সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ প্রসঙ্গত দলের গৃহীত অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবকে আমরা অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক মনে করি। এই মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা যেখানে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সেখানে এর ফলে সরকারের আশু কাজে বাধা পড়বে এবং আর্থিক সম্পদের অপচয় ঘটবে।
বিধান পরিষদ গঠিত হলে পরোক্ষ নির্বাচন ও মনোনয়নের মাধ্যমে বিধায়কদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু গণতন্ত্রের কোনো সম্প্রসারণ ঘটবে না। গণতন্ত্রের সম্প্রসারণের জন্য চাই ক্ষমতা ও প্রশাসনের আরও বেশি বিকেন্দ্রীকরণ এবং আরও বেশি অধিকারপূর্ণ গণ অংশগ্রহণ। প্রশাসনকে আরো বেশি গণমুখী ও দায়বদ্ধ করে তুলতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের অবাধ ও নির্ভীক অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করতে চাই উপযুক্ত পরিবেশ। গ্রামসভা ও ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ও পৌরসভা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলা, সর্বস্তরে সরকারি তথ্য পরিসংখ্যানকে জনসাধারণের সামনে স্বচ্ছভাবে রাখা এবং সর্বস্তরে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের গ্যারান্টি চাই।
উল্লেখযোগ্য আদিবাসী জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম তফসিল ও পেসা আইন এ রাজ্যে কোথাও বলবৎ নয়। বিধান পরিষদ গঠনের পরিবর্তে সরকারের এই দিশায় উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।