আগামী ২৩ জানুয়ারী নেতাজীর ১২৫তম জন্মদিন পালনের জন্য গত মাসের ২১ তারিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রক। কিন্তু ৯ জানুয়ারী ২০২১ সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেল শাহকে সরিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই কমিটির চেয়ারম্যানের পদে বহাল হয়েছেন। (সূত্র: আনন্দবাজার, ১০.১.২১)। ভারতীয় রাজনীতিতে অবহেলিত বাংলার তথা বঙ্গবাসী সর্বজনের ভালবাসার এই প্রবাদপ্রতিম আইকনের প্রতি এহেন প্রীতির কারণ কী? কারণ ভোট বড় বালাই। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে এবং বিজেপি-আরএসএস এইবার ছলেবলে কৌশলে, যে কোনো মূল্যে পশ্চিমবঙ্গ-বিধানসভা ভোট জেতার খোয়াব দেখছে। এছাড়াও আদানি-আম্বানি-মিত্র গুজরাটি বাণিয়াদের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র ভোটে জিতে বাংলায় ক্ষমতা কায়েম করার জন্য এক্ষণে বাংলার ‘ঘরের ছেলে নরেন’ হয়ে উঠতে চাইছেন। ওদের সমস্যা হোলো, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছাড়া বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে বিজেপি-আরএসএসের সেরকম কোনো বৌদ্ধিক প্রতিনিধিত্ব নেই। থাকার কথাও নয়। বাংলার সামাজিক সাংস্কৃতিক বাতাবরণে ওদের চরম ব্রাহ্মণ্যবাদী মনুস্মৃতি প্রকরণ কিংবা ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান’ অবধারণা ঠিক খাপ খায় না। সেই দূর্বলতা অতিক্রম করার জন্য এই মুহূর্তে বিজেপি-আরএসএসের প্রধান প্রচেষ্টা হোলো বাঙালীর সমস্ত সাংস্কৃতিক আইকনকে, তাদের সাথে খাপ খায় কিংবা না খায় ওসব বিচার না করে, ভড়ং-সর্বস্ব মুর্তিপূজার এক প্রতিবেশ সৃষ্টি করা, যা কিনা পরবর্ত্তীতে ওদের নির্বাচনী ফয়দা দিতে পারে। এ লক্ষ্যে ওদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার খামতি নেই। ১২ জানুয়ারী বিবেকানন্দর জন্মদিবসে এই বিকৃত উদাহরণের প্রকৃষ্ট প্রমাণ দেখা গেল। এবার ওদের প্রস্তুতি বাংলায় ২৩ জানুয়ারী উদযাপনের জন্য। স্বয়ং মোদী নিজেই কোমর বেঁধেছেন। আজন্ম অসাম্প্রদায়িক সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীরা মূর্তিপূজার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সাথে তাদের যে জেহাদ তাতে বিশেষ মাত্রা দেবার জন্য। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজীর ভূমিকার ক্ষেত্রে গান্ধী-নেহেরু গাটবন্ধনের যে খচখচে অবস্থান আছে তাকে ধুনো দিয়ে, উসকে দিয়ে, নেতাজীর প্রতি বাঙালী আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে নির্বাচনি ফয়দা তোলার জন্যই নরেন্দ্র মোদী ব্যাটেলিয়নের নেতাজীকে সম্বর্ধিত করার এই মেকী আয়োজন। না হলে মোদী-বিজেপি-আরএসএস ব্রিগেডের সাথে নেতাজীর দেশপ্রেমিক তত্ত্ব-অনুসন্ধানের কণামাত্র যোগ নেই। এ প্রশ্ন নিয়ে আমরা পরবর্ত্তীতে আলোচনা করব। এক্ষণে আমরা দেখি ভারত, জাতি ইত্যাদি নিয়ে মোদী-বিজেপি-আরএসএসের ভাবনা ও অবস্থানটি কী?
