৫ মে এআইকেএম-এর জাতীয় কার্যকরী সমিতি এক অন লাইন বৈঠকে করোনা অতিমারী পরিস্থিতি, কৃষক আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা ও পাঁচটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা করে এবং ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও পথনির্দেশিকা নির্ণয় করে। এআইকেএম মনে করে, চলমান কৃষক আন্দোলন বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে প্রভাব ফেলেছে এবং এগুলি ছিল এক বিজেপি বিরোধী জনাদেশ। বিশেষত বাংলায় বিজেপি ও মোদীর পরাজয় দেশজুড়ে এবং দিল্লী সীমান্তের কৃষক আন্দোলনকে উদ্দীপনা জুগিয়েছে। নির্বাচনে জনগণের এই কণ্ঠধ্বনি শোনার পরও মোদি সরকার যদি কর্পোরেটদের স্বার্থে তিনটি (কৃষি) আইনের প্রশ্নে অনড় হয়ে থাকে, তাহলে চাষি ও কৃষকদের সংযুক্ত ও স্বাধীন আন্দোলনকে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য চালিয়ে যাওয়া ও গভীরতর করে তোলা অবশ্যম্ভাবী। দিল্লীর প্রতিবেশী রাজ্যসমূহের ইউনিটগুলি দিল্লীতে বিভিন্ন কিষাণ মোর্চাসমূহকে শক্তি ও সমর্থন জোগাবে। ইতিমধ্যেই কিষাাণ মহাসভার পাঞ্জাব ইউনিট ও জাতীয় সভাপতির নেতৃত্বে জাতীয় স্তরের নেতারা সমস্ত প্রতিকূলতা ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখে দাঁড়িয়ে খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। কিষাণ মোর্চা বা এআইকেএসসিসি-র জাতীয়স্তরে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে হবে। করোনা অতিমারীর সময় বাড়িতে থেকেই, কোভিড বিধিসমূহকে অনুসরণ করে এবং লকডাউনকে মেনে নিয়ে আজকের শ্লোগান : জনগণকে রক্ষা করুন, জনগণকে সাহায্য করুন। প্রয়োজনে বাড়িতে থেকেও প্রতিবাদ উঠুক। দিল্লীতে সর্বদাই যিনি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, পাঞ্জাবের সেই বর্ষীয়ান নেতা সুখদর্শন নাট এবং বিহার থেকে নির্বাচিত পাঁচ বারের সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক যিনি সম্প্রতি আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন সেই প্রবীণ কৃষক নেতা রামদেও ভার্মাকে জাতীয় কার্যকরী সমিতিতে জাতীয় সহ সভাপতিরূপে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া বৈঠক থেকে বিহারের মধুবনীর কৃষক নেতা মনোজ ঝা, কলকাতা থেকে দিল্লীর কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়া সমাজকর্মী মৌমিতা গুপ্ত সহ বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও বিশিষ্টজন যারা অতি সম্প্রতি করোনা ও অন্যান্য কারণে প্রয়াত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।