৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
March 8 International Women's Day

সেই কবে ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট মহিলারা বিশ্বের শ্রমজীবী নারীদের স্বাধীনতা, অধিকার, মর্যাদার দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘আন্তর্জাতিক নারীদিবস’ ঘোষণা করেছিলেন! কিন্তু আজও কেন নারী পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে এত বৈষম্য ও হিংসার শিকার? কেন এনআরসি-এনপিআর-সিএএ-র জন্যে তাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? কেন ‘লাভ জিহাদ’ আইনের হুমকি? আজও কেন প্রকল্প কর্মী যারা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য পুষ্টি প্রকল্পের পুরো ভারটা কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, তাদের সঙ্গে  জঘন্য প্রতারণা চলছে? কেন তাদের বেতন ও সরকারী কর্মীর স্বীকৃতির জন্যে মূক-বধির সরকারগুলোর দরজায় ধর্ণা দিতে হচ্ছে দিনের পর দিন? কেন ‘ডাইনি’ অপবাদে খুন হতে হচ্ছে? কেন ভারত ক্ষুধা সূচকে ১০২তম অবস্থানে? কেন প্রতিদিন ভারতীয় নারী গৃহহিংসা, ধর্ষণ ও নারকীয় অত্যাচারের বলি? কেন দেবাঙ্গনা, সাফুরা জারগর, দিশা রবির মতো দেশপ্রেমিক তরুণীদের – সুধা ভরদ্বাজ, সোমা সেনের মতো সমাজসেবী মানবাধিকার কর্মীদের ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দিয়ে জেলে পোরা হচ্ছে ? বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটকে রাখা হচ্ছে? কেন আজও মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হল না?

এইসব প্রশ্ন শাসক শ্রেণী, বিশেষ করে কেন্দ্রের ফ্যাসিস্ট আরএসএস-বিজেপি’র সরকারের মুখের ওপর ছুঁড়ে দিতে গোটা ভারত জুড়ে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির নেত্রী ও সদস্যরা রাস্তায় নেমেছিলেন। অবশ্য রাস্তায় তারা রোজই থাকেন, বাধ্য হন থাকতে।

আমরা বাংলার শ্রমজীবী নারীদের ঘৃণা ও প্রতিবাদকে তুলে ধরলাম।

কলকাতা

কলকাতায় অ্যাপোয়া অন্যান্য নারী সংগঠনগুলির সঙ্গে এক যৌথ প্রোগ্রামে সামিল হয়। নারী-ক্যুয়ার দিচ্ছে ডাক : ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক – এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিভিন্ন নারী এবং ক্যুয়ার সংগঠনের মিলিত উদ্যোগে কলকাতার ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নারী, ক্যুয়ার (বিশেষত ট্রান্স), দলিত ও মুসলিম মানুষদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। নারীর সব রকম শ্রমের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও আইনি নিরাপত্তা দিতে হবে। রাজনীতিতে সমানভাবে নামার অধিকার দিতে হবে। সব মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা খারিজ ও সব নারী রাজবন্দী সহ ঐ সব মিথ্যা মামলার সব বন্দীদের শুধু জামিন নয়, নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ‘লাভ জিহাদ’ আইন দ্রুত বাতিল করতে হবে। ট্রান্স মানুষদের নিজ লিঙ্গ নির্ধারণের পথ সুলভ করতে হবে এবং তাদের শিক্ষা ও চাকরিস্থলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সমগ্র ক্যুইয়ার মানুষদের যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে, কর্মস্থলে বৈষম্য ও শিক্ষাস্থল-কর্মস্থল-গৃহে হিংসার বিরুদ্ধে আইন আনতে হবে। প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ টাকা বাড়াতে হবে। এই দাবিগুলো নিয়ে প্ল্যাকার্ড পোস্টারে মঞ্চ সুসজ্জিত করা  হয়েছিল।

নারীর অধিকারের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলতে হবে। এই বক্তব্য তুলে ধরেন ‘মৈত্রী’র রত্নাবলী রায় ও দোলন গাঙ্গুলী। তিস্তা, মালবিকা ও অনুরাগ বলেন, রূপান্তরকামী ও সমকামীদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলেও ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হবে। সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির ইন্দ্রাণী দত্ত, এআইআরডব্লিউও-র শিখা সেন রায় ও শ্রমজীবি নারী মঞ্চের তপতী চ্যাটার্জি বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি বিজেপিকে পথে ও ভোটে পরাস্ত করতে হবে। তারা নো-ভোট-টু-বিজেপি ক্যাম্পেইনে যোগ দেওয়ার আহ্বানও রাখেন। পার্কসার্কাসের এনআরসি-সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন সকাত আর দেশের গণতন্ত্রের প্রশ্ন তুলে ধরেন নিশা বিশ্বাস। এই দিনটিকে কৃষক আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘কিষাণী দিবস’ হিসাবে পালন করার কথা বলে এই বিষয়টিকেও এই মঞ্চে তুলে আনা হয়। এ ছাড়াও গান করেন নীতীশ রায়, কুহূ, ও জনগণমনের সাথিরা। কবিতা-আবৃত্তি ও নাটকও মঞ্চস্থ হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আওয়াজ তুলেছে বজবজের নিশ্চিতপুর পঞ্চায়েতের মহিলারা – মজুরি সম্মান এবং শ্রমিকের অধিকার চাই। বিজেপি-কে পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেবে না মহিলারা – এই বিষয়ে আলোচনা চলে।

