খবরা-খবর
কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়নদীপ মিত্রের সমর্থনে সিপিআই(এমএল)-এর জনসভা
in support of CPI(M) candidate

সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়নদীপ মিত্রের সমর্থনে কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের দেশপ্রিয়নগর কলোনি বাজার এলাকায় সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে। ভিড়ে ঠাসা এই জনসভায় প্রচুর সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। গান ও কবিতা পরিবেশন করেন নীতীশ রায়, বাবুনি মজুমদার এবং শোভনা নাথ। সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এমএল)-এর রাজ্য কমিটির সদস্য নবেন্দু দাশগুপ্ত। তিনি প্রারম্ভিক উপস্থাপণায় বিজেপি’র বিপদের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। মনে করিয়ে দেন কামারহাটি এলাকায় নানা বিতর্ক নিয়েও সিপিআই(এম) ও সিপিআই(এমএল)-এর যৌথ লড়াই আন্দোলনের কথা। আগামীদিনে কঠিন পরিস্থিতিতে তা আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও তিনি রাখেন। সিপিআই(এম)-এর প্রার্থী সায়নদীপ ছিলেন সভার শেষ বক্তা। তিনি এই সভা আয়োজনের জন্য ও সেখানে সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতির জন্য আয়োজকের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। সিপিআই(এমএল)-এর ১২ আসনে প্রার্থী দেওয়াকে উল্লেখ করে বলেন বিভিন্ন বাম দলের শক্তি যত বাড়বে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে। তাঁর বক্তব্যে তিনিও বিজেপি’র বিপদের নানা দিককে তুলে ধরেন এবং বামপন্থীদের যৌথ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি সংসদ বা বিধানসভায় প্রতিনিধিত্বের গুরুত্বের কথা মনে রেখেও বেশি জোর দিতে চান মানুষের পাশে থেকে গণসংগ্রাম ও গণআন্দোলনের দিকে এবং মনে করিয়ে দেন এই লড়াইয়ে বামপন্থীরাই মানুষের সবচেয়ে ভরসার শক্তি। সভার প্রথম বক্তা ছিলেন আইসার ছাত্রনেতা সৌমেন্দু মিত্র। তিনি বলেন যে বাংলার নির্বাচনে ধর্ম নিয়ে, নাগরিকত্ব নিয়ে নানা ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে প্রচুর কথা বলছেন বিজেপির নেতারা। কিন্তু ছাত্রদের কথা, শিক্ষার অধিকারের কথা, কর্মসংস্থানের কথা তারা কিছু বলছেন না। মূলত ছাত্র ও যুবদের আশা আকাঙ্খার নিরিখ থেকে কেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম দাঁড়াতে চান, সেটাই সৌমেন্দু তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। এরপর এই নির্বাচন, তার বিশেষ গুরুত্ব ও তাতে সিপিআই(এমএল)-এর অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্যের নির্যাস

পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচন অত্যন্ত বিশেষ একটা নির্বাচন। আরএসএস ১৯২৫ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকেই একটা স্বপ্ন দেখে এসেছে। এই দেশটাকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। একশো বছর পরে আজ সর্বস্তরে বিজেপি’র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে মরীয়া চেষ্টা, তার লক্ষ্য এটাই। একটা নির্বাচনে স্থানীয় প্রশ্ন সহ অনেক প্রশ্ন থাকে। কিন্তু এই নির্বাচনে বাংলা জয়ের জন্য বিজেপি সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপি’র তাবড় নেতারা এখানে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে রয়েছেন বা ঘনঘন যাতায়াত করছেন। এই নির্বাচন তাই স্বাধীনতার পরে, সংবিধান তৈরি হবার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হয়ে উঠেছে। গোটা দেশের চোখ এখন এই নির্বাচনের দিকে।

বিজেপি এখনো অবধি ক্ষমতা দখল করেছে মূলত হিন্দি বলয়ে। কিন্তু সেখানেও মানুষ বিজেপি’র বিরুদ্ধে যেতে শুরু করেছে। চলমান কৃষক আন্দোলন আমাদের একটা অদ্ভুত জিনিস এর মধ্যেই দেখিয়েছে। ২০১৩-তে উত্তরপ্রদেশে যে দাঙ্গা হয়েছিল, যাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করেছিল, যোগী আদিত্যনাথ তারপর উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে যাদের কাজে লাগানো হয়েছিল, তারা কৃষকের সম্মানের জন্য রুখে দাঁড়ালেন। উত্তরপ্রদেশ পালটে যাচ্ছে। বিহারের নির্বাচনে অল্পের জন্য বিজেপি’কে আটকে দেওয়া যায়নি, নানা কারচুপি করে তারা জিতেছে, কিন্তু বামপন্থীরা সেখানে শক্তি অর্জন করে নিতে পেরেছে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি হেরেছে। মহারাষ্ট্র তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। হিন্দি বলয়ের বাইরে বিজেপিকে আজ তাই নতুন দিকে তাকাতে হচ্ছে। তাদের নজর দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের দিকে। বিশেষভাবে বাংলার দিকে।

