সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি গত ১০ মে এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, উপনেতা বাদল চৌধুরী সহ এক বামপন্থী প্রতিনিধি দল ২ মে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে ফেরার পথে বিজেপি’র পরিকল্পিত আক্রমণের শিকার হন। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। মানিক সরকার ও বাদল চৌধুরীর গায়ে আঘাত লেগেছে। বিজেপি এই করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে তোয়াক্কা না করে ভীড় জমায়েত সংগঠিত করে এই হামলা করে। প্রচলিত করোনা বিধিকে উল্লঙ্ঘন করে শাসক বিজেপি এই ঘটনা ঘটায়। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। পুলিশের নির্বিকার ভূমিকাতে প্রমাণ হয় এই ঘটনা রাজ্য বিজেপি’র পৃর্ব পরিকল্পিনা প্রসূত। এপ্রিল মাসে এডিসি নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ায় এবং পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিজেপি এই আক্রমণের ছক তৈরি করে। সিপিএমের একের পর এক অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। নেতা কর্মীদের শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বাড়ি ঘরে হামলা হুজ্জুতি চালায় যাতে বামপন্থীরা রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে না পারে। বিজেপি গত তিন বছর ধরে বিরোধী বামপন্থী দলগুলোর উপরে ধারাবাহিকভাবে এই সন্ত্রাস পরিকল্পিতভাবে জারি রেখেছে। বিরোধী দলনেতার উপর, বামপন্থী বিধায়কদের উপর জেলায় জেলায় হামলার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এভাবে ত্রিপুরা বিজেপির শাসনে গণতন্ত্রের বধ্যভৃমিতে পরিণত হয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি, বিরোধী দলের রাজনৈতিক অধিকার, মর্যাদা আজ বিপন্ন। আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়েছে। জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি কোন মুখে প্রতিবাদ করছেন?
সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি বিরোধী দলনেতা ও বাম প্রতিনিধি দলের ওপর বিজেপি’র দ্বারা সংগঠিত এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি করা হয়েছে। গণতন্ত্রের বধ্যভূমি ত্রিপুরায় বিরোধী দলের উপর ধারাবাহিক ভাবে সংগঠিত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।