হাওড়া

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে হাওড়া জেলার বালি দুর্গাপুরে অ্যাপোয়ার পক্ষ থেকে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন মহিলা সমিতির কল্যাণী গোস্বামী সহ আরও কমরেডগণ। বক্তারা রাজ্য পরিস্থিতি এবং মোদী সরকারের চরম জনবিরোধী নীতির বিপর্যয়কর ফলাফলের কথা তুলে ধরেন। বিজেপিকে ভোট না দেবার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানান। সভায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘ইঙ্গিত’ সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীরা। সভা শেষে মোদীর কুশ পুতুল পোড়ানো হয়। ৬ মার্চ কামারডাঙায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস।

নদীয়া

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির উদ্যোগে নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া নেতাজী পার্কে এক সভার আয়োজন করা হয়। নারী দিবসের আহ্বান পাঠ করে সভার সূচনা করেন শিল্পী দত্তগুপ্ত। নারী দিবসকে স্মরণ করে আজকের শ্রমজীবী নারীর সংগ্রাম নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী বেলা নন্দী। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র সমাজের আন্দোলনে মহিলাদের সক্রিয় অংশ গ্রহণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন সংগঠনের নদিয়া জেলা সম্পাদিকা অপু কবিরাজ। সভায় উপস্থিত রাজ্য নেত্রী জয়শ্রী দাস আজকের দিনে শ্রমজীবী থেকে সমগ্র নারী সমাজের উপর যে হামলা নেমেছে তাকে মোকাবিলা করতে বৃহত্তর মহিলা সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন নদিয়া জেলা সদস্য ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের পার্টি প্রার্থী কমরেড সন্তু ভট্টাচার্য ফ্যাসিবাদী বিজেপির বিপর্যয়কারী রাজনীতি, সংস্কৃতির মোকাবিলায় নারী পুরুষ জোট গড়ে তোলার আহ্বান রাখেন। সমগ্র সভাকে সংগ্রামী সঙ্গীতে উজ্জীবিত করে তোলেন গণ শিল্পী মল্লিকা সরকার।

উত্তর চব্বিশ পরগনা

আট মার্চ বারাসাত স্টেশন চত্বরে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটি এক পথসভায় আয়োজন করে।

অনেক রক্তক্ষয়ী কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বের শ্রমজীবী নারীর স্বাধীনতা, মর্যাদা, অধিকারের দ্যোতক ‘আট মার্চ ‘প্রতিষ্ঠিত হয়। সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের লক্ষ্য, দিশা ও ক্ষেত্র পাল্টেছে। কিন্তু আট মার্চের তাৎপর্য ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। আট মার্চ – লিঙ্গ বৈষম্যসহ সমস্ত বৈষম্যমুক্ত নারীসমাজ গড়ার অঙ্গীকার নেওয়ার দিন। আজকে ভারতবর্ষে বিজেপি-আরএসএস-এর ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে রোখা ভারতীয় নারীর প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। আর সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তার স্বাধীনতা স্বায়ত্ততা মর্যাদা অধিকারের লড়াই আরও বলিষ্ঠ হবে। সামগ্রিক বিচারে ‘আট মার্চ ‘শুধু নারীদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও এক বিশেষ বার্তা বহন করে। এই পথসভায় অ্যাপোয়া রাজ্য নেত্রী অর্চনা ঘটক, জেলা নেত্রী মৈত্রেয়ী বিশ্বাস, জয়ন্তী  দাশগুপ্ত, এআইপিএফ নেতা নির্মল ঘোষ এবং গণসংস্কৃতি পরিষদের নেতা অনুপ মজুমদার বক্তব্য রাখেন। কমরেড অনুপ সুউপযোগী একটি গণসঙ্গীতও পরিবেশন করেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সুনীতা নাথ।

হুগলি

এ বছর নারীদিবসের আহ্বান : বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিতে হবে

