মোদী সরকারের তৈরি তিনটে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকা ২৬ মার্চের ভারত বনধ অভূতপূর্ব মাত্রায় সফল হয়। সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকা বনধে বিহারের মহাগাঠবন্ধন ভুক্ত দলগুলো সমর্থন জানায়। বিহার বিধানসভায় স্পিকারের নির্দেশে ২৩ মার্চ পুলিশ বিধানসভায় ঢুকে বিধায়কদের প্রহার সহ যে বর্বরতা চালায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সিপিআই(এমএল) সহ বাম দলগুলো ২৬ মার্চ স্বতন্ত্র ভাবে বিহার বনধ ডাকে যা বিপুলভাবে সফল হয়।
দিল্লী-গাজিপুর সীমানায় ২৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জাতীয় সড়কের অপর প্রান্তেও অবরোধ করা হয়। কৃষকরা জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থান করে ড্রাম বাজিয়ে হোলির গান গাইতে থাকেন। বনধ সফল হয় মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ শহরে। এখানে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ভুক্ত সংগঠন সারা ভারত কিসান মহাসভা এবং কিসান সভা এবং তার সাথে এআইসিসিটিইউ, সিটু এবং যুব সংগঠনগুলো রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে লেখা একটা স্মারকলিপি ভিন্দ-এর কালেক্টরের কাছে জমা দেন। ঐ স্মারকলিপিতে তিনটে কালা কৃষি আইন বাতিল করা, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল-২০২০ প্রত্যাহার করে নেওয়া, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি মর্যাদা প্রদান, গ্ৰেপ্তার হওয়া কৃষকদের মুক্তি দান এবং প্রতিবাদকারী কৃষকদের ওপর চাপানো সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। ভারত বনধ উপলক্ষে ২৬ মার্চ উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ, বালিয়া, মাউ, গাজিপুর, লখিমপুর খেরি, প্রয়াগরাজ, চান্দৌলি, বারানসি, সোনভদ্র, মোরাদাবাদ ও অন্যান্য জেলায় প্রতিবাদী মিছিল ও জনসভা সংগঠিত হয়। ভারত বনধের সমর্থনে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সিকান্দারপুরে সিপিআই(এমএল) ও সারা ভারত কিসান মহাসভার কর্মীরা রাস্তায় নামলে পুলিশ তাদের গ্ৰেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। সিপিআই(এমএল) যোগী সরকারের এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপকে ধিক্কার জানায়।
এআইকেএম এবং এআইকেএমএস যৌথভাবে উড়িষ্যার রায়গড়ায় বনধ সফল করে। ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জ ও পালামৌতে বনধ সফল হয়। মুম্বইয়ের কুরলা স্টেশনের বাইরে এআইসিসিটিইউ ও সিটু এক প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করে। গুজরাটের আমদাবাদ এবং মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রেও ভারত বনধের সমর্থনে প্রতিবাদী মিছিল ও জনসভা সংগঠিত হয়।
তিনটে কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকা ভারত বনধে বাম দলগুলো সমর্থন জানায়। কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানানো এবং ভারত বনধকে ঐতিহাসিকভাবে সফল করার জন্য সিপিআই(এমএল) জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সিপিআই(এমএল) আরও দাবি করেছে, কৃষকদের দাবি মেনে মোদী সরকারকে এবার কৃষি আইন তিনটে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।