বাংলার নির্বাচন জেতার জন্য বিজেপি নানা কৌশল নিচ্ছে। একটা স্নায়ুযুদ্ধ তারা শুরু করেছে। প্রথম থেকেই জিতে গেছি, জিতে গেছি এই রব তুলে তারা সুবিধে নিতে চাইছে। বাংলা এত সহজে বিজেপিকে জিততে দেবে না। বাংলা দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থীদের শক্তিশালী ঘাঁটি। কিন্তু যারা বামপন্থী নন, সেই বাঙালিও বিজেপিকে রুখবেন। বাংলার যে হিন্দু মানুষ তারা অন্য ধরনের। এই মাটি রামকৃষ্ণদেবের মাটি, যিনি ‘যত মত তত পথ’ এর কথা বলেন। বাংলার বিবেকানন্দ তাঁর চিকাগো বক্তৃতায় গর্ব করে বলেন, তিনি তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করছেন যারা সারা দুনিয়ার নিপীড়িতদের, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়। এই উত্তরাধিকারের জন্য তিনি গর্বিত। আর আজকে যারা সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও শরণার্থী – সেই মায়ান্মার থেকে তাড়া খেয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আজকে ভারতবর্ষ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সদ্য বিজেপি হওয়া শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ শানানোর সময় বলছেন যে তিনি নাকি রোহিঙ্গাদের পিসি।

বিজেপি উদার হিন্দু সংস্কৃতির জায়গায় এক অন্য ধরনের হিন্দুত্বের আমদানি করছে। এটা সাভারকরের দেওয়া হিন্দুত্বের ধারণা। যে সাভারকর বলেছিলেন যে এদেশে কেউ জন্মালেই, দেশের জন্য শ্রম করলেই, দেশের জন্য আত্মত্যাগ করলেই তাকে এদেশের প্রকৃত নাগরিক বলা যাবেনা। এদেশের বুকে জন্ম নেওয়া ধর্ম যদি কেউ মানে, তবেই তাকে এদেশের নাগরিক বলতে হবে। তাই খ্রিষ্টান বা মুসলিমরা এদেশের প্রকৃত নাগরিক নন। তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই থাকতে হবে।

বাবুল সুপ্রিয়রা একটা গান তৈরি করেছেন যেখানে তারা বলছেন যে তুমি খেজুর বেচতে এসেছ, তুমি এদেশের মাটি চেনো না। তারা খাবার থেকে, পোষাক আশাক থেকে সমস্ত কিছুর সূত্রেই মানুষকে এইভাবে ভাগ করতে চায়। তারা বামপন্থীদের বলে টুকরে টুকরে গ্যাং, আসলে তারাই এদেশের সংস্কৃতি মানুষ সবকিছুকে টুকরো টুকরো করতে চায়।

বাংলার বুকে চৈতন্যদেব থেকে শুরু লালন ফকিরের যে উদার মতবাদ আমরা দেখেছি, রামমোহন বিদ্যাসাগরের আমল থেকে যে সংস্কার হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল হয়ে যে সাংস্কৃতিক চেতনা গড়ে উঠেছে – বিজেপি’র এই উগ্র হিন্দুত্ব তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।

মোদী সরকার সবকিছুকে বেচে দিতে চাইছে। রেল-ব্যাংক-খনি সবকিছুই তারা কয়েকটা বেসরকারী কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছে। একটা নতুন কথা বলা হচ্ছে যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জায়গায় এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সবকিছুই আদানি-আম্বানি-গুজরাটিদের কাছে বেচে দেওয়া হচ্ছে।
লাভ জেহাদের নামে শুধু মুসলিম যুবকদের ভালোবাসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। হিন্দু মহিলাদের স্বাধীন পছন্দের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ বলা হচ্ছে তুমি মুসলিমদের বিয়ে করতে পারবে না। কাল বলা হবে তুমি জাতের বাইরে বিয়ে করতে পারবে না। পরের দিন বলা হবে বাবা মা পরিবারের পছন্দ করে দেওয়া কারোর বাইরে বিয়ে করতে পারবে না। রামমোহন বিদ্যাসাগরের সময় থেকে নারী স্বাধীনতার যে লড়াই চলেছে, তাকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

কাগজ দেখাতে পারেননি বলে আসামে কুড়ি লক্ষ মানুষকে বে-নাগরিক করে দেওয়া হচ্ছে। গরিব মানুষের কাগজ থাকেনা অনেক সময়েই। তার মানেই তারা নাগরিক নন? ডাউটফুল ভোটারকে ডিটেনশান ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। এক একটা পরিবারকে আসামে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। বাবা মা বাড়িতে তো ছেলেমেয়েরা ক্যাম্পে। আগামীদিনে যদি এনআরসি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তবে সবচেয়ে বড় বিপদ হবে বাঙালিদের। পশ্চিমবাংলার প্রবাসী শ্রমিকদের বলা হবে বাংলাদেশী। এরকম ঘটনা এরমধ্যেই নানা জায়গায় ঘটতে শুরু করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে, এনআরসি আটকাতে বিজেপিকে হারাতেই হবে।

