১৮ মে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছিল সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ও তার সহযোগী বিভিন্ন গণসংগঠন। দিনের কর্মসূচী শেষ হওয়ার পরে পার্টির রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, প্রায় সমস্ত জেলায় এবং বিভিন্ন এলাকায় সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ও গণসংগঠনগুলি (এআইএসএ, আরওয়াইএ, আ্যপোয়া এবং এআইসিসিটিইউ)’র ডাকে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। কোভিড প্রটোকল ও বিধিনিষেধ মেনেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। কোভিড অতিমারিতে রাজ্যের জনজীবন বিপর্যস্ত, যখন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ও কোভিড আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন রাজ্য জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে সদ্য নির্বাচিত সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলা এবং রাজ্য দখলে বিজেপি’র চরম ব্যর্থতা ও হতাশা আড়াল করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস। শিশুর সারল্যে কোনো কোনো মহল থেকে প্রচার করা হচ্ছে, দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা যাতে পর্দার আড়ালে না চলে যায় তাই এই সিবিআই অভিযান। সারদা নারদা দুর্নীতির তদন্ত চলছে প্রায় পাঁচ বছর ধরে। কি এমন ঘটনা ঘটল যে ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণে রাজ্যবাসী যখন বিপর্যস্ত, তখনই এই সিবিআই অভিযান চালাতে হবে? সারদা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দুই অত্যন্ত পরিচিত মুখ যারা দলবদলু হয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের বিভিন্ন উঁচু পদে আসীন, তারা এই সিবিআই অভিযানের বাইরে থেকে গেল কেন, তারও কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা মেলেনি। সিবিআই’র এই অভিযানের পাশাপাশি রাজ্যপাল পদের সম্পূর্ণ অপব্যবহার করে মোদী-অমিত শাহের এজেন্ট হিসাবে জগদীশ ধনখড় রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থির অশান্ত করে তুলছেন, যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে এই অজুহাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়িয়ে তোলা যায়। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির শাসনের ওকালতি করা যায়। বিগত শতাব্দীর ৬০’র দশক থেকে রাজ্যপাল পদটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। রাজ্যপাল ধর্মবীর, ধাওয়ানের কথা সকলের মনে আছে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন জগদীশ ধনখড়।
রাজ্যবাসীকে বিজেপি-আরএসএস’এর এই চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। কোভিড সংক্রমণ ও লকডাউনে বিপর্যস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা সর্বতোভাবে চালাতে হবে।