কেন বিজেপিকে একটি ভোটও না
not a single vote for BJP

আর নয় অন্যায়! এই মুহূর্তে দেশে সব চেয়ে বড় অন্যায় কাদের ওপর হচ্ছে? আসামের ২০ লক্ষ মানুষের ওপর, যাদের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সব ভাষা, সব ধর্মের মানুষই আছেন এই বাদ পড়া ২০ লক্ষের মধ্যে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আছেন বাঙালি, হিন্দু। ওদের আটক রাখার জন্য বিশাল বিশাল খোঁয়ার বানিয়েছে মোদি সরকার, সরকারী ভাষায় এই খোঁয়ারগুলির নাম “ডিটেনশন সেন্টার”। এই মুহূর্তে দেশে কাদের ওপর ওই একই সর্বনাশের খাঁড়া ঝুলছে? পশ্চিমবাংলার জনতার ওপর। এনআরসি-র খাঁড়া। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে প্রথমেই এনআরসি শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিজেপি। বারবার বিজেপি নেতারা বলছে, পশ্চিমবঙ্গে দুই কোটি পঁচিশ লক্ষের ওপর মানুষ নাকি অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু তারা কারা? আপনিও তো তাদের মধ্যে একজন হতে পারেন, আমিও হতে পারি। এনআরসি মানে – আপনি বা আমি যে অনুপ্রবেশকারী নই তা আমাদের প্রমাণ করতে হবে কাগজপত্র দেখিয়ে। ১৯৪৮ সালের আগে থেকেই আমার আপনার পরিবার যে বংশ পরম্পরায় এই পারে বসবাস করত তার সরকারী নথি হাজির করে আপনাকে আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি আমি অনুপ্রবেশকারী নই। বাংলার কোটি কোটি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, কারিগর সমাজ, আদিবাসী ও মহিলারা কোথায় পাবে এইসব কাগজপত্র? নাগরিকত্ব প্রমাণের ফাঁদে পড়তে যদি আমরা না চাই, খোঁয়ারে চালান হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক থেকে যদি আমরা বাঁচতে চাই তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে, আপনাকেও বলতে হবে “বিজেপি হারাও, বাংলা বাঁচাও”, বলতে হবে “বিজেপিকে একটিও ভোট নয়”।

দেশভাগের বলি হয়ে এই রাজ্যে একদা আসা উদ্বাস্তুদের বিপুল অংশ নমশুদ্র সমাজের। বাংলাকে ভাগ করার প্রধান চক্রী ছিল বিজেপির সেই সময়কার প্রতিনিধিরা। এখনও বিজেপি গর্বভরে বলে যে তারাই বাংলা ভাগ করেছিল। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও তাঁর পুত্র শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রায় একশ বছর ধরে সামাজিক ন্যায়ের আন্দোলন চলার ফলে অখণ্ড বাংলার পূর্ব অংশের ‘চণ্ডাল’-রা নমশুদ্র জাতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। বাংলাভাগ ছিল এই ক্রমবর্ধমান শুদ্র-ঐক্যের ওপর পরিকল্পিত আঘাত। হিন্দুত্ববাদী নেতাদের কুটিল ছক টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল নমশুদ্র সমাজের পায়ের তলার মাটি। সেই কুটিল ছকের সেকেণ্ড এপিসোড বিজেপি সামনে আনে ২০০৩ সালে। আইন বানিয়ে বলে দেয় যে ১৯৪৮ সালের পর আসা উদ্বাস্তুরা সকলেই “অনুপ্রবেশকারী”, আর তাদের সন্তানসন্ততি, নাতিপুতিরা সকলেই “বেআইনি অভিবাসী”। এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? ২০১৯ নির্বাচনে নাগরিকত্ব দেওয়ার টোপ দিয়ে মতুয়াদের ভোট কব্জা করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে এসে বিজেপি মতুয়াদের জন্য “শরণার্থি কল্যাণ প্রকল্প” গঠন করার কথা বলেছে। ২০০৩-এ বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বানালো, ২০১৯-এ এসে নাগরিকত্বর টোপ দিয়ে ভোট নিল, এখন বলছে “শরণার্থী” হিসেবে গণ্য করে আপাতত কিছু টাকাপয়সা সাহায্য দেবে। ধীরে ধীরে ডিটেনশন ক্যাম্পের দিকে নমশুদ্রদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিজেপি, আসামে যা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। আসন্ন এই বিপদ থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা বিজেপিকে সমস্ত ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়া, বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা, বিজেপি যাতে আপনার বন্ধুবান্ধবদের একটিও ভোট না পায় তার জন্য সক্রিয় হওয়া।

বাংলায় এখনও এনআরসি হয়নি, তাতেই বাংলাভাষী মানেই সন্দেহজনক বাংলাদেশী “ঘুসপেটিয়া” হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে প্রতিটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে। বিভিন্ন শহরে কর্মরত লক্ষ লক্ষ বাঙালী কারিগর ও তাঁদের পরিবার আজ বিজেপি সরকারগুলির পুলিশ প্রশাসন ও আরএসএস বাহিনীর দ্বারা নির্মম হামলার শিকার। বাংলার কারিগরদের কাজ করতে যাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বাঁচাতে চাইলে বিজেপিকে না সরিয়ে উপায় নাই। বাংলার কারিগর সমাজের কেউ বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। পরিযায়ি শ্রমিক হিসেবে আপনারা নিশ্চয় ভুলে যাননি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া লকডাউন আর সেই লকডাউনের দিনগুলিতে আপনাদের সাথে বিজেপি সরকারের নির্মম আচরণ।