অনবরত মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বিজ্ঞাপণের মধ্যে দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এমন একজনের ছবি দিয়ে বাড়ি পাওয়ার বিজ্ঞাপণ দেওয়া হচ্ছে যে তিনি বাড়ি পাননি। তিনি জানেনই না তাঁর ছবি দিয়ে আবাস যোজনার বিজ্ঞাপণ হচ্ছে।

কংগ্রেস জমানায় অনেক খারাপ কাজ হয়েছে। বাম জমানায় ভালো কাজের পাশাপাশি শেষদিকে কিছু ক্ষতিকর কাজও হয়েছে। তৃণমূল জমানাতেও দশ বছরে অনেক খারাপ কিছু হয়েছে। কিন্তু সব দলের সব খারাপ কাজকে মেলালেও তা বিজেপি’র মতো খারাপ হবে না। এই দল এতটাই আলাদা অন্যদের থেকে, এতটাই ভয়ানক। বাংলাকে যদি বিজেপি’র হাত থেকে বাঁচানো না যায়, তা শুধু তৃণমূলের পরাজয় হবে না, তা বামপন্থীদেরও পরাজয় হবে। সমগ্র বাংলার পরাজয় হবে। তৃণমূল কংগ্রেসি ঘরানা থেকে তৈরি হওয়া একটা দল। তারা দশ বছর শাসন করেছে। আগামীদিনে তারা নাও থাকতে পারে। কিন্তু বিজেপি বাংলা দখল করলে সেটা বামপন্থীদের জন্য হবে সবচেয়ে ভয়ানক। সে কথাটাই ত্রিপুরা থেকে এসে বারবার বলার চেষ্টা করছেন সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

আমরা ঠিক করেছি এই নির্বাচনে বিজেপি যাতে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে না পারে তার জন্য আমরা এখানে সর্বাত্মকভাবে প্রচার করব। আমরা নিজেরা এবারে পশ্চিমবঙ্গে খুব কম, বারোটা আসনে লড়ছি। মূলত যে সব জায়গায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম চলছে, সেই লড়াইয়ের প্রতিনিধিরাই আমাদের হয়ে এখানে নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করছেন। যেমন চা বাগান আন্দোলনের প্রতিনিধি ২৬ বছরের সুমন্তি এক্কা লড়ছেন ফাঁসিদেওয়া থেকে। মালদার মোথাবাড়ি থেকে লড়ছেন বিড়ি শ্রমিকের অধিকার নিয়ে লড়াই করা এব্রাহিম শেখ। হুগলির ধনেখালি থেকে লড়ছেন মাইক্রো ফিনান্স-এর মহাজনী ঋণে জর্জরিত মানুষের ঋণমুক্তি আন্দোলনের সামনের সারির সৈনিক সজল দে।

এর বাইরে সিপিআই(এম) সহ সমস্ত বিজিত বামপন্থী বিধায়কদের আমরা সমর্থন করছি। এর বাইরেও অনেক জায়গায় বিভিন্ন আন্দোলনের মানুষদের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকছে। যেমন নাগরিকত্ব আন্দোলনের নেতা সিপিআই-এর কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে আমরা সমর্থন করছি। এর বাইরে অন্যান্য আসনে আমরা বলেছি বিজেপিকে হারাতে ভোট দিতে। এটা আমরা নির্দিষ্ট করে দিতে চাইনি। আসনভিত্তিক ভাবে মানুষের বিচারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছি। এজন্য বামপন্থীরা অনেকে আমাদের গালমন্দ করছেন। বলছেন তৃণমূলের দালাল ইত্যাদি। তা যদি কেউ বলতে চান বলুন। কিন্তু মনে রাখা ভালো পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের নেতারাও বাংলায় এসে একই কথা বলছেন। বিজেপিকে ভোট দেবেন না।

আমেরিকা চার বছরের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারতকে যদি মোদী, অমিত শাহদের হাত থেকে ২০২৪ সালে মুক্তি পেতে হয় তাহলে অতি অবশ্যই ২০২১-এর নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে হারাতে হবে। ২০২২-এর নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে হবে।

অনেক তরুণ বামপন্থীরা লড়ছেন এই নির্বাচনে এটা খুবই ভালো ব্যাপার। আমাদের সুমন্তি এক্কা, সৌরভ, এব্রাহিম, সজলদের মতোই সিপিআই(এম)-এর মীনাক্ষি, দীপ্সিতা, সায়নদীপ-এর মতো অনেক তরুণরা লড়ছেন। তাদের সাফল্য কামনা করি। এই কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নদীপ শুধু সিপিএই(এম) প্রার্থী নন, তিনি এখানে সিপিআই(এমএল)-এরও প্রার্থী। আপনারা তাকে বিজয়ী করুন। বিজেপিকে পরাস্ত করুন।

খণ্ড-28
সংখ্যা-14