২৭ ফেব্রুয়ারী কৃষ্ণনগর পৌরসভা হলে, দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে, সিপিআই(এমএল) লিবারেশানের নদীয়া জেলা সম্পাদক প্রয়াত কমরেড সুবিমল সেনগুপ্তের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে সভা সঞ্চালক জীবন কবিরাজের পরিচালনায় হল ভর্তি উপস্থিত প্রায় সকলেই বিশেষ করে সুবিমলের স্ত্রী, বোন, ভাইঝি, ভাই কমরেড সুবিমলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন এবং তারপর নীরবতা পালন করা হয়। তারপর বাবুনি মজুমদারের সংগীত পরিবেশন ও কমরেড সুবিমলের ‘জীবনগাথা’ লেখা পাঠ করে শোনানোর মধ্য দিয়ে বক্তব্য রাখা শুরু হয়।
প্রথম বক্তা সিপিআই(এম)-এর বর্ষীয়ান নেতা অশোক ব্যানার্জি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা বামপন্থীদের যৌথ আন্দোলনে কমরেড সুবিমলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকাকে তুলে ধরেন। আরএসপি নদীয়া জেলা সম্পাদক শংকর সরকার সুবিমল সেনগুপ্তের আকস্মিক মৃত্যুকে বামপন্থী আন্দোলনের বড় ক্ষতি হিসেবে তুলে ধরেন। এসইউসিআই(সি)-র অন্যতম নেতা জয়দীপ চৌধুরী সুবিমলের কম্যুনিস্ট গুণাবলির কথা বলেন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশানের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কার্তিক পাল সুবিমলের মৃত্যুকে বড় আঘাত হিসেবে তুলে ধরেন, এই ক্ষতি পূরণ করবার জন্য সমস্ত কমরেডদের পার্টি কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের আবেদন জানান। কমরেড সুবিমলের ভাই সুকমল সেনগুপ্ত (রানা) দাদার রাজনীতি ও তার ব্যাপক সামাজিক পরিচিতির উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। নবদ্বীপের পার্টি কমরেড তপন ভট্টাচার্য তার লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান। বক্তব্য রাখেন এপিডিআর-এর রাজ্য নেতা তাপস চক্রবর্তী, ধুবুলিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মী সুজশ চক্রবর্তী। সুবিমলের প্রিয় বন্ধু শংকর দাস মজুমদার তাঁর এভাবে হারিয়ে যাওয়া ধুবুলিয়ার গণতান্ত্রিক মানুষের, সামাজিক মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন নেতা কাজল দত্তগুপ্ত, কৃষ্ণপদ প্রামানিক, বাসুদেব বসু, নবেন্দু দাশগুপ্ত, সুব্রত সেনগুপ্ত, সলিল দত্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ কমরেড সুবিমল সেনগুপ্তের অসমাপ্ত কাজকে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক পরিধিতে সংগ্রামী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
সবশেষে, পশ্চিমবঙ্গ গণসাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষ থেকে নীতীশ রায়, বাবুনি মজুমদার ও সুবিমলের বোন অনুসূয়া সেনগুপ্ত ইন্টারন্যাশনাল সংগীত পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে স্মরণসভার পরিসমাপ্তি ঘোষণা হয়।