১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী, নদীয়া জেলার নাকাশিপাড়া বিধানসভা ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় গণকনভেনশন, শহীদ স্মরণে জনসভা করলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
একুশের ডাক “ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক” এই উপলক্ষে কনভেনশন হল বেথুয়াডহরি অভিনন্দন লজে। বুধবারের হাটে কৃষকের সমাবেশ, গঞ্জের ক্রেতাদের সমাবেশের মধ্যে কনভেনশন হলঘর ভর্তি হয়ে গেল কর্মীদের সমাবেশে। শুরুতে প্রায়ত কমরেড সুবিমল সেনগুপ্তের স্মরণে নীরবতা পালন করা, তারপর কনভেনশনের কথা, কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্য হলঘর ছেড়ে পৌঁছে গেল হাটে উপস্থিত জনতার মধ্যে। একসময়ের ডাকছিল “লাঙ্গল যার, জমি তার” এখন ডাক এসেছে, আন্দোলন চলছে “ফসল যার, কৃষি তার” এই অধিকারের দাবি নিয়ে দিল্লীর সীমানা পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গ্রামে-গঞ্জে, বাংলার মানুষ তাতে সামিল। বিজেপিকে রুখতে বাংলার মানুষের অন্যান্য দাবির আন্দোলনের সাথে কৃষি ও কৃষক স্বার্থবিরোধী ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
কনভেনশনে মিরাইপুর, তেঘড়ি, পাটপুকুর, বড়গাছি, শিবপুর, শালিগ্রাম, মুড়াগাছা, জগন্নাথপুর, সুলতানপুর, সুধাকরপুর, সাপজোলা, দলুইপূর, বনপলাশী, দেবগ্রাম সহ বেথুয়াডহরির যুব কমরেডরা অংশগ্রহণ করেন, ছিলেন মহিলা কমরেডরাও। কাজল দত্ত গুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কার্তিক পাল ও রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণপদ প্রামানিক।
কনভেনশন শেষ করে গাছা বাজারে পার্টি অফিসে কমরেড সুবিমল সেনগুপ্তের স্মরণ সভার আয়োজন করেন মুড়াগাছা লোকাল কমিটি। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, কার্তিক পাল সহ এলাকার নেতৃবৃন্দ, বাজার কমিটির সম্পাদক ও অন্যান্য কমরেডরা মাল্যদান করেন। এখানে সুবিমল সেনগুপ্তকে স্মরণে রেখে আজকের পরিস্থিতিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সফল উদ্যোগও সংকল্প হতে পারে সুবিমলের অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত পথ।
তারপর বাইক মিছিল রওনা দেয় শালীগ্রামের জনসভার দিকে। জনসভায় অংশগ্রহণকারী কৃষক জনতার বেশিরভাগ অতীতের কৃষক আন্দোলনের বয়স্ক কর্মী সহ কিছু নতুন যুবক। নামাজ পড়ার ফাঁকে জনসভা শুরু হলো। চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে স্মরণ করে নেওয়া হলো কমরেড সুবিমল সেনগুপ্ত সহ অতীতের কৃষক আন্দোলনের শহীদ কমরেড জালালউদ্দিন শেখ ও অন্যান্য কৃষক নেতাদের। কৃষ্ণপদ প্রামাণিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখলেন মহিলা নেত্রী চন্দনা সেনগুপ্ত। ঐক্যবদ্ধ বামপন্থী কৃষক আন্দোলন, শক্তিশালী বাম ঐক্যই পারে বিজেপি’র মতো এক ভয়ঙ্কর শক্তিকে পরাজিত করতে, নীতিহীন ক্ষয়িষ্ণু তৃণমূলের পক্ষে একাজ সম্ভব নয়, বললেন প্রধান বক্তা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। পরের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারী সোনাতলা গ্রামে জনসভা হল। উপস্থিত ছিল কালিনগর, সোনাতলা চরমহতপুর, পাত্রদহ সহ আশেপাশের বেশকিছু কৃষক জনগণ। জীবন কবিরাজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঠান্ডু শেখ, কলম বিশ্বাস, সন্তু ভট্টাচার্য, কার্তিক পাল, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
পরের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারী সোনাতলা গ্রামে জনসভা হল। উপস্থিত ছিল কালিনগর, সোনাতলা চরমহতপুর, পাত্রদহ সহ আশেপাশের বেশকিছু কৃষক জনগণ। জীবন কবিরাজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঠান্ডু শেখ, কলম বিশ্বাস, সন্তু ভট্টাচার্য, কার্তিক পাল, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
সভা শেষ করে বাইক মিছিল করে যাওয়া হল শোনডাঙ্গা গ্রামের সভায়। পুরনো কাজের এলাকায় দেখা গেল নতুনভাবে শুনবার জন্য আগ্রহী জনতার ভিড়। এখানে বক্তব্য রাখেন কাজল দত্ত গুপ্ত, সন্ত ভট্টাচার্য ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার লক্ষ্যে বিজেপি’র বাংলা দখল করার ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত রুখতে জনগণকে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন প্রধান বক্তা।