সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার জমি যেমন মন্দির ট্রাস্টের হাতে অর্পণ করেছিল তেমনই বাবরি ধ্বংসকে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছিল। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কেন সেই অপরাধ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে?
ভারতের নাগরিক হিসেবে আমরা দাবি করছি – বাবরি ধ্বংসের অপরাধীদের রাজনৈতিক ফায়দা নয়, শাস্তি দাও।
আনলক গাইডলাইন বলছে – কোনও ধর্মীয় জমায়েত নয় এবং ৬৫ বছরের কাছাকাছি বয়সের সকলকে বাড়িতে পৃথকভাবে থাকতে হবে। ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রীই যদি এই পালন-বিধিগুলি লঙ্ঘন করে অযোধ্যার ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নেন তাহলে তিনি কি আসলে সব ভারতীয়কেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধের নিয়মনীতি ভাঙতে উৎসাহিত করছেন না?
ধর্ম ও রাজনীতিকে মিলিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী একটি মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন?
কোভিড-১৯ ও লকডাউন সংকটের সাথে গোটা দেশকে লড়তে হচ্ছে। তার সাথে প্রতি বছর বন্যা আরও কিছু মারণ রোগ নিয়ে আসে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী জনতাকে এইসব ভয়াবহ সংকট থেকে সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপের বদলে মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কেন?