“অতএব শুধুমাত্র ঐ আন্দোলনগুলোই সত্যকারের ‘জাতীয়’ যে আন্দোলনগুলো হিন্দুত্বে বিশ্বাস রেখে সমসময়ের অসাড়তা বা জড়তা কাটিয়ে পুনঃনির্মাণ, পুনরুজ্জীবন এবং বন্ধনমুক্তির লক্ষ্যে অগ্রসর হয়। তারাই শুধুমাত্র জাতীয়বাদী দেশপ্রমিক যাঁরা হিন্দু জাতি ও বর্ণকে মহিমান্বিত করার আকাঙ্ক্ষাকে হৃদয়-অন্তরে স্থান দিয়ে, ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্মে এবং লক্ষ্যে পৌঁছোনোর জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায়। জাতীয়তার প্রয়োজনের সাপেক্ষে অন্যান্য সমস্তরা হয় দেশদ্রোহী এবং শত্রু, না হলে দয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখলে অপগন্ড ছাড়া কিছু নয়”। [আরএসএসের দ্বিতীয় স্বরসংঘচালক মাধবরাও সদাশিবরাও গোলয়ালকর -পৃষ্ঠা-১০০] অস্যার্থ; ১৮৫৭র জাতীয় মহাবিদ্রোহ, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বাঘা যতীন, বিনয়-বাদল-দিনেশ, চট্টগ্রাম ও সূর্য সেন, ভগৎ সিং, যতীন দাস, আসফাকুল্লা, রামপ্রসাদ বিসমিল, এমনকি রাসবিহারী, নেতাজী সব্বাই, প্রত্যেকটি আন্দোলন আরএসএসের ভাবনায় ‘অপগন্ডো’ দেশদ্রোহী ছাড়া কিছু নয়। একমাত্র এ প্রশ্নে তাদের ছক সত্য। এই ছকে দেওয়া পোগ্রাম অনুসারেই চলছে মোদী-অমিত শাহ-মোহন ভাগবতের আরএসএস-বিজেপি। বিমুদ্রাকরণ; কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি; উচ্চতম ন্যায়ালয়কে কাজে লাগিয়ে রামমন্দির নির্মাণ; দাভোলকর, পানসারে, কালবুর্গী, গৌরী লঙ্কেশ হত্যা; ভীম কোরগাঁও মামলা; গো-রক্ষক বাহিনী; জয় শ্রীরামের নামে মব লিঞ্চিং; দলিত হত্যা; ধর্ষণ সংস্কৃতি; তাৎক্ষণিক তিনতালাক আইন; লাভজিহাদ আইন ইত্যাদি ইত্যাদি যা কিছু আজকের এই ব্রাহ্মণ্যবাদী ফ্যাসিস্ট ভারতে কার্যকর হচ্ছে সবই আরএসএস-প্রমুখ সাভারকর, হেডগেওয়ার, গোলয়ালকর, গডসেদের বিশ্বদৃষ্টি সঞ্জাত। এখন আরএসএস-বিজেপির একমাত্র কাজ-নাগপুরের সদর দপ্তর থেকে নিরন্তর সুভাষ-সাভারকার সম্পর্ক নিয়ে ভুলে ভরা, অনৈতিহাসিক অত্যন্ত আজেবাজে তথ্য সামাজিক প্রচার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। ওরা কখনো ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করে না, বৃটিশকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাওয়া গদ্দার সাভারকারের নেতৃত্বেই নেতাজীকে রোখার জন্য বৃটিশ সৈন্যবাহিনীতে যেচে অংশগ্রহণ করেছিল ‘হিন্দু মহাসভা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’র সদস্যরা। যুদ্ধের পরিণতিতে পরাজিত আজাদ হিন্দ ফৌজকে জনে জনে নির্দিষ্ট করে কোতল করার দায়িত্বও হাতে তুলে নিয়েছিল বৃটিশ সিপাহি হিসাবে কর্মরত, ‘হার মেজেষ্টি’র অনুগত ‘হিন্দু মহাসভা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’র সদস্যরা। ১৫.০১.২০২১ এর আনন্দবাজার পত্রিকার উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে রবীন্দনাথকে আত্মসাৎ করার প্রাণান্তকর সঙ্ঘী প্রচেষ্টার অপরিসীম অনৈতিক উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে সেমন্তী ঘোষ যথার্থই উল্লেখ করেছেন – “আজকের নব্য বিজেপি বিশেষজ্ঞরা, যারা মোদী ও অন্যান্য অবাঙালি নেতাদের রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি ‘সাপ্লাই’ দেন, তাঁরা কেবল প্রথম দিককার স্বদেশি যুগের লেখাপত্রের মধ্য থেকেই সন্তর্পণে এটা-ওটা বেছে নেন, ভুলেও তাঁরা কালান্তর প্রবন্ধাবলি, কিংবা গোরা বা ঘরে-বাইরে উপন্যাসের পাতা খুলেও দেখেন না। অথচ সেখানেই কিন্তু এ সব বিষয়ে সবচেয়ে বিশদ আলোচনা আছে”। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াতেই প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি ও সংঘ পরিবার। তাই সাধু সাবধান।
