয়ী হবে। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তো ভারতের ধ্বংসের নতুন পর্যায় এলো। আদানি ও আম্বানির হাত দিয়ে কর্পোরেট লুটের সমস্ত রাস্তাই খুলে দেওয়া হয়েছে। যে রেল ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি কাজের জোগান দিত, তারও বেসরকারিকরণ করা হয়েছে ও হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগকেও ঠিকা কাজে পরিণত করে বিজেপি দেশের নিরাপত্তাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। আদিবাসী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুববাহিনী এবং ছোটো ব্যবসায়ী– বিজেপি জমানায় দুর্দশা ও ধ্বংস ছাড়া এদের আর কিছু জোটেনি।