সিএজি বা ক্যাগ-এর নাম আপনাদের অনেকেরই জানা। কম্পট্রোলার অ্যাণ্ড অডিটর জেনেরাল অব ইণ্ডিয়া। এটি একটি সংবিধানিক সংস্থা। অর্থাৎ আমাদের দেশের সংবিধানের একটি ধারার মাধ্যমে এই সংস্থা স্থাপিত। সরকারের খরচখরচার হিসাব-নিকাশ যাচাই বা অডিট করা হলো এর কাজ। টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি ফাঁস করার পেছনে এই সংস্থার প্রধান ভূমিকা ছিল। ২০১৮ সালের কথা। ক্যাগ এফসিআই (ফুড কর্পোরেশন অব ইণ্ডিয়া)-কে জানায় যে এফসিআই-র ঢিলেমির জন্যে সরকারের সাড়ে ছয় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। কিভাবে? এফসিআই খাদ্যশস্য সঞ্চয়নের জন্যে অনেক সময় বেসরকারী গুদাম ভাড়া নেয়। সেবছর হরিয়ানার কৈথাল শহরে স্থিত আদানি গোষ্ঠীর একটি গুদাম তারা ভাড়া নেয় যদিও সেই গুদাম তারা ব্যবহারই করেনি। লাগাতার চার বছর ধরে এফসিআই এই গুদামগুলো ব্যবহার না করেই ভাড়া গুনেছে। এফসিআই উপভোক্তা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা। ওই মন্ত্রক চিঠি লিখে ক্যাগকে হুকুম দিয়েছে যে ক্যাগের রিপোর্ট থেকে যেন এই কারচুপির তথ্য সরিয়ে দেওয়া হয়।