আপনি কি আপনার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে স্বাধীন মানুষ করতে চান? তাহলে আপনি বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপি নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। ঘরের কাজেই মেয়েদের ঘরে বন্দী থাকা ও বাচ্চা বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ওকালতি করে বিজেপি নেতারা। কোনও মেয়েই বিজেপিকে ভোট দেবে না, কারণ এদেশে বিজেপি একমাত্র দল যারা সরাসরি ধর্ষকের পক্ষে মিছিল করে এবং যাদের এমএলএ-এমপিদের ৫৫ শতাংশের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সম্পর্কে এবং বাংলার মেয়েদের সম্পর্কে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের কুৎসিত মন্তব্য সকলেই শুনেছেন। বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।

বাংলার মননজগৎ প্রেম প্রীতি ভালোবাসার রসে স্নিগ্ধশুদ্ধ হয়েছিল শ্রী চৈতন্যের ভাবান্দোলনে। জাত-ধর্ম-বর্ণ এমনকি লিঙ্গভেদ নস্যাৎ করে দেওয়া প্রেমে গৌর-নিতাই বাংলার মানুষের বড় প্রিয়। সমস্ত গণ্ডি ভেঙ্গে ভালোবাসার যুগলমূর্তী রাধাকৃষ্ণ বাঙ্গালির হৃদয়ে অধিষ্ঠিত। রাজস্থানের মীরা বাইও তাই সহজেই বাংলার আপনজন হয়ে যায়। লালন ফকির হোক বা ভবা পাগলা – এই ভালোবাসারই আরাধনা করেছেন গানে গানে। বাঙ্গালির মননজগতের এই সৃষ্টিশীল আবাদভূমিকে ধ্বংস করতে এসেছে বিজেপি। “লাভ জিহাদ”-এর ধূয়ো তুলে ওরা আমাদের সাথি নির্বাচনের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারটাও কেড়ে নিতে চায়। বিজেপিকে তাই একটিও ভোট নয়।

মোদি ক্ষমতায় আসার পর যত মানুষ কাজ হারিয়েছে, যত মানুষ চরম দারিদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়েছে তা আগে কখনও হয়নি। সমীক্ষা বলছে শুধুমাত্র গত বছরে মধ্যবিত্ত অংশের অন্তত ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গেছে। গত পাঁচ দশকের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেছে বিজেপি সরকারের আমলে এসে। “সোনার আসাম” গড়ব বলে ক্ষমতায় এসে গত পাঁচ বছরে আসামে ৩ লক্ষ সরকারী পদ হাপিস করে দিয়েছে, কাজ হারিয়েছে ৫ লক্ষের বেশি মানুষ; কাগজকল, চা বাগান, তেলের কূপ বন্ধ অথবা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কাজ কেড়ে নিয়েছে। ত্রিপুরায় সরকারী চাকরিই তুলে দেবে বলে নোটিশ জারি করেছে। আপনি যদি শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী হন তাহলে আর যাকেই হোক বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন না।

এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে গ্রামীণ পরিকাঠামো খাতে মোদি সরকার এক টাকাও দেয়নি, খাদ্য সুরক্ষা খাত থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়েছে, খাদ্য সামগ্রিতে দেওয়া ভর্তুকি থেকে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা কেটে নিয়েছে, নতুন কর্মসংস্থান খাতে ৩৫% কাটতি করেছে, শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য রাখা টাকা ৩.৪ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে, মেয়েদের শিক্ষার খাতে রাখা টাকা কেটে নিয়েছে, মাতৃত্ব খাতে টাকা কমিয়েছে আর মিড-ডে-মিল খাতে ১,৪০০ কোটি টাকা কম করে দিয়েছে। এদিকে এরাজ্যের নির্বাচনে এই ফাণ্ডে এত হাজার কোটি ওই ফাণ্ডে অত হাজার কোটি টাকার গল্প দিচ্ছে বিজেপি। সবার একাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার জুমলা তো কেউ ভোলেননি, এই জুমলাবাজদের কে ভোট দেবে?