নাতিদূর সাম্প্রতিক কালে অমর্ত্য সেনের একটি উক্তি দিয়েই এই পর্যায়ের ব্যাক্ষা শুরু করা যাক। ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬-তে নেতাজী ভবনে এক বক্তৃতায় অমর্ত্য সেন বলেন – “ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রতি নেতাজীর কল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রগাঢ়ভাবে অনুকরণীয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতাজীর এই দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পন্ন হিসাবেই থেকে গেছে এবং ভারত সরকারও এই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুই করেনি। আজকের সরকার তো এ প্রশ্নে ভূমিকা রেখেছে আরও কম”। তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন এমন এক অবস্থায় যেখানে নেতাজীর কল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশ ও জীবনের ক্ষেত্রে সবিশেষ প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এই দেশে সাম্প্রদায়িকতাকে এমনভাবে বেশিবেশি করে সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বিবেচিত হচ্ছে একটি খারাপ শব্দ হিসাবে”।
সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মন্ত্রশিষ্য। বাংলার রাজনীতিতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অসাম্প্রদায়িক অবস্থান অত্যন্ত সুবিদিত। সেই রাজনৈতিক পরম্পরার দায়বদ্ধ অংশীদার হিসাবে সুভাষ প্রথম থেকেই যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতার অবিচল বিরোধী থেকেছেন। ভারতীয় জীবনধারা থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উৎপাটিত করার বিষয়ে তাঁর নিজস্ব ভাবনা ছিল। ১৯২৫ হল দাঙ্গাবাজ মানসিকতার হিন্দু প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’র প্রতিষ্ঠাবর্ষ। যেহেতু বাংলায় হিন্দু ও মুসলমান জনসংখ্যা ছিল সমান সমান সেই কারনেই নবসৃষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘর প্ররোচনায় ১৯২৫-২৭ এর কালপর্বে সারা বাংলা জুড়ে একের পর এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। সুভাষ তখন গ্রেপ্তার হয়ে মান্দালয় জেলে। সেই পর্যায়ে জেলের মধ্য থেকেই সুভাষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা সুভাষচন্দ্র, একমাত্র সুভাষচন্দ্রই তাঁর স্বল্পকালীন কংগ্রেসের সভাপতি থাকার কালে, পার্টির মধ্যে হিন্দুমহাসভা ও মুসলিম লীগের সভ্যদের কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার অধিকার বাতিল করার উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করেন। ১৯৪৩ সালে ২১ অক্টোবর, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ‘আর্জি হুকুমৎ-এ-আজাদ হিন্দ’ ঘোষণা করেছিলেন। সেই দিনে হিন্দুস্তানী ভাষায় এই শব্দ চয়নের সূদূরপ্রসারী তাৎপর্যের ঐতিহাসিক অভিব্যাক্তি ওদের বোধের বাইরে। চরম ব্রাহ্মন্যবাদীদের প্রতিভূ মোদী-অমিত শাহ-ভাগবৎ কোম্পানিরা এই অসাম্প্রদায়িক উচ্চারণের মর্মবস্তু গ্রহণ করতে অক্ষম।
