খবরা-খবর
নাগরিকত্ব সুরক্ষা যাত্রা
Citizenship protection journey

নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্তমঞ্চের উদ্যোগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বেতাই থেকে শুরু হয়েছিল ‘নাগরিকত্ব সুরক্ষা যাত্রা’। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বেতাই আম্বেদকর কলেজে বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর ও শ্রীশ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদের প্রতিকৃতিতে ফুলমালায় শ্রদ্ধা জানিয়ে এই প্রচার যাত্রা শুরু হয়। নদীয়া জেলার তেহট্ট, কৃষ্ণনগর, জালালখালি, বাদকুল্লা, বীরনগর, রানাঘাট, কুপার্স ক্যাম্প, ধানতলা, পানিখালি, ট্যাংরাখাল, ভায়না, বগুলা, দত্তফুলিয়া হয়ে এই যাত্রা উত্তর ২৪ পরগনায় ঢোকে ১ মার্চ। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সিন্দ্রানি, হেলেঞ্চা, বনগাঁ, গাইঘাটা, মছলন্দপুর, বাদুরিয়া হয়ে এই যাত্রা আজ ৩ মার্চ বারাসাত পৌঁছায়। পর দিন বাদু, হাতিয়ারা, বাগুইআটি ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচার চালানো হয়।

এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য গত দুই বছরের এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের বার্তা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু, বিশেষত মতুয়া, নমশূদ্রদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাত্রা পথে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি পথসভা হয়েছে উদ্বাস্তু অধ্যুষিত অঞ্চলে, বিলি হয়েছে ২০ হাজারের বেশি তথ্যসমৃদ্ধ একটি লিফলেট। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব নিয়ে দ্বিচারিতা এবং বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন রাখা হয়েছে এনআরসি-এনপিআর, সিএএ-২০০৩ এবং সিএএ-২০১৯ বাতিল করার দাবি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্তর্ভুক্ত করার।

উদ্বাস্তু মানুষজন ব্যাপকভাবে এই প্রচারে সাড়া দিয়েছেন, যুক্তমঞ্চের দাবিগুলিকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই যাত্রার সক্রিয় সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন মতুয়া সমাজের নেতৃত্বের একাংশও। কিছু জায়গাতে বিজেপি-র সদস্যসমর্থকরা যুক্তমঞ্চের প্রচারকদের সাথে রাস্তার মধ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন, যদিও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আসলে এনআরসি-সিএএ-র সমর্থকরা মোদী সরকারের কার্যকলাপের পক্ষে কোন যুক্তিই আর দিতে পারছেনা। আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। ৫ মার্চ নাগের বাজার থেকে দমদম পর্যন্ত এক পদযাত্রার মাধ্যমে এই নাগরিকত্ব সুরক্ষা যাত্রা সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন এনআরসি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চের আহ্বায়কেরা।

খণ্ড-28
সংখ্যা-8