ব্যাঙ্ক বীমা রেল জল খনি আকাশ জঙ্গল সবই বেচে দিয়ে কোম্পানিরাজ কায়েম করছে বিজেপি। শ্রমিকের এতদিনের অর্জন কেড়ে নিতে শ্রম কোড এনেছে। যত ঘণ্টা খুশি কাজ করাতে পারবে, যখন খুশি তাড়িয়ে দিতে পারবে মালিক। কর্মরত মানুষের সিংহভাগই তো এখন অসংঠিত শ্রমিক, ক্যাজুয়াল। মালিক ও তার ফড়েদের দাপটে নিত্য অপমানে ঘার গুঁজে কাজ করে যেতে হয় শুধু সপরিবারে বেঁচে থাকার জৈবিক দায়ে। কোথায় সরকার দেশের শ্রমজীহী জনতার সম্মানজনক কাজের পরিবেশ তৈরি করবে তা না, আইন এনে মালিকপক্ষকে ব্রিটিশ আমলের জমিদারদের মতো ক্ষমতা দিচ্ছে, সাধারণ মানুষকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ দাসে পর্যবসিত করছে। তদুপরি যদি পশ্চাতে সর্বক্ষণ নাগরিকত্ব প্রমাণের চাবুক পড়তে থাকে তাহলে আমরা যাই কোথা! ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বিপর্যয়কর বিজেপি শাসনকে খতম করা ছাড়া আর কোন পথ
খোলা থাকে?

কৃষকদের সাথে কত বড়ো অন্যায় করছে দেখুন। কর্পোরেট-দাসে পরিণত করতে চাইছে কৃষকদেরও। শুধু কৃষকের বিষয়ও নয়, আমাদের দেশের সমগ্র খাদ্য উৎপাদনকেই আদানি আম্বানিদের কব্জায় তুলে দিতে নতুন কৃষি আইনগুলি এনেছে বিজেপি। আদানিরা কয়েক বছর আগে থেকেই বিশাল বিশাল গোলা বানিয়ে রেখেছে। একেকটা গোলায় কয়েক হাজার টন শস্য স্টোর করে রাখা যায়। এই আধুনিক গোলা/মড়াইগুলিকে বলে ‘সাইলো’। শস্য বস্তাবন্দি না করেই সাইলোতে রেখে দেওয়া যায়। আদানিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম সাইলো-গুচ্ছ বানিয়ে রেখেছে। ভেবে দেখুন ছোটখাটো আড়তের মজুদদারদের দাপটেই দ্রব্যমূল্য লাফালাফি করে কোথায় পৌঁছেছে। এখন বিজেপির আইন আদানি আম্বানির মতো সুপার আড়ৎদারদের হাতে দেশের সমস্ত কৃষি উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছে। ভেবে দেখুন, দেশের সমস্ত সাধারণ মানুষকে কোন আকালের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি। রুখে দাঁড়ান, এবং সকলকে বলুন, বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।

বাংলা ভাষাকেও ওরা ধ্বংস করে দিতে চায়। হিন্দি চাপিয়ে দিতে চায় আমাদের ওপর। তথাকথিত হিন্দিভাষী যে মানুষেরা বাংলায় আছেন তাঁদেরও মাতৃভাষা হয়তো মৈথিলি, ভোজপুরি বা অওধি, এবং এই ভাষাগুলিও হিন্দি আগ্রাসনে লুপ্তপ্রায়, ওইসব ভাষা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। বাংলা বরাবর বহু ভাষা, নানা মতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির জায়গা। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানির স্টিম রোলার চালিয়ে বাংলাকে লুট করতে আসছে নব্য বর্গিরা। মাতৃভাষার প্রতি আপনার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা থাকলে আপনি বিজেপিকে ভোট দিতে পারবেন না।

এসসি-এসটি-ওবিসিদের সংরক্ষণের অধিকার নাকচ করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। নয়া শিক্ষানীতি একদিকে যেমন সমস্ত সাধারণ পরিবারের জন্যই শিক্ষাকে দুর্মূল্য পণ্যে পরিণত করবে, অন্যদিকে তেমনই এসএসি-এসটি-ওবিসিদের সংরক্ষণের সুযোগকেও সম্পূর্ণ অকেজো করে দেবে। হরিয়ানায় সমস্ত সরকারী স্কুলই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বিজেপি সরকার। ব্রাহ্মণ্য শাসনের যুগে শিক্ষা যেমন অব্রাহ্মণদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল তেমনই ব্যবস্থা ঘুরপথে আবার কায়েম হতে চলেছে। এসসি-এসটিদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে আইন ছিল তাকেও লঘু করে দিয়েছে বিজেপি। আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার নাকচ করতে একের পর এক সার্কুলার এনেছে। আদিবাসীদের ধর্মপরিচিতিকেও জনগণনায় নথিভুক্ত করতে দিতে নারাজ বিজেপি-আরএসএস। বিজেপি শাসন ভারতে সামাজিক বিপর্যয় তৈরি করছে। বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।

সংবিধানের অন্তর্বস্তু — ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও বিবিধতা — যারা রক্ষা করতে চান, যারা সামাজিক ন্যায়ে বিশ্বাস করেন, আদিবাসীদের জমি, ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষা যারা চান, বিদ্যাসাগর-হরিচাঁদ-মাইকেল-রবীন্দ্রনাথ-রোকেয়া-রঘুনাথ মুর্মু-নেতাজী সুভাষের মতো বহু মনীষিদের অবদানে অর্জিত প্রগতিশীল ও উদার মৈত্রীর সংস্কৃতিকে যারা রক্ষা করতে চান, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ দেশ যারা গড়তে চান তাঁরা আর যাই করুন বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না।

খণ্ড-28
সংখ্যা-11