নেতাজী রিসার্চ ব্যুরো, কোলকাতা সম্পাদিত সুভাষ চন্দ্র বসুর ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল, ১৯২০-১৯৪২’ বইটি পড়লে আমরা দেখি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার তীব্র বিরোধী ছিলেন নেতাজী। অন্যদিকে সোভিয়েত ঘরানার সাম্যবাদও তাঁর সর্বৈব পছন্দের বিষয় ছিল না। তবু তিনি তাঁর মতো করে এক বামপন্থী সমাজবাদে বিশ্বাস করতেন। ১৯৩৯ সালের ২৯ এপ্রিল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের মধ্যেও তিনি তাঁর মতো করে সমাজবাদী ধারণার চর্চা করতেন এবং অবশ্যই তা ছিল আরএসএস-বিজেপির হিন্দুত্ববাদী দর্শনের তীব্র বিরোধী। ১৯৩৯ সালের ৩ মে তিনি ফরোয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কাবুলে আত্মগোপন করে থাকাকালীন লিখিত দলিলে নেতাজী ঘোষণা করেছিলেন –
“ফরোয়ার্ড ব্লক চায় –
১) পূর্ণ জাতীয় স্বাধীনতা এবং সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আপসহীন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম।
২) সম্পূর্ণ আধুনিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
৩) দেশের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের জন্য বিজ্ঞানসম্মত পন্থায় ব্যাপক শিল্পোৎপাদন।
৪) উৎপাদন ও বন্টন ব্যাবস্থায় সামাজিক মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ।
৫) ধর্মীয় উপাসনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।
৬) সকলের জন্য সমান অধিকার।
৭) ভারতীয় সমাজের সব শ্রেণীর ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা।
৮) স্বাধীন ভারতে ‘নববিধান’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাম্য ও ন্যায় বিচার নীতির প্রয়োগ”।
[নির্বাচিত ভাষণ সংগ্রহঃ প্রথম খন্ড/২০৭]
পাঠক, এখনও কি মনে হয় মোদী-অমিত শাহরা আজাদ হিন্দ ফৌজের টুপি পড়লেই সুভাষ-অনুগামী হয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা আছে? কখনই নয়। নেতাজীর সেকালেও ছিল না, একালেও নয়। প্রায় দুই মাস হতে চলল, সংসদে অনীতিনিষ্ঠভাবে পাশ হয়ে যাওয়া কর্পোরেট স্বার্থবাহী কৃষক-বিরোধী বিল সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে এই তীব্র শীতে পৃথিবীর বৃহত্তম প্রতিবাদী জমায়েতে শান্তিপুর্ণভাবে অবস্থান করছেন, ৫০-এর অধিক কৃষক এই আন্দোলনে ইত্যবসরে শহীদের মৃত্যুবরণ করেছেন, এই অমানবিক মোদী-অমিত শাহ সরকারের কোনো হেলদোল নেই। আগামী ২৩ জানুয়ারী দেশমাতৃকার উজ্জ্বল সন্তান নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিনে সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমিতি ‘আজাদ হিন্দ কিষাণ দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে। সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যরা মূলত ছিলেন ভারতের কিষাণ। তাঁদের উত্তরসূরিরা আজ রাস্তায় কদম কদম এগিয়ে চলছে। এরাই নেতাজীর যথার্থ প্রতিনিধি। ভারতের বুকে বিপর্যয় নামিয়ে আনা ‘মোদী-অমিত শাহ-বিজেপি-আরএসএস’ নয়। প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই সার সত্য বুঝতেই হবে। সাবধান শিয়রে শমন।
-- সিতাংশু চক্রবর্ত্তী