ভারতবর্ষে একুশের নারীদিবস এল এক সংগ্রাম মুখরিত পরিবেশে, যার কেন্দ্রে আছে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন। তাতে কিষাণীরা সামিল হয়েছেন বড় সংখ্যায় বিপুল উদ্যমে। তাঁরা ১৮ জানুয়ারী মহিলা কিষাণ দিবস পালন করেছেন এবং ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসও উদযাপন করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গে নারী দিবস পালিত হচ্ছে নির্বাচনী আবহাওয়ায়। তাই বাংলা বাঁচাতে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে পরাস্ত করুন — এই মর্মে হুগলি জেলায় প্রচার শুরু হয়েছে ৭ মার্চ উত্তরপাড়া নির্বাচনী কেন্দ্রের চলচ্চিত্রম মোড়ে এক পথসভা থেকে। এখানে বক্তব্য রাখেন সমিতির রাজ্য নেত্রী চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী ও চৈতালি সেন, প্রার্থী সৌরভ রায় ও সম্প্রীতি মুখার্জি। নির্বাচনকে মাথায় রেখে নারী দিবস উপলক্ষ্যে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির জেলা শাখার প্রচার পত্র বিলি করা হয়। সভা পরিচালনা করেন স্থানীয় নেত্রী কৃষ্ণা পাল।

৮ মার্চ ধনেখালি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তালবোনা গ্রামে সমিতির জেলা নেত্রী অর্পিতা রায়ের নেতৃত্বে এক বৈঠক হয়। এতে এলাকার বেশ কিছু নতুন মহিলাও সামিল হয়েছিলেন। বৈঠকে আজকের ভারতে নারী দিবসের তাৎপর্য ও আমাদের করণীয় কাজ এবং শ্রমজীবী মহিলাদের নানা বঞ্চনা ও সংগ্রাম প্রসঙ্গে চর্চা হয়। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বিজেপির নারী বিরোধী জনবিরোধী কার্যকলাপ নিয়েও মেয়েরা সরব হন।

একই দিনে পোলবার বরুনান পাড়ায় আদিবাসী গ্রামে নারী দিবস পালিত হয়। এখানে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মেয়েরা মিলিত হন। সভায় নারী দিবসের তাৎপর্য ও চলমান কৃষক আন্দোলনে মেয়েদের অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সমিতির জেলা সম্পাদিকা শিপ্রা চ্যাটার্জি এবং চৈতালি সেন। কেবল মোদী সরকারের জনবিরোধী ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপ নয়, সাম্প্রতিক একটি ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নারী – বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়েও কঠোর সমালোচনা করা হয়।আলোচনা হয়, আমরা লড়াই করছি পুরুষদের বিরুদ্ধে নয়, তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শোষণ-অত্যাচার-কদাচার ও মেয়েদের দাবিযে রাখার পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। পারস্পরিক কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে জীবন্ত সব অভিজ্ঞতা উঠে আসছিল। আলোচনায় বোঝা গেল, সাধারণ মেয়েরা কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। উপস্থিত মহিলাদের মধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও, মমতা কিছু করেছে — এ কথাও বলেন অনেকে। তাঁরা বিজেপির অশুভ কার্যকলাপ সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতন। কথার সুরে মনে হল, উপস্থিত কেউই বিজেপিকে ভোট দেবেন না।

International Women's Day

 

আলোচনার শেষে বিভিন্ন দাবিতে পোস্টার হাতে মেয়েরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রধান দাবি ছিল :
* নয়া কৃষি আইন ও নয়া শ্রম কোড বাতিল ।
* মেয়েদের স্বাধীনতা, কর্ম সংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা।
* মেহনতি মহিলাদের ঋণ মকুব।
* দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
* গ্রামীণ রোজগার যোজনায় ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি। এবং স্কীম ওয়ার্করদের সরকারী কর্মচারির স্বীকৃতি ও নূন্যতম মজুরি।
* লাভ জেহাদের অজুহাতে ধর্মান্তরকরণ আইন বাতিল।
* আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সম্মানিক ভাতা ও যথাযথ নিয়োগ।

সভার শেষে আদিবাসী মহিলারা নাচ ও গানের মাধ্যমে তাঁদের লড়াই এর কথা তুলে ধরেন।

হাতে কাজ নেই। বাজার আগুন। পেটে ভাত নেই। চরম সংকটে মানুষ বুঝেছে – কে আপন, কে পর। অন্তত মোদী সরকার যে কোনোভাবেই গরিব মানুষের পাশে নেই – এটা লক্ষ লক্ষ প্রকল্প কর্মী, ঋণমুক্তির আন্দোলনরত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, কাজ হারানো স্বনিযুক্তির কর্মীরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন। শুধু পেটের ভাত নয় – জীবনের নিরাপত্তা সুরক্ষাও কেড়ে নিয়েছে। মেয়েরা কী খাবে, কী পরবে, কাকে ভালবাসবে, কাকে বিয়ে করবে, সন্তানকে কীভাবে পালন করবে, কীভাবে বাঁচবে – সব কিছু এই বিজেপি সরকার ঠিক করে দেবে – এটা তারা মানবেন না। শহর-গ্রামে মিলে মিশে থাকার পরম্পরা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির রামধনু নিয়ে তারা শান্তিতে বাঁচতে চান। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে চান। তাই প্রতিটি সভায় আওয়াজ উঠেছে ‘বিজেপি রুখে বাংলা বাঁচাও’।

- চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী 

খণ্ড-28
সংখ্যা-9