এ রাজ্যে কৃষকের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য গ্যারান্টির জন্য এক সরকারি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে এআইকেএসসিসি। যার নাম হবে “রাজ্যের কৃষকদের কৃষিজাত ব্যয় ও লাভজনক মূল্য গ্যারান্টি কমিশন” (স্টেট ফার্মার্স এগ্রিকালচারাল কস্ট এ্যান্ড রেমুনারেটিভ প্রাইস গ্যারান্টি কমিশন)।
এই কমিশনের চেয়ারপার্সন হবেন একজন কৃষক যিনি কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি বিষয়ক বিষয়গুলিতে সুশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ। কমিশনে থাকবেন ৫ জন কৃষক প্রতিনিধি যার মধ্যে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন মহিলা কৃষক প্রতিনিধি। এদের কৃষক ইস্যুতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থাকতে হবে। ৩ জন কৃষি বিশেষজ্ঞ থাকবেন। কৃষি, কৃষি বিপণন, উদ্যানপালন, পশুপালন ও মৎস্য দপ্তরের ৪ জন আধিকারিক ও পূর্ণ সময়ের একজন সদস্যসচিব থাকবেন, যিনি হবেন কৃষি বিপণন দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারী পদমর্যাদার একজন আধিকারিক।
সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এআইকেএসসিসি দ্বারা প্রস্তুত লাভজনক ন্যুন্যতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) গ্যারান্টি আইনের খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এআইকেএসসিসি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি নির্ভর রাজ্য এবং কৃষিই রাজ্যের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে কৃষির ওপরেই অধিকাংশ মানুষ নির্ভরশীল। রাজ্যের প্রায় ৬৮ শতাংশ ভূমি কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং ৬ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। রাজ্যের জিডিপি’র ২৭ শতাংশই আসে কৃষিক্ষেত্র থেকে।
কিন্তু সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা ভালো বিনিয়োগ ও ভালো ফলন সত্বেও পর্যাপ্ত আয় করতে পারছে না। তাই তাদের অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। কৃষির খরচ ক্রমশ বেড়ে গিয়ে সেটা কৃষকদের স্বল্প সঙ্গতির বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষকরা তাদের কৃষিজাত উৎপাদনের জন্য যে দাম পাচ্ছে তার থেকে উৎপাদন খরচ বাদ দিলে যে আয়, তা দিয়ে পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারছে না। এই দুর্দশার জন্য রাজ্যের কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকরা দেনার জালে জড়িয়ে পড়ছে এবং আত্মহত্যার পথে যেতে বাধ্য হচ্ছে।