সিআরপিএফের প্রকাশ্য গুলিচালনায় ৩ জন আদিবাসী খুন হয়েছেন এবং ১২ জনের বেশি জখম হয়েছেন!
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে বিস্তীর্ণ এলাকার জঙ্গল ধ্বংস করে বেআইনীভাবে সিআরপিএফ ক্যাম্প নির্মাণের একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রতিবাদরত সহস্রাধিক আদিবাসীর উপর সিআরপিএফ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে।
বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমানায় একটি জঙ্গল কেটে নবনির্মিত সিআরপিএফ ক্যাম্পের বিরুদ্ধে বিজাপুরের সিলগার গ্রামে মে মাসের ১২ তারিখ থেকে কয়েক হাজার স্থানীয় আদিবাসী প্রতিবাদে নামেন। কিন্তু ১৭ মে, নিরাপত্তা বাহিনী অকুস্থলে প্রতিবাদরত আদিবাসীদের উপর খোলাখুলি গুলি চালায় যাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীদের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী গায়ের জোরে তাঁদের জমি ও জঙ্গল বেদখল করছিল এবং লাগাতার গ্রামবাসীদের হেনস্থা করছিল।
এলাকার মানুষের আরো অভিযোগ যে, ঘটনার পর থেকেই বেশ কিছু প্রতিবাদী নিখোঁজ হয়ে যান। পরে বস্তারের আইজি, পি সুন্দারাজ সাফাই দেন, আটজন আদিবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করা হয়েছে। কিন্তু ১৮ মে রাতে গ্রামবাসীরা জানান যে, তাদের সকলকেই জেলে ভরা হয়েছে। ১৯ মে জানা যায় যে, এই নৃশংস ঘটনার পর ৫০ ঘন্টার বেশি সময় কেটে গেলেও বিজাপুরের জেলা কালেক্টর রীতেশ আগরওয়াল গ্রেফতার হওয়া আদিবাসীদের মুক্তির পূর্বশর্ত হিসাবে গ্রামের মানুষকে আর প্রতিবাদ না চালানোর মুচলেকা দিতে বলেন।
ঐতিহাসিকভাবে ঐ জমি আদিবাসীদের মালিকানাধীন এবং অভিযোগ এটাই যে, ঐ সিআরপিএফ ক্যাম্প নির্মাণের পূর্বে স্থানীয় গ্রাম সভার থেকে কোনোপ্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। সুতরাং প্রশ্ন উঠেছে যে, গ্রামবাসীরা না চাইলেও সরকার কেন ঐ ক্যাম্প তৈরি করছিল?
সিপিআই(এমএল) লিবারেশন গ্রেফতার হওয়া আদিবাসীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বর্বর গুলিচালনার সমস্ত চক্রীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছে। আরো দাবি করছে যে, অবিলম্বে কংগ্রেস পরিচালিত ছত্তিসগড় সরকারকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং বেআইনী ক্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।